নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় অবশেষে গ্রেফতার বাগদার (Bagda Ranjan) রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল। দুর্নীতি-কাণ্ডে শুক্রবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই (CBI)। বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন চন্দন। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে আলিপুর আদালতে (Alipur Court) পেশ করা হলে বিচারক চার দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে রঞ্জনের প্রসঙ্গ প্রথম সামনে আনেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা একটি ভিডিওয় জনৈক রঞ্জনকে কাঠগড়ায় তুলে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন। তারপর একাধিকবার বাগদার রঞ্জনকে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। অবশেষে শুক্রবার তাঁর গ্রেফতারি।
এদিকে চন্দনের আইনজীবী জানান, 'তাঁর মক্কেলকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। ব্যক্তিগত রাগের কারণে বারবার চন্দনের নাম করে তাঁকে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ফাঁসিয়েছেন।' রঞ্জন সিবিআইয়ের কাছে যাবতীয় তথ্য জমা দিয়েছিলেন এবং তদন্তে সহযোগিতা করেছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিন সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে এবং চন্দন মণ্ডল-সহ যাদেরকে গ্রেফতার হয়েছে, এদের প্রত্যেকের যোগ রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে।
পুলিসকে ধাক্কা মেরে পালালো ডাকাতির মামলায় (Dacoity Case) অভিযুক্ত এক আসামি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ডাকাতির মামলায় অভিযুক্ত নিজাম ঢালিকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে (Alipur Court) তোলার সময় এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, কোর্টে তোলার পর ক্যানিং থানার পুলিস তাকে লকআপে নিয়ে আসার সময় পুলিসকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় নিজাম। আলিপুর রোডের ট্রাম লাইন দিয়ে পালিয়ে যাওয়া সেই অভিযুক্তর খোঁজ চালাচ্ছে আলিপুর থানার পুলিস।
ডাকাতির মামলায় অভিযুক্ত নিজাম ঢালিকে ক্যানিং থানার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তাকে বারুইপুর জেলে রাখা হয়েছিল। এরপর পুলিস তাকে আলিপুর জজ কোর্টের ১৪ নম্বর কোর্ট রুমে নিয়ে যায়। কোর্ট অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিস কোর্ট রুম থেকে আলিপুর কোর্ট লকআপে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিসকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় ওই আসামি।
ঘটনাটি আলিপুর জজ কোর্টের বেঙ্গল লকআপ থেকে আলিপুর থানায় জানানো হয়। পুলিস অভিযুক্তর খোঁজ চালাচ্ছে। কোর্টে উপস্থিত স্থানীয়রা জানান, এরকম ঘটনা আগে কখনও চোখে পড়েনি। তাঁরা এটাও বলেন, 'পুলিসের এত সতর্কতা থাকা সত্বেও কেন এমন ঘটনা ঘটল তা কেউ বুঝতে পারছেন না।' আলিপুর থানার পুলিস ওই আসামীকে খুঁজতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে।