Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

AjitPanja

Childrens: ১৪ নভেম্বর নেহেরুর জন্মদিন, অজিত পাঁজার মৃত্যুদিন, জানুন এই দুই রাজনীতিবিদের সম্পর্ক

প্রসূন গুপ্ত: এ বছর ১৪ নভেম্বর, সোমবার দেশব্যাপী পালিত 'শিশু দিবস' (Childrens Day)। লোক দেখানো নয়, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু (Jawaharlal Neheru) যথার্থই ভালোবাসতেন শিশুদের। যে কোনও সভা-সমিতিতে গেলে সেখানে বাচ্চা দেখলেই তিনিও শিশু হয়ে যেতেন। শোনা যায়, তাঁর জামাই তথা প্রয়াত কংগ্রেস নেতা ফিরোজ গান্ধীর মৃত্যুর পরে নাকি প্রচণ্ড অবসাদে ভুগেছিলেন ইন্দিরা। নেহেরু কন্যা-সহ দুই নাতিকে নিজের কাছেই রেখেছিলেন। এই দুই নাতিদের অন্যতম প্রাক্তন প্রধামন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং একসময়ের কংগ্রেস যুব নেতা সঞ্জয় গান্ধী। 

কার্যত যখনই সময় পেতেন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল তখনই নাতিদের সঙ্গে খেলায় মত্ত হতেন। নেহেরু পছন্দ করতেন আইনজীবীদেরও, তিনি নিজে ব্যারিস্টার ছিলেন। মহাত্মা গান্ধীও ব্যারিস্টার ছিলেন। ফলে স্বদেশী আন্দোলনে যুক্ত নেতাদের মধ্যে আইনজীবীদের একটা ভূমিকা ছিল। প্রথম স্বাধীন ভারতের মন্ত্রিসভায় নেহেরু অনেক আইজীবীদের মন্ত্রী করে নিয়ে আসেন। চিত্তরঞ্জন দাশের নাতি ঠিকমতো ব্যারিস্টারি পড়ছে কিনা, তার খবরও নিতেন নিয়মিত। পরে ওই নাতিই সিদ্ধার্থ শংকর রায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এরকম বহু ইতিহাস আছে আইনজীবী ও নেহেরুকে নিয়ে।

প্রয়াত অজিত পাঁজার আজ আবার প্রয়াণ দিবস। ১৯৩৬-এ অজিতবাবু এক বর্ধিষ্ণু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারটি ছিল পুরোদস্তুর গান্ধীবাদী স্বদেশী আন্দোলনের। অজিতবাবু এই প্রতিবেদককে জীবদ্দশায় জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা বিদ্যায় আগ্রহ থাকা তাঁর পরিবারে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। তাই আইন পড়া শুরু করেন। কলেজে জীবনে স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেসি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যান। ১৯৬২-র চীন ভারত যুদ্ধের পর নেহেরু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলার পথে তাঁকে লাঠি ব্যবহার করতে হতো।ক্রমে অজিত পাঁজার সঙ্গে নেহেরুর আলাপ হয়। অজিতবাবু তখন আইন পাস করে একদিকে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করছেন অন্যদিকে চুটিয়ে কংগ্রেস করছেন। নেহেরু খুব খুশি হন আরও এক আইজীবীকে কাছে পেয়ে।

তিনি অজিতবাবুকে নবীন প্রজন্মের রাজনীতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার উপদেশ দেন। এঁরা যেন আইন বুঝে দেশের কাজ করে।অজিতবাবু পরবর্তীতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব পান।রাজীব গান্ধীর আমলে কেন্দ্রের মন্ত্রী, নরসিমা রাওয়ের আমলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। শেষে দল ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন এবং জিতে ফের বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন অজিত পাঁজা। সুস্থও হয়েছিলেন কিন্তু মমতার বঙ্গজয় আর দেখে যেতে পারেননি। ভারতীয় রাজনীতির এই দুই বর্ণময় চরিত্র; একজনের জন্মদিন আর একজনের প্রয়াণ দিন।   


2 years ago