
২৩ অগাস্ট ২০২৩, বুধবার ভারতবাসীর জন্য গর্বের দিন হয়ে থাকল। নির্দিষ্ট সময়ের কিছুটা আগেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান থ্রি (Chandrayan 3)। এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তে গর্বে বুক ফুলে উঠেছে ভারতবাসীর। বলিউড (Bollywood) তারকারাও এই তালিকা থেকে বাদ যাননি। সকাল থেকেই নানারকম পোস্ট করেছিলেন তাঁরা। ভারতের সাফল্যের পর সামাজিক মাধ্যমে আবারও নিজেদের অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
অভিনেতা অক্ষয় কুমার সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'লক্ষ লক্ষ হৃদয় ধন্যবাদ জানাচ্ছে ইসরো। আপনারা আমাদের গর্বিত করেছেন। ভারত ইতিহাস তৈরী করছে, এমন মুহূর্তের সাক্ষী থেকে গর্বিত। ভারত চাঁদে, আমরা চাঁদে।'
অভিনেতা অজয় দেবগণ লিখেছেন, 'গর্বিত, অভিভূত, উচ্ছ্বাসিত, সম্মানিত, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে। ভারত মায়ের জয়।'
অভিনেতা শাহরুখ খান লিখেছেন, 'আজ ভারত এবং ইসরো সারা বিশ্বে ছেয়ে গিয়েছে। সমস্ত বিজ্ঞানীদের, ইঞ্জিনিয়ারদের এবং পুরো টিম যারা আমাদের গর্বিত করেছেন তাঁদের শুভেচ্ছা। চাঁদের বুকে সফলভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান তিন।'তাঁর টুইট শেয়ার করেছেন,প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ও অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন।
পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপ্ত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত একটু ভিন্নভাবে দেখছেন এই বিষয়টি। তিনি লিখেছেন, 'কি অদ্ভুত। যে বিজ্ঞানী এই মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁর নাম সোমনাথ। সোম মানে চাঁদ, নাথ মানে ঈশ্বর। সোমনাথ মানে চাঁদের ভগবান। কি সুন্দর।'
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় দম্পতি কাজল (kajol) এবং অজয় (Ajay Devgan)। নানা অনুষ্ঠানে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়। কাজলের প্রাণবন্ত স্বভাব এবং অজয়ের গম্ভীর ব্যক্তিত্বর ভক্ত অনেক। ইংরেজিতে একটি কথা রয়েছে, 'অপোজিটস অ্যাট্রাক্ট'। এই জুটির ভক্তরা মনে করেন, দুই তারকা একে অপরের ভিন্ন স্বভাবের প্রতিই আকর্ষিত হয়েছেন। মাঝে তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। যদিও সেসব গুঞ্জন তুড়িতে উড়িয়ে দিয়ে এখনও সহ যাপনে রয়েছেন কাজল ও অজয়। এইভাবেই এলো আরও একটি বিশেষ দিন।
৫ অগাস্ট অভিনেত্রী কাজল দেবগণ ৪৯ বছরে পা দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রীর ভক্তরা শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরাও তাঁকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। তবে স্ত্রীয়ের জন্মদিন ভুলে যাননি অজয় দেবগণ। সামাজিক মাধ্যমে তিনিও শুভেচ্ছা বার্তা লিখেছেন। একইসঙ্গে স্ত্রীয়ের জন্য লিখেছেন, মিষ্টি গানের লাইন। সামাজিক মাধ্যমে অজয়, কাজলকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, 'তারিফ করু ক্যায়া তেরি। শুভ জন্মদিন কাজল।'
প্রসঙ্গত ১৯৯৫ সালে, 'হলচল' সিনেমার সেটে কাজল এবং অজয়ের দেখা হয়। প্রথমে একে অপরকে পছন্দ করেননি তাঁরা। এই সিনেমার দু বছর পরে আবারও দেখা করেন দুই তারকা। তারপরেই তাঁদের মধ্যে আসল রসায়ণ তৈরী হয়। প্রেম থেকে বিয়ে, বিয়ে থেকে দুই সন্তান হয়। ভালো খারাপে এখনও বহাল তবিয়তে অজয়-কাজল জুটি।
বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে গুঞ্জন, ঘর ভাঙছে অজয় দেবগণ (Ajay Devgan) ও কাজলের (Kajol)। ইতিমধ্যেই নাকি তাঁদের বিচ্ছেদের আবেদন পৌঁছেছে আদালতে। যদিও এই গুঞ্জনে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি কাজল বা অজয়। তাঁরা ব্যস্ত রয়েছেন নিজের কাজ নিয়ে। তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে কয়েকটি ভিডিও নিয়ে। কাজল এবং অজয়ের জনসমক্ষে আসার নানা ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। সেই ভিডিও দেখে নেটিজেনদের ধারণা, তারকা দম্পতির মধ্যে সম্পর্ক বিশেষ ভালো নেই।
এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে নাকি মন খারাপ মেয়ে নাইসা এবং ছেলে যুগের। সম্প্রতি অভিনেতা একটি ছবিতেই বুঝিয়ে দিলেন পরিবার নিয়ে তাঁর অবস্থান। সোমবার সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন অজয়। সেই ছবি দেখে বোঝা গিয়েছে, স্ত্রী কাজল, মেয়ে নাইসা, ছেলে যুগ এবং ভাইপো দানিশকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় গিয়েছেন অভিনেতা। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো সবথেকে বেশি শান্তির।'
এই ছবি ও ক্যাপশন দেখে এক নেটিজেন লিখেছেন, 'ভালো হয়েছে আপনি এই ছবি দিয়েছেন। না হলে সামাজিক মাধ্যমের লোকজনেরা আপনার ডিভোর্স করিয়েই দিত।'
স্টার কিডরা জন্মগতভাবেই মিডিয়া জগতের সমস্ত আলো নিজেদের দিকে টেনে নেয়। অভিনেতা অজয় দেবগণ (Ajay Devgan) ও কাজলের (Kajol Devgan) কন্যা নাইসা (Nysa Devgan) ব্যতিক্রম নয়। বয়স যখন কম ছিল, তাঁর শ্যামলা রঙের সমালোচনা করেছিলেন নেটিজেনরা। কিন্তু বয়স বাড়তেই কোনও এক মন্ত্রবলে সে যেন রূপকথার রাজকুমারী হয়ে উঠেছেন। পাপারাৎজিরা তাঁকে দেখলেই ছুটে যায়। তাঁকে 'সম্মোহনী' বলছেন নেটিজেনরা। সেই নাইসা এবার মুম্বই ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে। কাদের সঙ্গে গেলেন? দেখুন সেই ছবি।
অজয় ও কাজল কন্যা ঘুরতে গিয়েছেন রাজস্থানে। তবে পরিবার নয়, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়েছেন সেখানে। মরুদেশে যেন আরও মোহময়ী হয়ে উঠেছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওরহান বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, উটের পিঠে চেপে, কাছের বন্ধুকে জাপটে ধরে ছবি দিয়েছেন তিনি। লং ড্রেসে নাইসা যেন রাজকুমারী।
আরেকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে মরুদেশের বালিয়াড়িতে বসে, চাঁদনী রাত উপভোগ করছেন নাইসা। ডিনার টেবিলের চারপাশে বসে রয়েছে তাঁর বন্ধুরা। টেবিলে রাখা শ্যাম্পেনের গ্লাস। পানীয়তে চুমুক দিয়ে বোধহয় 'চিয়ার্স টু লাইফ' বলেছেন নাইসা।
মুক্তি পেল 'ময়দান' সিনেমার টিজার। ১৯৫২ থেকে ১৯৬২ সালে ভারতীয় ফুটবলের স্বর্নযুগ এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। সিনেমাটির প্রযোজনায় বনি কাপুর আর পরিচালনায় অমিত শর্মা। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন এ আর রহমান। চলতি বছরে ২৩ জুন সিনেমা হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। হিন্দি-তামিল-তেলেগু ও মালায়ালী ভাষায় মুক্তি পাবে এই ছবি। ১ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের টিজারে দেখা গিয়েছে অজয় দেবগণকে। ভিউজ বাড়ছে তরতরিয়ে। নেট মাধ্যমে ফুটবল প্রেমীদের উচ্ছ্বাস দেখার মতো।
অজয় দেবগন অভিনয় করছেন ভারতীয় ফুটবল কোচ সায়েদ আব্দুল রহিম ওরফে রহিম সাহেবের চরিত্রে। স্বাধীনতার ৫ বছর পর ১৯৫২ সালে দ্বিতীয় বারের জন্য অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পায় ভারতীয় দল। সেই বছর সামার অলিম্পিক হয় ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে। ভারতের বিরুদ্ধে ময়দানে নাম হাঙ্গেরি। ম্যাচের দিন লাগাতার বৃষ্টিতে ভিজে যায় ময়দান। কাদা মাঠে হাঙ্গেরির ফুটবলারদের পায়ে স্পাইক জুতো। বিপক্ষে খালি পায়ে মাঠে নামেন ভারতীয়রা। কাদা মাঠে পিছলে, আঘাত পেয়ে সেই ম্যাচ জেতা হয়নি ভারতের।তবে ভারতের সংগ্রামের অভ্যাস মিলেছে।টিজারে অজয় দেবগনের সংলাপ কানে বাজে, 'আজ ময়দানে এগারো জন নামবে, কিন্তু দেখতে যেন লাগে এক। ' কেমন ছিল সেই ম্যাচের দৃশ্যপট? কীভাবে ঘুরে দাঁড়াল ভারত? দেখা যাবে সিনেমার পর্দায়।
দীর্ঘকাল অসুস্থ থাকার পর শুক্রবার ভোর রাত ৩টে নাগাদ প্রয়াত বলিউডের প্রবাদপ্রতিম পরিচালক প্রদীপ সরকার (Pradeep Sarkar)। তাঁর পরিচালনায় হিট হয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা। এর মধ্যে আজও সমান জনপ্রিয় সঈফ আলি খান ও বিদ্যা বালন অভিনীত 'পরিণীতা' (Parineeta)। তাঁর পরিচালনায় পারদর্শিতার জন্য তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। এক ঝাঁক অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন পরিচালক। আজ তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বলি মহল। টুইটে শোকজ্ঞাপন করলেন তারকারা। সিনেমা নির্মাতা হনসল মেহেতা (Hansal Mehta) সবার প্রথম পরিচালকের প্রয়াণের খবর টুইটে প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, 'প্রদীপ সরকার। দাদা শান্তিতে থাকুন।'
অজয় দেবগন টুইটে লেখেন, প্রদীপ সরকারের প্রয়াণের খবর মেনে নেওয়া আমাদের মতো কিছুজনের জন্য কঠিন। আমার গভীর সমবেদনা এবং প্রার্থনা রইল যে জন চলে গিয়েছে, তাঁর জন্য ও তাঁর পরিবারের জন্য। শান্তিতে থাকুন দাদা। '
অভিষেক বচ্চন টুইটে লিখেছেন, 'ঘুম ভেঙেই মর্মান্তিক খবর। শান্তিতে থাকবেন দাদা। ধন্যবাদ ভালোবাসার জন্য। আপনার জীবনে আমাকে একটি ছোট্ট অংশ করার জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে খুব মনে পড়বে।'
অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী হনসল মেহেতার পোস্ট রিটুইট করে লিখেছেন, 'উফফ, এ মেনে নেওয়া যায় না, শান্তিতে থাকুন দাদা !'
অভিনেত্রী পত্রলেখা টুইটে লিখেছেন, 'বিদায় দাদা , আপনাকে খুব মনে পড়বে। মূল্যবান স্মৃতিগুলোর জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ভালোবাসা এবং সম্মান সর্বদা।'
অভিনেতা নীল নিতিন মুকেশ লিখেছেন, 'দাদা কেন? আপনার সজীব, শিশু সুলভ হৃদয় যা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে তাঁকে সর্বদা মনে রাখব। আপনার সৃষ্টি 'লাফাঙ্গে পরিন্দে'কে সবসময় আমার হৃদয়ের কাছের হয়ে থাকবে। পরিবারের জন্য আমার প্রার্থনা।'
সুরকার স্বনন্দ কিরকিরে টুইটে শোক জ্ঞাপন করে লিখেছেন, 'চিত্র পরিচালক এবং আমার প্রিয় বন্ধু প্রদীপ সরকার, পাগল মানুষটি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে আজ সকালে। শান্তিতে থাকবেন দাদা। সিনেমার শিল্পকলার প্রতি আপনার আবেগ, আপনার সিনেমায় রয়ে যাবে। সারা পৃথিবীর মাটি এক করার মানুষ, আজ স্বর্গের মাটি বাক্সবন্দী করুন। ধন্যবাদ আমাকে এবং আমার শব্দগুলোকে ভালোবাসার জন্য।'
Film maker and dearest friend Pradeep Sarkar the mad man left us this morning . Rest in peace Dada your passion for the art of cinema will stay in your works ! Duniya bhar ki mitti ikatthi karte the ab jannat ki mitti dibiya mein bharna .Thank you for loving me and my words 🙏🏽
— Swanand Kirkire (@swanandkirkire) March 24, 2023
প্রদীপ সরকার পরিচালিত 'পরিনীতা', 'লাগা চুনরি ম্যায় দাগ', 'মর্দানি' এবং 'হেলিকপ্টার ইলা' সমালোচকদের দ্বারাও প্রশংসিত। 'কোল্ড লস্যি এবং চিকেন মশলা', 'ফরবিডেন লাভ এন্ড এরেঞ্জ ম্যারেজ' এর মতো ওয়েবসিরিজও তিনি পরিচালনা করেছেন। তাঁর প্রয়াণে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন, স্মৃতিচারণ করেছেন, সহকর্মী অভিনেতা ও বন্ধুমহল।
৬৮তম জাতীয় পুরস্কার ঘোষণার মঞ্চে দক্ষিণের ছবির জয়জয়কার। তবে পিছিয়ে নেই বাংলাও। শুভ্রজিৎ মিত্রর অভিযাত্রিক ছবির ঝুলিতে গিয়েছে জোড়া পুরস্কার। একটি সেরা বাংলা ছবি আর দ্বিতীয়টা সেরা চিত্রগ্রহণ। যুগ্মভাবে সেরা অভিনেতা হয়েছেন তানহাজি ছবির জন্য অজয় দেবগণ এবং সুরারই পাত্তু ছবির জন্য সূর্য। সুরারই পাট্টু ছবির সৌজন্যে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন অপর্ণা বালামুড়ি।
সেরা ছবি মালায়লাম ভাষায় সচ্চিদানন্দন কে পরিচালিত একে আয়াপ্পানম। সেরা চলচ্চিত্র 'সুরারই পট্টরু'। এই ছবির ঝুলিতে গিয়েছে, সেরা সংগীত পরিচালকের পুরস্কার। এই পুরস্কার পান জি ভি প্রকাশ এবং আলা বৈকুণ্ঠপুরামুলু। এদিকে, সেরা সহ-অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন বিজু মেনন। মরণোত্তর সেরা পরিচালক সচি। সেরা সুরকারের পুরস্কার পান সাইনা ছবির মনোজ মালয়ালম।
পাশাপাশি সামাজিক বিষয় নিয়ে তৈরি সেরা ছবি 'জাস্টিস ডিলেইড বাট ডেলিভারড' এবং 'থ্রি সিস্টার্স'। বাঙালি পরিচালক রত্নাবলী রায়ের এই ছবিট থ্রি সিস্টার্স-এর দৌলতে বাংলার ঝুলিতে চলতি বছর আরও একটা জাতীয় পুরস্কার।
অপরদিকে, চলচ্চিত্রবান্ধব রাজ্য হিসেবে পুরস্কৃত মধ্যপ্রদেশ। প্রশংসা কুড়িয়েছে উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ।এছাড়া সর্বাধিক বিনোদনমূলক ছবি 'তানহাজি'।