ফের মাঝ আকাশে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এবারে বিমানের (Flight) শৌচালয়ে নয়, সিটের পাশেই মলত্যাগ, প্রস্রাব ও থুতু ফেলার অভিযোগ উঠল এক বিমানযাত্রীর বিরুদ্ধে। ২৪ জুন মুম্বই (Mumbai) থেকে দিল্লিগামী (Delhi) বিমানে এমন ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস (Police)।
পুলিস সূত্রে খবর, ২৪ জুন মুম্বই থেকে দিল্লিগামী বিমানে উঠেছিলেন রাম সিং নামের এক ব্যক্তি। এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার এআইসি ৮৬৬ বিমানের ১৭এফ-এ তার সিট ছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, সে সিটের ৯ নম্বরের লাইনে গিয়ে এইসব অভব্য কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এরপর তার এইসব কাণ্ড বিমানকর্মীর চোখে পড়তেই তাকে অন্যান্য যাত্রীদের থেকে তাকে সরিয়ে রাখা হয়। এরপর এই বিষয়ে বিমানচালককেও সতর্ক করা হয়। রাম সিং-এর এমন কাণ্ডে স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত হয়ে পড়েন অন্যান্য যাত্রীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন বিমান সেবিকারা।
এরপর বিমান দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পরই তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ২৯৪ ও ৫১০ ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এরপর এয়ার ইন্ডিয়ার তরফেও একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, সংস্থা এমন ধরনের আচরণ কখনও মেনে নেয় না। তারা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে।
ফের বিমানবন্দরে (Airport) এক হুলস্থুল কাণ্ড। রবিবার লন্ডন থেকে দিল্লিগামী বিমান নিয়েই জয়পুর বিমানবন্দরে (Jaipur Airport) হইহই পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, গতকাল আবহাওয়া ঠিক না থাকায় লন্ডন থেকে দিল্লি আসার সময় এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার (Air India) বিমানকে জয়পুরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। এরপর আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলে ফের বিমান ওড়ানোর অনুমতিও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেই বেঁকে বসেন পাইলট। তিনি বলে ওঠেন, তিনি আর বিমান ওড়াতে পারবেন না। কারণ তার কাজের সময় ফুরিয়ে গিয়েছে। আর এর ফলেই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের।
জানা গিয়েছে, ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন থেকে দিল্লির পথে উড়ান দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১১২ বিমান। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে দিল্লি না গিয়ে জয়পুরের বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। তবে আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে গেলেও অবতরণের দু'ঘণ্টা পর জয়পুর বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করতে রাজি হলেন না এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের পাইলট। তখনই তিনি বলে ওঠেন, তিনি আর বিমান চালাতে পারবেন না। কারণ তাঁর সময় ফুরিয়েছে।
বিমানচালক যেতে না চাইলে ও তাঁর জেদেই তিনি অনড় থাকায় পরে বিমানযাত্রীরা কেউ কেউ নিজেরাই নিজেদের মতো সড়কপথেই দিল্লিতে ফিরে যান। এরপরও ৫ ঘণ্টা পেরিয়ে যায়, তখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়, আসলে কোনও পাইলটের ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন পেরিয়ে গেলে তিনি আর বিমান চালাতে পারবেন না। তাই যাত্রীদের জন্য বিমানকর্মী সহ অন্য বিমান দেওয়া হবে আশ্বাস দেওয়া সংস্থার পক্ষে।
ফের এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) বিমানের (Flight) ককপিটে বান্ধবীকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল দুই পাইলটের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার একটি বিমানে। এমনই অভিযোগ করেছেন বিমানের কেবিন ক্রু। অভিযুক্ত ওই দুই পাইলটকে সাময়িকভাবে সাসপেণ্ড করলেন বিমান সংস্থা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারিও একই ঘটনা ঘটেছিল এয়ার ইণ্ডিয়ার দিল্লি-দুবাই বিমানে। বিমানের ককপিটে বান্ধবীকে নিয়ে গিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পাইলটের লাইসেন্স সাসপেন্ড করেছিল ডিজিসিএ। পাশাপাশি ৩০ লক্ষ টাকার জরিমানার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল বিমান সংস্থাকে।
উল্লেখ্য, এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধে বারবার নানান অমানবিকতার অভিযোগ উঠেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান উড়ানের অপেক্ষায় প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দের অপেক্ষা করেছেন যাত্রীরা। তবে এই লম্বা সময়েই মাঝে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় জল পরিষেবাও দেয়নি এই বিমান সংস্থা, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে।
যাত্রীদের অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে। বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর থেকে মুম্বই যাওয়ার উড়ান এআই ৬১০-এ বোর্ডিংয়ের অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। সন্ধ্যে ৭ টা ২০ নাগাদ বিমানটি রওনা হওয়ার কথা ছিল। তবে তা ছাড়তে ঘণ্টাখানেক দেরি হবে বলে জানায় বিমান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এক-দু ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বিমান উড়ানের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। উপরন্তু খাবার জল শেষ হয়ে যাওয়ায়, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানবন্দর কর্মীদের কাছে জল চাওয়া হয়েছিল। তাঁরা তা দিতে চাননি, এমনটাই অভিযোগ। এই দুটি ঘটনাতেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের যাত্রীরা তাঁদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং পরিষেবার অবনতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ফের বিমানে বিপত্তি। মাঝ আকাশে বিমানের (Flight) মধ্যে পুরুষ যাত্রীর (Passenger) মারধরের শিকার হলেন একজন বিমান সেবিকা (crew member)। অভিযোগ, সোমবার গোয়া থেকে দিল্লিগামী এআই৮৮২ বিমানে এক যাত্রী বিমান সেবিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ছাড়াও একজনকে শারীরিকভাবে হেনস্থাও করা হয় বলে অভিযোগ। অবতরণের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটি এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) সংস্থা বিমানের।
সূত্রের খবর, গত ২৯ মে এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের এক যাত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, মাঝ আকাশে বিমান সেবিকাদের সঙ্গে অভব্য ভাষায় কথা বলেন ওই যাত্রী। শুধু তাই নয়, এক বিমান সেবিকাকে অশ্লীলভাবে স্পর্শও করার চেষ্টাও করেন তিনি। আরও জানানো হয়েছে, দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের সময়েও অভিযুক্ত যাত্রী অপ্রীতিকর, আক্রমণাত্মক আচরণ চালিয়ে যান। পরে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পরেই সেই যাত্রীকে নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এর আগেও একাধিকবার কখনও যাত্রীর ধূমপান, আবার কখনও বিমান সেবিকাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, সহ-যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, বিমানের সিটে প্রস্রাব নানা কাণ্ড ঘটে গিয়েছে আকাশ পথে। অভিযুক্তরা নিজেদের অপরাধের জন্যে উপযুক্ত শাস্তিও পেয়েছেন। কিন্তু তবুও একই রকমের ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি।
বিমান চলাকালীন মাঝ আকাশে তীব্র ঝাঁকুনিতে আহত বেশ কিছু যাত্রী (Passenger)। গন্তব্যে পৌঁছনোর পর তাঁদের চিকিৎসার (Treatment) ব্যবস্থা করা হয়। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) ওই বিমান (Airplane) সিডনির উদ্দেশে যাত্রা করেছিল।
আন্তর্জাতিক এক সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক গোলযোগের কোনও কারণেই মাঝ আকাশে বিমানটি হঠাৎ কেঁপে ওঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রবল ঝাঁকুনির ফলে যাত্রীরা তাঁদের আসন থেকে ছিটকে পড়েন। ফলে অনেকেই আহত হয়ে পড়ে। এর পর সিডনিতে নামার পর আহত যাত্রীদের তড়িঘড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় বিমানবন্দরেই। কোনও যাত্রীকে হাসপাতালে পাঠাতে হয়নি বলে দাবি সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
সূত্রের খবর, বিমানের ৭ জন যাত্রী আহত হন। তাঁদের বিমানের মধ্যে চিকিৎসক এবং বিমানকর্মীরা প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেন। কারও চোটই তেমন গুরুতর নয় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মাঝ আকাশে বিমানে ঝাঁকুনির ফলে যাত্রীরা বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
বিমানের মধ্যে কাঁকড়াবিছে (Scorpion)! আর সেই বিছের কামড় খেলেন বিমানেরই এক যাত্রী। গত ২৩ এপ্রিল নাগপুর থেকে মুম্বইগামী ওই বিমানের মধ্যে এক মহিলাকে কাঁকড়াবিছে কামড়ায় বলে অভিযোগ ওঠে। বিমানের মধ্যে এমন কাণ্ড ঘটায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাকি যাত্রীরাও। তবে সেই ঘটনার পরই বিমানটিকে তড়িঘড়ি অবতরণ করানো হয় ও সেই মহিলার চিকিৎসা করানো হয়।
গত ২৩ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে (Air India)। তবে শনিবার খবরটি প্রকাশ্যে আসে। সেদিন ঘটনাটি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় মুম্বই বিমানবন্দরে। বিমানটি বন্দরে এসে পৌঁছনোর পরই ওই মহিলাকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি।
বিমানের মধ্যে কীভাবে কাঁকড়াবিছে এল এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তবে এই কাণ্ড নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান বন্দরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়, এর আগেও এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। এর আগে বিমানে পাখি,সাপ এমনকি ইঁদুরও উদ্ধার করা হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) সিইও (CEO) ক্যাম্বেল উইলসন এবং নিরাপত্তা বিষয়ক আধিকারিককে নোটিস (Notice) দিল ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ (DGSA)। মাঝ আকাশে ককপিটে বান্ধবীকে নিয়ে মোচ্ছব করার ঘটনাতেই এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। ২১ এপ্রিল নোটিস জারি করা হয়েছে। এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিমানের এক কর্মীই পাইলটের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করেন। বিমানের কর্মীর দাবি, ২৭ ফেব্রুয়ারি নিয়ম ভেঙে পাইলট তাঁর এক বান্ধবীকে ককপিটে ঢোকার অনুমতি দেন। এমনকি বান্ধবীকে স্বাগত জানানোর জন্য মদ সহ বিভিন্ন খাবরের ব্যবস্থারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই ঘটনা জানার পর ডিজিসিএর দাবি, এয়ার ইন্ডিয়া সময় মতো এই ঘটনার কথা তাঁদের জানায়নি। যা শৃঙ্খলাভঙ্গ করা হয়েছে বলে মনে করছে ডিজিসিএ। তাই তদন্তের নির্দেশ দেয় ডিজিসিএ। ওই নির্দিষ্ট বিমানের সমস্ত কর্মীকে কাজ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে। এমনকি সংস্থার সিইওকে নোটিস পাঠানো হল।
মাঝ আকাশে বান্ধবীকে ককপিটে (Cockpit) নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক পাইলটের (Pilot) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বন্ধবীকে নিয়ে ককপিটে এক ঘণ্টারও বেশি সময় কাটান ওই পাইলট। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এয়ার ইন্ডিয়ার ওই পাইলটের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা(DGCA)।
সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানের এক কর্মী পাইলটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, নিয়ম অনুযায়ী ককপিটে যাত্রীরা কেউ ঢুকতে পারেন না। কিন্তু সেই নিয়ম অমান্য় করে পাইলট তাঁর বান্ধবীকে ককপিটে ঢোকার অনুমতি দেন। শুধু ককপিটে বসানোই নয়, এমনকি বিমানকর্মীদের বলা হয়, তাঁর বান্ধবীকে স্বাগত জানানোর জন্য ককপিটে সবরকম ব্যবস্থা করতে। এ ছাড়াও মদ, খাবার দেওয়ারও নাকি নির্দেশ দেওয়া হয় কর্মীদের।
আরও অভিযোগ, বান্ধবী যাতে আরাম করে বসতে পারেন, তার জন্য বালিশেরও ব্যবস্থা করতে বলা হয়। ওই বিমানকর্মীর দাবি, আমাকে যখন মহিলার জন্য পানীয় জল এবং খাবার আনতে বলা হয়, তখন ক্যাপ্টেনকে বলেছিলাম, ককপিটে আমি মদ পরিবেশন করতে পারব না। এ কথা শুনে তিনি একটু রেগে যান। তারপর থেকেই আমার সঙ্গে পরিচারকের মতো ব্যবহার করতে থাকেন। এই বিষয়ে বিমান সংস্থার কাছে খবর পৌঁছতেই তারা জানিয়েছে, গোটা ঘটনাটিকে শুরু থেকে শেষ অবধি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনায় অভিযোগে দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে সংস্থা কোনও রকম আপস করবে না বলেও জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
বিমান বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না। কখনও মদ্যপ অবস্থায় সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব। আবার কখনও বিমানের ক্রু-এর সঙ্গে ঝগড়া। আবার বিমানের টয়লেটে বসে ধূমপান। একের পর এক ঘটনা যেন ঘটেই চলেছে। এবার এক যাত্রীর (Passenger) অভব্য আচরণের জন্য তাঁকে বিমান থেকেই নামিয়ে দেওয়া হল। সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে (Air India) ঘটেছে এই ঘটনা।
সূত্রের খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার AI111 বিমানটি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল সোমবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে। মোট ২২৫ জন যাত্রী ছিল সেই বিমানে। জানা গিয়েছে, মাঝ আকাশে এক ব্যক্তি বিমান কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু করেন। তাঁকে বারবার সতর্ক করা হলেও তিনি থামেননি। বরং বিমান কর্মীকে মারধর করতে শুরু করেন।
এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, তাঁর এই আচরণে আহত হয়েছেন দুই বিমানকর্মী। সঙ্গে সঙ্গে পাইলট বিমানকে দিল্লিতে ফিরিয়ে নিয়ে যান। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরই ওই ব্যক্তিকে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এয়ার ইন্ডিয়া ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছে। এরপর ফের লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি।
প্রসঙ্গত, গত মাসে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডন থেকে মুম্বইগামী একটি বিমানে এক যাত্রীকে ধূমপান করতে দেখা যায়। তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। এদিকে গত বছরের নভেম্বর মাসে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এয়ার ইন্ডিয়া ব্যর্থ হওয়ার এই বছরের প্রথম দিকে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এয়ার ইন্ডিয়াকে।
ফের অভিযোগের কাঠগড়ায় এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। এবার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি অন্তর্দেশীয় বিমানের খাবারে জীবন্ত পোকা ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। ছবি ভাইরাল হতেই ক্ষমাপ্রার্থী এই বিমান সংস্থা। ঘটনাটি সরাসরি টুইট (Tweet) করে জানিয়েছেন ওই বিমানের এক যাত্রী। জানা গিয়েছে, মুম্বই থেকে চেন্নাই যাচ্ছিলেন মহাবীর জৈন নামে এক যাত্রী। বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণের কারণে তাঁকে খাবার পরিবেশন করা হয়। মহাবীর ওই খাবারের ভিডিও করে সঙ্গে সঙ্গে তা টুইটারে পোস্ট করেন।
ওই যাত্রী টুইটারে লেখেন, তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান এআই-৬৭১-এর বিজনেস ক্লাসে মুম্বই থেকে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেখানে যে খাবার দেওয়া হয়, তাতে পোকা ছিল। তিনি আরও বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখানে খাবার দেওয়া হয় বলে মনে হচ্ছে না। এই ধরনের উদাসীনতা গ্রহণযোগ্য নয়।'
এরপরই এই টুইট নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। এই সমস্ত তীব্র সমালোচনার পর অবশ্য এয়ার ইন্ডিয়া তরফে টুইট করা হয়েছে। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার টুইটে লেখা হয়েছে, 'আমাদের পরিষেবা গ্রহণ করার পর আপনার এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে আমরা দুঃখিত। আমরা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা অনুসরণ করি। আপনার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ করব।'
এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানের (Flight) একটি ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। জানা গিয়েছে, তেলের ট্যাঙ্কে ফুটো হয়ে যাওয়ার কারণে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে বিমানটি সুইডেনের স্টকহোম বিমানবন্দরে (Sweden's Stockholm airport) জরুরি অবতরণ (emergency landing) করা হয়।
বুধবার সময় মতোই আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বিমানটি। সওয়ার ছিলেন ৩০০ জন যাত্রী। মাঝ-আকাশে থাকাকালীনই ইঞ্জিনের সমস্যার কথা বুঝতে পারেন বিমানের পাইলট। যে কারণে একটি ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন তিনি। পরে সুইডেনের স্টকহোম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটির। দেখা যায়, দ্বিতীয় ইঞ্জিনের পিছনের অংশের ট্যাঙ্ক দিয়ে লিক হচ্ছে জ্বালানি। যদিও বিমানে উপস্থিত সকল যাত্রীই নিরাপদে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করে গন্তব্যে রওনা করা হচ্ছে।
স্টকহোমে বিমানের জরুরি অবতরণের আগেই দমকল কর্মীরা হাজির ছিলেন। যদি অবতরণের সময় কোনও বিপত্তি হয়, তা ঠেকাতে মজুত ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। তবে কোনও রকম সমস্যা হয়নি বলেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর।
একের পর এক বিমান দুর্ঘটনার খবর। এবার আচমকা আগুন ধরে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) এক্সপ্রেস বিমানে। শুক্রবার আবুধাবি থেকে কালিকটগামী (Abu Dhabi-Calicut) একটি বিমানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট IX-348-এর একটি ইঞ্জিনে আগুন (Fire) ধরে, আর তা লক্ষ্য করেন পাইলট। এরপর 'জরুরি' অবস্থা ঘোষণা করে আবুধাবি বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনা হয় বিমানটি।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইটে মোট ১৮৪ জন যাত্রী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ইঞ্জিনের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে আগুন ধরে যায়। বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছে এবং সমস্ত যাত্রী নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, টেক অফ করার পরেই বিমানের সামনের দিকের ইঞ্জিনে আগুন ধরে। বিমানের অন্যত্রও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আবু ধাবির বিমানবন্দরেই জরুরি অবতরণ করে এয়ার ইন্ডিয়ার বি ৭৩৭-৮০০ বিমানটি।
এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, "উড়ানের সময় প্রযুক্তিগত সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং বিমানটি ১৮৪ জন যাত্রী নিয়ে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সমস্ত নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।" এখন প্রশ্ন উঠছে, আকাশে ওড়ার আগে কি সঠিক ভাবে বিমানের যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করা হয়ছিল?
এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানে বৃদ্ধা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবের ঘটনা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। ঘটনায় অভিযুক্ত মুম্বই (Mumbai) নিবাসী শঙ্কর মিশ্রকে (Shankar Mishra) বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে গ্রেফতার (arrested) করেছিল দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। এবার তাঁকে জামিন দিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট (Delhi Patiala House Court)। অতিরিক্ত দায়রা জজ (Additional Sessions Judge ) হরজ্যোত সিং ভাল্লা ১ লক্ষ টাকা বন্ডের বিনিময়ে তাঁকে জামিন দেন।
উল্লেখ্য, ২৬শে নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এক বৃদ্ধা যাত্রীর উপর প্রস্রাব করেছিলেন অভিযুক্ত শঙ্কর। অভিযোগ, নভেম্বরে নিউ ইয়র্ক-দিল্লি বিমানে তিনি বিজনেস ক্লাসে নিজের প্যান্টের চেন খুলে এক মহিলার গায়ে প্রস্রাব করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে তাঁর সংস্থা ওয়েলস ফার্গো।
ঘটনার পর থকে বেশ কয়েকদিন পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত শঙ্কর। এরপর বেঙ্গালুরু থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শঙ্করের আইনজীবী মনু শর্মা জামিনের আবেদন করেন। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার আদালত বলেছে, 'এই কাজ পুরোপুরি ঘৃণ্য এবং ঘৃণ্য নাগরিক চেতনাকে প্রমাণ করে। তবে অভিযোগকারী এবং সাক্ষী ইলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার ফারাক রয়েছে। তাই তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হল।'
এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানে বৃদ্ধা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক মুম্বই (Mumbai) নিবাসী শঙ্কর মিশ্রকে (Shankar Mishra) বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে গ্রেফতার (arrested) করেছিল দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। এবার তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট (Delhi Patiala House Court)।
ঘটনার পর থকে বেশ কয়েকদিন পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত শঙ্কর। এরপর পুলিসি জালে ধরা পড়লেন তিনি। বুধবার শঙ্করের আইনজীবী মনু শর্মা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোমল গর্গের এজলাসে শঙ্করের জামিনের আবেদন করেন। আইনজীবীর দাবি, কোনওরকম যৌন ইচ্ছা থেকে তাঁর মক্কেল ঘটনাটি ঘটাননি। নেশাগ্রস্ত হয়ে তিনি এমনটা ঘটিয়ে বসেন। অভিযোগকারিণীকে হেনস্থা করা তাঁর মক্কেলের উদ্দেশ্য ছিল না। এমনকি শঙ্কর পুলিসি তদন্তেও সবরকম সাহায্য করছেন বলে দাবি করেন।
দিল্লি পুলিস অভিযুক্তের আবেদনের বিরোধিতা করে বলে, মামলা মীমাংসা হতে অনেকটা দেরি। এখনই অভিযুক্তকে ছেড়ে দিলে তদন্তে বড়সড় ক্ষতি হবে। এমনকি অভিযোগকারিণীকে প্রভাবিত করতে পারেন শঙ্কর। দিল্লি পুলিসের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, তদন্তে এখনও পর্যন্ত ১৬৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
শীঘ্রই আরও কয়েক জনের বয়ান নেওয়া হবে। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর শঙ্করের জামিনের বিষয়ে নির্দেশ স্থগিত রেখেছিলেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তিনি সেই আবেদন খারিজ করেন। উল্লেখ্য, ২৬শে নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এক বৃদ্ধা যাত্রীর উপর প্রস্রাব করেছিলেন অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র। অভিযোগ, নভেম্বরে নিউ ইয়র্ক-দিল্লি বিমানে তিনি বিজনেস ক্লাসে নিজের প্যান্টের চেন খুলে এক মহিলার উপর প্রস্রাব করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে তাঁর সংস্থা ওয়েলস ফার্গো।
ওই সংস্থা জানিয়েছে, শঙ্কর মিশ্রের উপর ওঠা অভিযোগ 'অত্যন্ত বিরক্তিকর'।
এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানে বয়স্কা সহ-যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনায় নয়া মোড়। ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক মুম্বই (Mumbai) নিবাসী শঙ্কর মিশ্রকে (Shankar Mishra) বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে গ্রেফতার (arrested) করল দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। বেশ কয়েকদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে পুলিসি জালে ধরা পড়লেন তিনি। শঙ্করকে গ্রেফতার করার জন্য তাঁর নামে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। তিনি যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, তার জন্য দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল।
সূত্র মারফত খবর, অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র বেঙ্গালুরুতে একটি হোম-স্টেতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দিল্লি পুলিস, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে অভিযান চালাচ্ছিল। কারণ এই দুটি শহরেই তাঁর অফিস রয়েছে এবং তিনি প্রায়শই এই শহর দুটিতে ভ্রমণ করতেন। শেষমেশ দিল্লি পুলিসের একটি দল তাঁর অবস্থান জানতে পেরে সেখানে হানা দেয়।
উল্লেখ্য, শঙ্কর মিশ্র নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এক বৃদ্ধা যাত্রীর উপর প্রস্রাব করেছিলেন। অভিযোগ, নভেম্বরে নিউ ইয়র্ক- দিল্লি বিমানে তিনি বিজনেস ক্লাসে নিজের প্যান্টের চেন খুলে এক মহিলার উপর প্রস্রাব করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে তাঁর সংস্থা ওয়েলস ফার্গো। ওই সংস্থা জানিয়েছে, শঙ্কর মিশ্রের উপর ওঠা অভিযোগ 'অত্যন্ত বিরক্তিকর'।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কোম্পানিটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ওয়েলস ফার্গো কর্মীদের পেশাদার এবং ব্যক্তিগত আচরণের সর্বোচ্চ মান ধরে রাখে এবং এই অভিযোগুলিকে আমরা অত্যন্ত বিরক্তিকর বলে মনে করি। ওই ব্যক্তিকে ওয়েলস ফার্গো বরখাস্ত করেছে।" শঙ্কর মিশ্র যখন নিখোঁজ ছিল, তখন তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়া শঙ্কর মিশ্রকে ৩০ দিন তাদের সংস্থার বিমানে ওঠার উপর নিষোজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও শঙ্কর মিশ্রের বাবা দাবি করেছেন, তাঁর ছেলেকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য এ কাজ করা হয়েছে।