Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

AdenoVirus

Adeno: জ্বর-শ্বাসকষ্টে জারি মৃত্যু! শহরের হাসপাতালে আড়াই বছর, সাত মাসের ২ শিশুর মৃত্যু

শহরের হাসপাতালে অব্যাহত জ্বর-শ্বাসকষ্টে শিশুমৃত্যু (Child Death)। বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) ২৪ ঘন্টায় অন্তত চার শিশুর মৃত্যু। রবিবার সকালে বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও দুই শিশুর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক আড়াই বছরের শিশুকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শিশুটি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার কার্তিকপুরের বাসিন্দা। জ্বর থেকে নিউমোনিয়া হয়। পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার বা পিকুতে (PICU) ভর্তি ছিল শিশুটি। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার আইসিইউ-তে বেডের প্রয়োজন থাকলেও তা পাওয়া যায়নি। 

অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চৈতালের বাসিন্দা ৭ মাসের শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই শিশু। গত ৯ দিনে বিসি রায় হাসপাতালে মোট ৩৭টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বিসি রায় হাসপাতাল শহরের অন্যতম পেডিয়াট্রিক কেয়ার হাসপাতাল। তবে রবিবার হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ বিভাগ খোলা থাকলেও বন্ধ ছিল হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিক। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা মানুষদের। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতিদিনই ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে ফিভার ক্লিনিক। তবে রবিবার কেন বন্ধ এই বিভাগ তা স্পষ্ট নয়। এমনটাই অভিযোগ রোগী পরিবারের। 

অন্যদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিত্রটা একটু আলাদা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ৪৮ ঘন্টায় ২৪ জন অ্যাডিনো আক্রান্ত শিশু ভর্তি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বিভাগে। তবে গত ৪৮ ঘন্টায় কোনও শিশুর মৃত্যুর খবর নেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে স্বস্তির খবর মিললেও শিশুমৃত্যু অব্যাহত  বিসি রায় হাসপাতালে। 


one year ago
Infection: শহরের হাসপাতালে ফের অ্যাডিনোর বলি প্রায় এক বছরের শিশু

ফের অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adeno Virus) বলি প্রায় এক বছরের শিশু। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) মৃত্যু হয় শিশুটির। হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর অভিযোগ শিশুর পরিবারের। জানা গিয়েছে, শাসন থানার অন্তর্গত গোলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই শিশু। গত রবিবার পরিবারের সদস্যরা শিশুকে ভর্তি করেছিলেন বিসি রায় হাসপাতালে। তিনদিন চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দেওয়া হয় শিশুটিকে। বাড়িতে এসে ফের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানেই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয় শিশুটি। এরপরেই মৃত্যু হয় শিশুর (Child Death)।

পরিবার সূত্রে খবর, একমাস আগে শিশুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। প্রথমে বারাসাত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর চিকিৎসকরা শিশুটিকে ছেড়ে দেন। পরে আবার নতুন করে জ্বর-সর্দি-কাশি হলে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। সেখানেও তিনদিন চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। গত তিনদিন আগে ফের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

সেখানেই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায় শিশুটি। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটি অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তা আগে কেন জানানো হয়নি। একের পর এক শিশু মৃত্যুতে ঘুম কাড়ছে রাজ্যের। তারপরেও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির ছবি দেখছে সাধারণ মানুষ। এমনটাই বিরোধীদের অভিযোগ। 

মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের বৈঠকে জানান, প্রত্যেকটি শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এমনকি হাসপাতালগুলিতে আছে পর্যাপ্ত পরিমানে শিশুর ডাক্তার। তারপরেও কেন শিশু হাসপাতালগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে না অক্সিজেন সিলিন্ডার, অভিযোগ সাধারণ মানুষের। 

গত ৬ দিন আগে কামালগাছির এক ছয় মাসের শিশু জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয় ক্যানিং হাসপাতালে। কিন্তু প্রথমে ক্যানিং থেকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে চিত্তরঞ্জন থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বিসি রায় হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির। 

one year ago
Adeno:কারও বয়স ৩দিন, কারও আবার ৭ মাস! শহরের হাসপাতালে অব্যাহত শিশুমৃত্যু

জ্বর-শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় নিউমোনিয়ার (Pneumonia) প্রকোপে ফের শিশুমৃত্যু কলকাতায়। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত শহরের দুই হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্যু। বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) ২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, এদের মধ্যে একজন সদ্যোজাত, অপরজনের বয়স প্রায় ৪ বছর (৩ বছর ৮ মাস)। এই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বুধবার সকালে। তবে এই দু'জনের অ্যাডিনো (Adeno virus) ছিল কিনা হাসপাতাল সূত্র কিছু নিশ্চিত করেনি। অপরদিকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও দুই শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৭ মাস, অপর জনের বয়স ২২ দিন।

জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে ৪ বছরের যে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বিসি রায় হাসপাতালে, সে গোবরডাঙার বাসিন্দা। তাকে প্রথমে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। ২৬ তারিখ সে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে বের করলে বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ মৃত্যু হয় খুদের। জানা গিয়েছে, জ্বর-শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যু। পাশাপাশি বিসি রায় হাসপাতালে মৃত দ্বিতীয় শিশু রবিবার ভূমিষ্ট হয়েছিল। শিশুটি বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেদিন বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বারাসাত নবপল্লি এলাকার বাসিন্দা এই শিশুর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ছিল। ফলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।

এদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃত দুই শিশুর মধ্যে একজনের বয়স ৭ মাস। জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে চুঁচুড়া ইমামবারা হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আসে কলকাতার হাসপাতালে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ভর্তি ছিল সে। বুধবার ভোরে মৃত্যু হয়েছে সেই শিশুর। তাঁর শরীরে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। জানা গিয়েছে, সেই শিশুর জন্মগত হার্টের সমস্যা ছিল। হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে অ্যাডিনোর জেরে হওয়া নিউমোনিয়া মিটে গেলেও হার্টের সমস্যার জেরেই মৃত্যু।

অপরদিকে, দ্বিতীয় শিশুর বয়স ২২ দিন। হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি। উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছিল তাকে। অ্যাডিনো ভাইরাস পজিটিভ ছিল। মঙ্গলবার মধ্যরাতে মৃত্যু হয়েছে তার।

one year ago


Nabanna: অ্যাডিনো আতঙ্ক রাজ্যজুড়ে, নবান্নের অ্যাডভাইজরি

অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্ক রাজ্যজুড়ে। শহরের একাধিক হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর খবর এসেছে। আপদকালীন প্রস্তুতি নিতে মঙ্গলবার নবান্নে জরুরি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। করোনা সতর্কীকরণের মতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট খোলা। চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের।

আগামী ৭ দিন পর্যবেক্ষণের পর সতর্কীকরণের কথা ভাববে সরকার। তবে এখনি কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না। শিশুদের স্কুলে, প্রকাশ্যে জনবহুল জায়গায় ঘোরাফেরা, বিনোদন পার্ক, সিনেমা হল ও শপিং মলে যাওয়ার ক্ষেত্রে মুখে মাক্স পরা ও হাত স্যানেটাইজেশান করার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

এরপরই নবান্নের চোদ্দ তলায়, রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক হয়। এই বৈঠকের পর স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম জানান, 'আপাতত সরকারি হাসপাতালে পিডিএফ ওয়ার্ড এ ভর্তি থাকা শিশুদের সুস্থ হয়ে গেলে তাদেরকে অবিলম্বে হাসপাতালে বেড ছেড়ে দিতে হবে। অযথা বেড আটকে রাখা যাবে না।'

এদিকে, জ্বর-শ্বাসকষ্টজনিত কারণে শহরে অব্যাহত শিশুমৃত্যু। নেপথ্যে অ্যাডিনো আক্রমণে? জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের দুই হাসপাতালে ৫ শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের প্রভাবে এই শিশু মৃত্যু বলে খবর। বিসি রায় হাসপাতালে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত কারণে এই শিশু মৃত্যু বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ১৭ ফেব্রুয়ারি জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হরিণঘাটার বাসিন্দা এক সদ্যজাতকে।

তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। এদিন সকালে ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে সেই শিশুর। পাশাপাশি দেগঙ্গার বাসিন্দা ৭ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার। ২৪ ঘণ্টায় বিসি রায় হাসপাতালে ৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে অ্যাডভাইজরি জারি, তাতে উল্লেখ: 

*প্রত্যেকটি জেলা হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, দিবারাত্র একিউট রেসপিরেটরি ক্লিনিক খুলতে হবে

*পেডিয়াট্রিক এমার্জেন্সি থাকলেও প্রত্যেক হাসপাতালে, আলাদা করে একিউট রেসপিরিটেরি ইনফেকশনের পেডিয়াট্রিক ইউনিট খুলতে হবে

*মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গুলিতে সুপারকে না জানিয়ে,একিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনে আক্রান্ত শিশুদের কোনভাবেই রেফার নয়।বেড না থাকলেও,রেফার নয় 

*পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে ভেন্টিলেটর ছাড়াও,অন্যান্য ব্যাবস্থাপনা প্রস্তুত রাখতে হবে। প্রত্যেকদিন, হাসপাতালে সুপার এবং নার্সিং সুপারকে ব্যক্তিগতভাবে চেক করতে হবে সমস্ত ব্যবস্থাপনা

*প্রয়োজন অনুসারে, রেস্পিরেটরি ইনফেকশন ওয়ার্ডে স্নাতকোত্তরের চিকিৎসক এবং সিনিয়র রেসিডেন্টদের ব্যবহার করতে হবে

*আইসোলেশনের জোর দেওয়া হচ্ছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আশাকর্মী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের স্যানিটাইজেশনের উপরে জোর

*পেডিয়াট্রিক রেসপিরেটরি ইনফেকশনের ক্ষেত্রে প্রতিদিনই ক্রিটিকাল চেয়ার ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা চিকিৎসকদের

পাশাপাশি রাজ্যে পাঁচটি পেডিয়াট্রিক হাব গড়া হচ্ছে, এই হাবে চলবে অ্যাডিনো উপসর্গের চিকিৎসা

১. ডক্টর বি সি রায় হাসপাতাল

২. ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

৩. উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

৪. বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

৫. মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

এমনকি বেসরকারি হাসপাতালে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে

one year ago
Virus: জ্বর-শ্বাসকষ্টে শহরের দুই হাসপাতালে ৫ শিশুর মৃত্যু, নেপথ্যে অ্যাডিনো প্রকোপ?

জ্বর-শ্বাসকষ্টজনিত কারণে শহরে অব্যাহত শিশুমৃত্যু। নেপথ্যে অ্যাডিনো আক্রমণে? জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের দুই হাসপাতালে ৫ শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের প্রভাবে এই শিশু মৃত্যু বলে খবর। বিসি রায় হাসপাতালে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত কারণে এই শিশু মৃত্যু বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ১৭ ফেব্রুয়ারি জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হরিণঘাটার বাসিন্দা এক সদ্যজাতকে। তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। এদিন সকালে ৬ টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে সেই শিশুর। পাশাপাশি দেগঙ্গার বাসিন্দা ৭ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার। ২৪ ঘণ্টায় বিসি রায় হাসপাতালে ৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে আরও দুই শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিউমোনিয়ার জেরে এই শিশু মৃত্যু বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। মৃত শিশুদের মধ্যে একজনকে অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ থাকায় ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। মৃত এক শিশুর পরিবার সূত্রে খবর, প্রথমে আরজি করে ভর্তি ছিল ওই শিশু। সুস্থ বলে ছেড়ে দেওয়ার পর, বাড়িতে গিয়ে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় কলকাতা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ ওই শিশুর মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের ১ বছর ৮ মাসের এক শিশুর গায়ে জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং র‍্যাশ ছিল। ওই শিশুকে উদয়নারায়ণপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কলকাতা মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছিল। আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর।

এদিকে, সোমবার স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে হাসপাতালগুলোর বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে। রেফার বেশি হচ্ছে বিসি রায় হাসপাতালের। একদম শেষ মুহূর্তে জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতার হাসপাতালে বিশেষ করে বিসি রায় হাসপাতালে এই রেফারের জেরে রোগী বাড়ছে। ফলে নাজেহাল অবস্থা হাসপাতালগুলোর।

এই প্রসঙ্গে এক শিশু চিকিৎসকের মন্তব্য, 'অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হন। অভিভাবক, চাইল্ড কেয়ার গিভার প্রত্যেকে সতর্ক থাকুন। এই রোগ নিয়ে সচেতন থাকলে আমরা প্রস্তুত থাকতে পারতাম। করোনার সময় যেভাবে বিধি মেনে চলেছি সেভাবেই থাকতে হবে।'

one year ago