ফের গার্হস্থ্য হিংসা, ফের অত্যাচারিত এ রাজ্যের নারী। প্রথমে বেধড়ক মারধর। তারপরই গায়ে ঢেলে দেওয়া হল অ্যাসিড (Acid Attack)। পণের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীর উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ স্বামী ও তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সমেত গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আনলেন খোদ অ্যাসিড আক্রান্ত গৃহবধূ (housewife)। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলতলির (Kultali) দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে আহাচান হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই মহিলার। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। অভিযোগ, গত ২৬ তারিখ ঝামেলা চলাকালীন অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয় বধূর গায়ে। চিকিৎসা তো দূর, বাড়ি থেকে পর্যন্ত বেরোতে দেওয়া হয়নি ওই অ্যাসিড আক্রান্ত গৃহবধূকে।
অবশেষে, রবিবার রাতে কোনও ক্রমে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে থানায় অভিযোগ জানান বধূ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী আহাচান হালদার ও দ্বিতীয় স্ত্রী আসিদা হালদার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কুলতলি থানার পুলিস।
উল্লেখ্য, ২০২১-এর ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, গার্হস্থ্য হিংসার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। কারণ, পণের দাবি। সেই পরিসংখ্যানেরই তো ছোট্ট উদাহরণ কুলতলির এই ঘটনা।
আবারও প্রকাশ্যে এল নৃশংস ঘটনা। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় মামির গায়ে অ্যাসিড (Acid Attack) ছুড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাগ্নের বিরুদ্ধে। রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Katwa) কেতুগ্রামের ঝামুটপুর গ্রামে। ঘটনার পরই আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই কেতুগ্রাম থানায় ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় কেতুগ্রাম থানার পুলিস (Police) গ্রেফতার (Arrest) করেছে মূল অভিযুক্তকে। সোমবার অভিযুক্তকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিস।
নির্যাতিতা জানান, শনিবার তাঁর স্বামী মেয়েকে আনতে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই ভাগ্নে গোপাল দাস বাড়িতে এসে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয়। এমনকি তাঁর অজান্তেই তাঁকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে অভিযুক্ত। তবে বারবার অভিযুক্তকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। তারপরে একটি ঘরে গিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। এরপরেই বাড়ি থেকে চলে যায় অভিযুক্ত।
নির্যাতিতা আরও জানান, শনিবার রাতে স্বামী বাড়িতে ফিরে আসার পর তাঁকে সব ঘটনা বলেন নির্যাতিতা। এই পুরো ঘটনা শুনে রবিবার তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে ননদের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে তিনি ও তাঁর স্বামী ভাগ্নের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেন। তবে সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ও তার বাবা-মা। তারপরেই নির্যাতিতাকে তাঁরা অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। এরপর অশান্তি আরও বাড়লে অভিযুক্ত ঘর থেকে আ্যাসিড নিয়ে এসে নির্যাতিতার গায়ে ছুঁড়ে দেয়। এই ঘটনায় নির্যাতিতার দাবি, অভিযুক্তদের যেন কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি দেওয়া হয়।
লিভ-ইন সঙ্গীর (Live in Relation) অ্যাসিড হামলায় (Accid Attack) মৃত্যু ৫৪ বছরের প্রৌঢ়ার। প্রায় ৫০ শতাংশ পোড়া ঘা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়া। দু’সপ্তাহ ধরে হাসপাতালের বিছানায় থেকে লড়াই করার পর বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ে। অভিযুক্ত বৃদ্ধকে জানুয়ারি মাসেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মহেশ পূজারি(৬২)। এক মহিলার সঙ্গে তিনি গত ২৫ বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। একসঙ্গেই থাকতেন তাঁরা। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। তার জেরেই সঙ্গীর গায়ে অ্যাসিড ছুড়ে হামলা করেন অভিযুক্ত।
মুম্বই পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, ঝামেলার কারণে গত কয়েক দিন ধরে আর একসঙ্গে থাকছিলেন না তাঁরা। তবে গত ২৫ বছর ধরে ওই মহিলার বাড়িতেই একসঙ্গে থাকছিলেন দু’জন। সম্প্রতি ওই মহিলা তাঁর বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন মহেশকে। বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য মহেশের উপর চাপও দিতে থাকেন মৃতা।
ফলে ভাড়া বাড়িতেই থাকতে হচ্ছিল মহেশকে। এর পরেই অ্যাসিড নিয়ে সঙ্গীর উপর আক্রমণ করেন অভিযুক্ত। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই এই তথ্য সামনে উঠে আসে।
স্বামীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে (Acid Attack) মারায় অভিযুক্ত স্ত্রী। দেরি করে বাড়ি ফেরা নিয়ে তাঁদের মধ্য়ে অশান্তি, সেই অশান্তিতে রাগের মাথায় মহিলা, স্বামীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। এমন অভিযোগে মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। কানপুরের (Kanpur Incident) কুপারগঞ্জ এলাকায় আক্রান্ত যুবকের নাম ডাব্বু। শনিবার রাতে বেশ কিছুক্ষণ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া (Domestic Brawl) চলে। অভিযোগ, সে সময় রাগের মাথায় শৌচালয় থেকে অ্যাসিড বার করে আনেন স্ত্রী পুনম। কেন তাঁর বাড়ি ফিরতে এত রাত হল, স্ত্রীকে প্রশ্ন করেন ডাব্বু। কিন্তু স্বামীকে কৈফিয়ত দিতে রাজি ছিলেন না পুনম।
ফলে অশান্তি জোরালো হয়, শুরু হয় দু'জনের মধ্য়ে বচসা। তার মাঝে বোতল থেকে অ্যাসিড তিনি সোজা ডাব্বুর মুখ লক্ষ্য করে ছুডে় মারেন। আক্রান্ত যুবককে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত পুনম।
তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কী নিয়ে তাদের মধ্য়ে ঝামেলা, কেন তিনি আক্রমণ করলেন স্বামীকে, এর পিছনে অন্য কোন আক্রোশ ছিল কি, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। প্রতিবেশিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।
নৃশংসতার সীমা পার! সাংসারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে অ্যাডিস ছুঁড়ে মারার (acid attack) অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। নৃশংস এই ঘটনা অশোকনগর (Ashokanagar) থানার মানিকনগর খাসের মাঠ এলাকার। ঘটনার পর স্থানীয়রা খবর পেয়ে আক্রান্ত গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্বামীর সঙ্গেই হাসপাতালে (hospital) পাঠায়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস (police) আটক করেছে অভিযুক্ত স্বামীকে। আক্রান্ত গৃহবধূ এই মুহূর্তে হাবড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আক্রান্ত গৃহবধূর নাম সুস্মিতা মল্লিক ও অভিযুক্ত স্বামী কঙ্কন মল্লিক। বুধবার ঘড়িতে তখন ঠিক সাড়ে ১১ টা। এমন সময় আচমকাই এক প্রতিবেশীর দরজায় গিয়ে হাজির আক্রান্ত গৃহবধূ। তিনি জানান, অশান্তির সময় আচমকাই বাথরুমে রাখা অ্যাসিড এনে তাঁর ওপর ছুঁড়ে মেরেছেন স্বামী। কী করবেন বুঝতে না পেরে প্রতিবেশীদের কাছে সাহায্য চাইতে যান। এরপর ওই প্রতিবেশী স্থানীয়দের খবর দিতেই তাঁরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। রাত প্রায় ২ টো নাগাদ একটি টোটোতে করে আক্রান্ত গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে হাবড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। স্থানীয়রা জানান, স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন স্বামী। এই নিয়েই তাঁদের বিবাদ দীর্ঘদিনের। মাঝে মধ্যেই অশান্তি হয়। তবে বুধবার তা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়, জানালেন এক প্রতিবেশী।
ঘটনার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে স্বামী কঙ্কন মল্লিককে আটক করে পুলিস। তবে এখনও পর্যন্ত লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে প্রথমে গলা কেটে খুনের চেষ্টা (Murder)। তারপর মুখে অ্যাসিড (Acid Attack) ঢেলে দেওয়ার অভিযোগে উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) নেলোর জেলার ভেঙ্কটাচালাম গ্রামে। জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটির পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিসি হেফাজতে (Arrested) নেওয়া হয়েছে তাঁকে।
মেয়েটিকে প্রথমে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অ্যাসিড হামলায় মুখ পুড়ে যায় মেয়েটির। বর্তমানে কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকরা।
নেলোরের পুলিস সুপার বিজয়া রাও জানিয়েছেন, “ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। পরিচিত এক ব্যক্তি ওই কিশোরীর উপর হামলা চালায়। প্রথমে তার মুখে অ্যাসিড ঢেলে, তারপর গলা কাটা হয় বলে অনুমান। প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে কিশোরীর বাবাকে খবর দেন। এরপর দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান মেয়েটির বাবা।”
তিনি আরও বলেন, কেন এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ফের অ্যাসিড হামলা (Acid attack)। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) চাতরা জেলার (Chatra district) ১৭ বছরের একটি মেয়ে অ্যাসিড হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিল। বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS) নয়াদিল্লিতে (New Delhi) রেফার করা হয়। আকাশপথে ওই আক্রান্ত কিশোরীকে রাঁচি থেকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়।
নাবালিকার উপর ৫-ই অগাস্ট অ্যাসিড আক্রমণ হয়েছিল। এরপর রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (RIMS) চিকিৎসাধীন ছিল মেয়েটি। রাজ্য সরকার-চালিত ওই হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড মেয়েটির বিভিন্ন রিপোর্ট পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এইমস হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের মেয়ে ও তার পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা হিসাবে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তার একটি পোস্ট ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, মেয়েটিকে নয়াদিল্লির AIIMS ট্রমা সেন্টারের বার্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, "ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি যেন সুস্থ হয়ে দ্রুত ফিরে আসেন।"
হামলায় আহত মেয়েটির মা বলেন, তাঁদের গ্রাম ঢেবো থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে বসবাসকারী অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। গত দুই-তিন মাস ধরে সে তাঁর মেয়েকে উক্ত্যক্ত করছিল। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন চতরা জেলা প্রশাসক আবু ইমরান।