
রাজস্থানের উদয়পুরে দর্জি কানহাইয়ালালের খুন কাণ্ডে জড়িত মূল অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ (এমআরএম)। এমনকি তাদের "সন্ত্রাসী এবং শয়তান" বলে অভিহিত করেছে এই সংগঠন।
একটি বিবৃতিতে আরএসএস-সংশ্লিষ্ট সংগঠনটি বলেছে, "বর্বরজনক" ঘটনার অপরাধীরা "ইসলামকে অপমানিত" করেছে। এবং ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য অংশে "শান্তিপ্রিয়" মুসলমানদের জন্য "অসম্মান ও লজ্জা" দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জঘন্য হত্যাকাণ্ডে এমআরএম গভীরভাবে মর্মাহত, এবং এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাজস্থানের উদয়পুরের ধান মান্ডি এলাকায় কানহাইয়া লালকে হত্যা করেছে বলে দাবি করে অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করে মূল অভিযুক্তরা। তাদের দাবি ওই কাপড়ের ব্যবসায়ী "ইসলামের অবমাননা" করছেন। তাই তারা প্রতিশোধ নিয়েছে।
একটি ভিডিও ক্লিপে, দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে বলতে শোনা যায়, তারা কানহাইয়া লালের "শিরচ্ছেদ" করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হুমকি দেয় তারা।
এমআরএম বিবৃতিতে আরও বলে, ওই সন্ত্রাসী ও শয়তানদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক। তারা যে বর্বরোচিত অপরাধ করেছে তার জন্য তাদের ফাঁসি দেওয়া উচিত। এই মামলায় অভিযুক্তদের বিচারের জন্য সরকারের উচিত একটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারের এই খুনের ঘটনায় ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আর আটক করেছে ৭ জনকে। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন মৃত কাপড়ের ব্যবসায়ী কানহাইয়ালালের স্ত্রী।
মর্মান্তিক ঘটনা। একই পরিবারের তিনজনের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূমে। পারিবারিক অশান্তির জেরেই একই পরিবারের তিন সদস্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের ধারণা। এই ঘটনা বীরভূমের পারুই থানার অন্তর্গত মহুলা গ্রামের। শোকের ছায়া পরিবারে। সোমবার রাতে এই তিনজনই বিষপান করে আত্মহত্যা করেন বলে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার তাঁদের দেহ আনা হয় বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই ময়নাতদন্ত করা হয়।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃতরা হলেন প্রশান্ত পাত্র, স্ত্রী তৃপ্তি পাত্র এবং তাঁদের ছেলে দীপ পাত্র। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। যাতে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, মূলত পারিবারিক অশান্তির কারণে তাঁরা এমন পথ বেছে নিয়েছেন। এরজন্য তাঁরা ৭ জনকে দোষারোপ করে ওই সুইসাইড নোটে তাঁদের নাম উল্লেখ করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন মৃতরা।
মৃতা তৃপ্তির দাদা জানান, বোন ফোন করে জানায়, সে আর বাঁচবে না। তার স্বামীর পকেটে একটি সুইসাইড নোট আছে। তাতে যাদের নাম লেখা রয়েছে তারা যেন শাস্তি পায়। তিনি আরও জানান, তাঁর শাশুড়ি আর ননদ খুব অত্যাচার করত। এর আগেও বহুবার ঝামেলা, অশান্তি হয়েছে। এবার সহ্য করতে না পেরেই তাদের এই সিদ্ধান্ত।
চার বছরের চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের কেন্দ্রীয় প্রকল্প ঘিরে বিক্ষোভ। তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে শুক্রবারের হিংসার ঘটনায় একজন প্রাক্তন সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে, জানিয়েছে অন্ধ্র পুলিস । আভুলা সুব্বা রাও এই বিক্ষোভের পিছনে মূল পরিকল্পনাকারী বলে অভিযোগ ।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, তিনি জনতাকে একত্রিত করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছিলেন এবং সেকেন্দ্রাবাদে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন । মূলত, অগ্নি-হিংসার নেপথ্যে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার। পুলিসের ব়্যাডারে রয়েছে বিহার, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যেখানে সেনায় নিয়োগের জন্য তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
জানা গেছে,আভুলা সুব্বা রাও নামের ওই ব্যক্তি বেশ কিছু কোচিং সেন্টার চালান। সেকেন্দরাবাদ স্টেশনে খণ্ডযুদ্ধের সময় ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। সে সময়ই তাঁকে পাকড়াও করা হয় বলে পুলিস সূত্রে জানা গেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলা থেকে এসেছেন সুব্বা রাও।তাঁর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ১০০ জন সদস্য রয়েছে পুলিসের সন্দেহভাজনের তালিকায় । আরও জানা গেছে, নারসারাওপেট, হায়দ্রাবাদ সহ নয়টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালান তিনি।
অন্ধ্রের পাশাপাশি বিহারে গোলমালের ঘটনাতেও কোচিং সেন্টারগুলির ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ইতিমধ্যেই দু’টি কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়াও পাটনার বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপর নজর রাখছে পুলিস।
দশ হাজার টাকার বিনিময়ে কন্যাসন্তানকে বিক্রি? এমনই অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার চকঅনন্ত গ্রামের ঘটনা।
এ যেন কেঁচো খুড়তে কেউটে। ডেবরার চকঅনন্ত গ্রামে গতকালই এক গৃহবধূর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর থেকেই নিঁখোজ হয়ে যান ওই গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই ছবি ভাইরাল হয়। (যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল)। জানা গেছে, দুই সন্তানকে স্বামীর কাছে রেখে বাইরে কাজে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, ওই গৃহবধূ বাড়ি ফিরলে তাঁকে নিয়ে সালিশি সভা বসায় গ্রামের মোড়লরা। সেখানে মোড়লদের নিদান ছিল, মাথা ন্যাড়া করে শিক্ষা দেওয়া হোক ওই মহিলাকে। সেই মতো মহিলার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।
এরপরই ডেবরাতে এক বধূর সন্তান বিক্রির অভিযোগ সামনে আসে। গোটা বিষয় নিয়ে খোঁজ করতেই জানা গেল, আর্থিক অনটনের মাঝেই ওই গৃহবধূর কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছে স্বামী সাগর সিং। দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে অভাব নিত্যসঙ্গী, তাই কি সন্তান বিক্রির সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন গ্রামবাসীদের।
প্রসঙ্গত, ওই গৃহবধুর স্বামী সাগর সিং মাস চারেক ধরে অসুস্থ। ওই গৃহবধূর ২ টি সন্তান রয়েছে। পুত্রসন্তানের বয়স ৭ বছর, কন্যাসন্তানের বয়স ৩ বছর। দিন পনেরো আগেই রোজগারের তাগিদে ওই গৃহবধূ অন্যত্র চলে যান। এরপরেই গৃহবধূর মা ডেবরার চকঅনন্ত গ্রামে এসে নিয়ে যান পুত্রসন্তানকে। এরপরই সাগর মাত্র ১০,০০০ টাকার বিনিময়ে তার ৩ বছরের কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
হাড়হিম করা ঘটনা। মোবাইল ফোনে কথা বলায় সন্দেহ, এরপর বিড়ি ও সিগারেটের ছ্যাঁকা একাধিক জায়গায়। এখানেই নৃশংসতার শেষ নয়, স্ত্রীকে একাধিকবার মারধর। এরপর দীর্ঘক্ষণ পুকুরের জলে ডুবিয়ে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনায় প্রতিবাদে সরব পরিবারের সদস্যরা সহ প্রতিবেশীরাও। ঘটনাটি বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার রামেশ্বরপুর-বরুণহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বরুণী গ্রামের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ২৮ এর গৃহবধূ সাবিনা বিবি, স্বামী আরিফ মিস্ত্রি। পেশায় একজন গাছ কাটার শিউলি। কেবলমাত্র সন্দেহের বশে স্ত্রীর উপর অকথ্য অত্যাচার চালাত সে। সারা শরীরে বিড়ি-সিগারেট ছ্যাঁকা, প্রতিবাদ করলে জুটত বেধড়ক মারধর। মাদকাসক্ত হলে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যেত। শুক্রবার হঠাৎ স্বামী সাবিনাকে ঘর থেকে টানতে টানতে মারধর করে পুকুরে নিয়ে গিয়ে জলে ডুবিয়ে খুনের চেষ্টা করে। সেই সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন পাড়া-প্রতিবেশীরাও।
এরপর তাঁরাই পুলিসকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে হাসনাবাদ থানার পুলিস এসে আরিফকে আটক করে। স্বামীর বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে পরে পুলিস গ্রেফতার করে। শুক্রবার ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। স্ত্রী ও দেওর সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দাদার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কেতুগ্রামের নার্সের কব্জি কাটার ঘটনায় স্বামী সরিফুল শেখ সমেত আরও দুজন, যারা কব্জি কাটতে সাহায্য করেছিল, সেই হাবিব শেখ ও আশরাফুল শেখের পুলিস হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয় বুধবার। ফের এদিন কাটোয়া আদালতে তোলা হয় ধৃতদের। এবং ফের সাতদিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন করে কেতুগ্রাম থানার পুলিস। বিচারক সেই আবেদনের ভিত্তিতে সাতদিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার গভীর রাতে ভরতপুর তালগ্রামের নদীপাড়া থেকে সরিফুলের সঙ্গী আশরাফুল শেখ ও হাবিব শেখ নামে দুজনকে গ্রেফতার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিস। কাটোয়া আদালতে তোলা হলে তাদের ৬ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। বুধবারই হাবিব শেখ ও আশরাফের পুলিস হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, নার্সিং স্টাফ হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ না দেওয়ার জন্য আপত্তি না মানায় নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছিল সরিফুল। স্ত্রী রেণু খাতুনের কব্জি কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বামী সরিফুলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই দীর্ঘ ৮ দিনের লড়াই শেষ করে যুদ্ধ জিতে বাড়ি ফিরেছেন কেতুগ্রামের রেণু খাতুন। চলতি সপ্তাহে সোমবার হুইল চেয়ারে বসিয়ে রেণুকে হাসপাতাল থেকে বের করে আনেন তাঁর আত্মীয়রা। নির্যাতিতাদের লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন নির্যাতিতা রেণু খাতুন।
কেতুগ্রামের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। স্ত্রী নার্সিংয়ের সরকারি চাকরি পাওয়ায় আক্রোশে তাঁর হাতের কব্জি কেটে নিয়েছিলেন স্বামী। সেই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে এমনই হইচই পড়ে গিয়েছিল, খোদ মুখ্যমন্ত্রীও তাতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর।
এবার একই ধরনের ঘটনা ঘটল শক্তিগড় থানার জোতরাম গ্রামে। এখানেও স্ত্রী'র নার্সিংযের চাকরি নিয়ে কাঠগড়ায় স্বামী। গৃহবধূর বাপেরবাড়ির অভিয়োগ, তাঁদের মেযের নার্সিং চাকরিতে আপত্তি জানায় স্বামী। তা মেনে না নেওয়ায় চাকরির নথি ছিঁড়ে দেয়। এমনকি মারধর ও শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। পরে তাঁকে ঘর থেকে বের করে দেওযা হয়।
অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম রাহুল মিশ্র।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি নার্সিংহোমে নার্সের কাজ করাকালীন বাড়ির অমতে বছরখানেক আগে পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের কালনা গ্রামের বাসিন্দা ব্রততী মিশ্রের (চট্টরাজ) সাথে শক্তিগড়ের জোতরাম গ্রামের বাসিন্দা রাহুল মিশ্রর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি ২ মাসের সন্তানও আছে। মাসখানেক আগে ব্রততী সরকারি নার্সিং চাকরির প্যানেলভুক্ত হন। অভিযোগ, এরপর থেকেই চাকরি করা যাবে না জানিয়ে তাঁর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কিন্তু ব্রততী চাকরি করবেই বলে স্বামী রাহুলকে জানিয়ে দেন।এরপরই বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ, গত ১০ই জুন রাহুল ব্রততীকে মারধর করে, নার্সিং চাকরির নথি ছিঁড়ে দেয়। প্রতিবাদ করলে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনেরও চেষ্টা করে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত স্বামী রাহুল মিশ্রের দিদি শ্রাবণী মিশ্রের দাবি, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ছোটখাট ইস্যু নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হলেও রাহুল চাকরি করতে দেবে না, একথা সত্য নয়। কেননা পরীক্ষা থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ দিতে পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল সে।
ধর্ষণে অভিযুক্ত দু'জনকে জীবন্ত জ্বালানোর অভিযোগ উঠল গ্রামের বিরুদ্ধে। বুধবারের এই ঘটনা ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলায় ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্তের মধ্যে সুনীল ওঁরাও নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য অভিযুক্ত আশিস কুমারের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিস সূত্রে খবর, মায়ের সঙ্গে একটি কাজে বেরিয়েছিলেন এক যুবতী। তাঁদের পথ আটকান সুনীল-আশিস। তারপর যুবতীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এই কুকর্মের কথা চাউর হতেই গ্রামবাসীরা ক্ষেপে দুই অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেন। বুধবার রাতে ওই দু'জনকে বাইক-সহ ধরে ফেলেন তাঁরা। বেধড়ক মারধরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তাদের গায়ে। উন্মত্ত জনতা দুই যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে, এই খবর পৌঁছয় থানায়। পুলিসের দল পৌঁছনোর আগেই এক অভিযুক্তের শরীর জ্বলে গিয়েছিল। অন্যজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঝলসে গিয়েছে।
কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, খতিয়ে দেখছে জেলা পুলিস।
ফের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানকারই শক্তিনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগের তীর প্রতিবেশী এক নাবালকের বিরুদ্ধে। শিশুকন্যাটি নাবালকের বাড়িতে গেলে একা পেয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শিশুটির চিৎকার শুনে মা ডাকাডাকি শুরু করতেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। মায়ের কাছে প্রথমদিকে ঘটনা খুলে বলতে পারেনি সে। তখনই মা তার শারীরিক পরিস্থিতি দেখে বুঝতে পারেন, কী ঘটেছে।
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তড়িঘড়ি শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এদিকে এই ঘটনায় শিশুকন্যার পরিবারের লোকজন রীতিমতো আতঙ্কিত। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন প্রতিবেশীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সময় ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় শিশুকন্যাটির ঠাকুমা বাড়িতে ছিলেন না। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি কিছু টেস্ট করাতে প্যাথলজি সেন্টারে যান। শিশুকন্যাটির মাও কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তখন পাশের বাড়ির এক মহিলা বাচ্চাটিকে নিয়ে যান। পাশের বাড়ির মহিলার সাথে সুসম্পর্ক ছিল এঁদের। শিশুকন্যটিকে দেখাশোনাও করতেন তিনি। মা ও ঠাকুমা ব্যস্ত থাকায় ওই মহিলা দেখাশোনার জন্য নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেই ঘটে যায় নারকীয় এই ঘটনা।
অন্যদিকে প্রতিবেশীরা এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন।
রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শিশুকন্যার পরিবারের পক্ষ থেকে। তার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত নাবালককে গ্রেফতার করেছে।
কাটোয়ায় স্ত্রীর হাতের কবজি কেটে নেওয়ার মতো নৃশংস ঘটনায় পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। বুধবার ভবানীপুরে এই ঘটনায় রেণু খাতুনের পাশে থাকার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডান হাত না থাকলেও যাতে কাজের অসুবিধা না হয়, রেণুর জন্য সেরকম কাজেরই ব্যবস্থা করা হবে৷ পাশাপাশি, রেণুর জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃত্রিম হাতেরও ব্যবস্থা করা হবে৷ এমনকী তার হাতের চিকিত্সায় খরচ হয়েছে প্রায় ৫৭ হাজার টাকা। কেন স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবার মাধ্যমে তা করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখবেন তিনি বলে জানান। দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে রেণুর চিকিৎসার যাবতীয় খরচও বহন করবে রাজ্য৷ শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে রেণুর আরও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করবে রাজ্য সরকার বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, নার্স হিসেবে সরকারি চাকরি পাওয়ায় হাতের কব্জি কেটে নিয়েছিল স্বামী৷ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা সেই রেণুু খাতুনের পাশে দাঁড়ালো রাজ্য সরকার৷ কাটোয়ায় স্ত্রীর হাতের কবজি কেটে নেওয়ার নৃশংস ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত স্বামী সরিফুল শেখকে। পুলিস সূত্রে খবর, কেতুগ্রাম থেকে তাকে মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়।
তৃণমূলের দলীয় পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিজেপি নেত্রীর স্বামীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, এটা পারিবারিক বিষয়, বিজেপি রাজনীতির রং চড়াচ্ছে বলে দাবি তৃণমূলের। ঘটনাটি বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার বিবড়দা গ্রামের। এই ঘটনাকে ঘিরে এখন রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে বাঁকুড়া জুড়ে।
জানা যায়, তালডাংরা থানার বিবড়দা গ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিজেপি জেলা সম্পাদিকা দুর্গা ঘোষের স্বামী গৌতম ঘোষকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে আহত অবস্থায় গৌতম ঘোষকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মাথায় ও বাঁ-দিকের চোখে চোট লেগেছে গৌতমবাবুর।
ঘটনার পর বিজেপির দাবি, বিজেপি করার জন্যই তাঁর উপর এই হামলা চালানো হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিজেপি না করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের তরফে। নানারকমভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। আর তার জেরে বিজেপি নেতাকর্মীর গায়ে হাত তোলা হচ্ছে, আবার কখনও বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে। সেই ঘটনাই ঘটল বিবড়দায়।
যদিও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, ব্যবসা সংক্রান্ত পারিবারিক বিবাদের জেরেই মূলত এই ঘটনা। বিজেপি এটা নিয়ে রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে।
পুত্রহন্তা বাবা? নিজের দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য। মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত মহুলা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন পুলিন্দা গ্রামের ঘটনা।
গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে হঠাৎই ওই গ্রামের বাসিন্দা খোদাবক্স শেখ শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছয়। সেখানে স্ত্রীর সঙ্গে তার অশান্তি চরমে ওঠে। আর সেই অশান্তির জেরে পরে বাড়ি ফিরে ঘুমন্ত অবস্থায় নিজের দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ।
মৃত দুই সন্তানের দাদু জানান, তাঁর পুত্র খোদাবক্স নেশা ও জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল। টাকা জোগাড় করার জন্য জোর করে পরিবারের জমিজায়গাও বেচে দিয়েছে। পারিবারিক অশান্তির জেরে তাঁর পুত্রবধূ বাপের বাড়িতে থাকা শুরু করে। বিবাদের জেরে স্ত্রীর কাছে সন্তানদের পাঠায়নি তাঁর ছেলে। দাদু-ঠাকুমাই নাতি-নাতনির দেখভাল করতেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে বাবার কাছেই শুয়েছিল দুই সন্তান। সকালে দীর্ঘক্ষণ ঘুম থেকে নাতি-নাতনিরা না ওঠায় ঘরের সামনে গিয়ে দেখা যায়, দরজায় শিকল তোলা। এরপরই দরজা খুলে ঘরে ঢুকে দেখা যায়, তাদের শরীরে কোনও সার নেই। এমনকী খোদাবক্সও বেপাত্তা। নিজের ছেলেই শ্বাসরোধ করে নাতি-নাতনিকে খুন করেছে বলে দাবি মৃতদের দাদুর।
ঘটনার খবর পেয়ে আসে বেলডাঙা থানার পুলিস। দুজনের দেহ উদ্ধার করে বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেলডাঙা থানার পুলিস প্রশাসন। খোদাবক্স শেখের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তাঁর স্ত্রী সহ অন্যান্যরা।
স্ত্রীকে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা। আর এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠল সিভিক পুলিসকর্মী স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার থানা এলাকার ঘাটেশ্বরে। অভিযুক্ত স্বামী সৌরভ চক্রবর্তী মন্দিরবাজার থানার সিভিক পুলিসকর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনায় তাঁর শাস্তি চেয়ে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ নির্যাতিতা গৃহবধূ।
নির্যাতিত গৃহবধূ জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে সম্বন্ধ করে সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের একটি চার বছরের কন্যাসন্তান আছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে প্রায়ই তাঁকে মারধর করত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি অভিযুক্ত স্বামী সৌরভ চক্রবর্তীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান নির্যাতিতা। গত ১৯ শে মে সৌরভ চক্রবর্তী তার স্ত্রীকে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
ঘটনায় ওই নির্যাতিত গৃহবধূ আহত অবস্থায় প্রতিবেশীদের সাহায্যে কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাঁকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। অন্যদিকে ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে মন্দিরবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানার পক্ষ থেকে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয় বলে দাবি ওই নির্যাতিত গৃহবধূর। অবশেষে অভিযুক্ত স্বামীর শাস্তির দাবি জানিয়ে ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ নির্যাতিত গৃহবধূ।
মুক্তি পেল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী এজি পেরারিভালন। তামিলনাড়ু সরকার তাঁর মুক্তির জন্য আগেই আবেদন জানিয়েছিল। বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে সেই আবেদনই মঞ্জুর করল দেশের শীর্ষ আদালত। ৩১ বছর জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি।
বুধবার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ছিল শুনানি। সেখানেই শীর্ষ আদালতের তরফে তাকে মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জানানো হয়েছে, এই মামলায় অনুচ্ছেদ ১৪২ প্রয়োগ করে দোষীকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য বলছে, রাজীব গান্ধীকে হত্যার সময় ১৯ বছর বয়স ছিল পেরারিভালনের। জঙ্গি সংগঠন লিবারেশন টাইগারস অফ তামিল ইলামের সদস্য তথা রাজীব হত্যার অন্যতম চক্রী শ্রীবাসনের জন্য দু’টি ৯ ভোল্টের ব্যাটারি কেনার অভিযোগ উঠেছিল পেরারিভালনের বিরুদ্ধে। সেই ব্যাটারিই বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। পেরারিভালনের গ্রেফতারির পর ১৯৯৮ সালে সন্ত্রাস দমন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে সেই সাজাই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। তবে ২০১৪ সালে তা বদলে যাবজ্জীবন করা হয়। চলতি বছর মার্চে এই দোষীর জামিন মঞ্জুর করা হয়। এরপরই নির্ধারিত সময়ের আগে মুক্তির আবেদন জানায় পেরারিভালন। যে আবেদনের বিরোধিতা করে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, বিষয়টি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের উপর ছাড়েন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল। কিন্তু এ ব্যাপারে অনেকটা সময় কেটে গেলেও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি রাষ্ট্রপতি। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। জানানো হয়, তামিলনাড়ু সরকার চায় রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষীসাব্যস্ত সাত জনকেই ১৬১ ধারায় ক্ষমা করা হোক। তাই রাজ্যপাল রাজ্যের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য। ফলে রাষ্ট্রপতির মতামতের জন্য অপেক্ষা করা অপ্রয়োজনীয়। এরপরই এদিন পেরারিভালনকে জেলমুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের এই রায়ই রাজীব হত্যা মাললার আরও ছয় অপরাধীর মুক্তির পথ প্রশস্ত করে দিল। যাদের মধ্যে রয়েছে নলিনী শ্রীধরন এবং তার স্বামী মুরুগনও।
মর্মান্তিক ঘটনা। ধারালো অস্ত্রের কোপে শাশুড়িকে খুন। নির্মম ঘটনাটি বীরভূমের (birbhum) নানুরের। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তাঁর জামাইয়ের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই মহিলার নাম মফিজা বিবি। তিনি বীরভূমের নানুর (nanur) থানার অন্তর্গত মড্ডা গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে অভিযুক্ত জামাইয়ের নাম কাশেম শেখ। বীরভূমেরই ময়ূরেশ্বর থানা (mayureswar police station) এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পরই পলাতক জামাই। মঙ্গলবারের ঘটনার পর পরিবার অভিযোগ জানিয়েছে নানুর থানায় (nanur police station)। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
ঘটনার পরই এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। তবে সঠিক কী কারণে এই ঘটনার তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।