
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার রাতে গ্রেফতার হওয়া তিনজনকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। শুনানি চলাকালীন সরকারি আইনজীবী বলেন, অভিযুক্তরা অপরাধী হিসেবে সফল কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকেই ব্যর্থ অভিনেতা।
যাদবপুরের ঘটনায় শুক্রবার রাতে ২ প্রাক্তন ছাত্র এবং এক বর্তমান ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার দিন তাঁরা মেইন হস্টেলের এ২ ব্লকের ১০৪ নম্বর ঘরেই ছিলেন। যদিও ধৃতদের পরিবারের দাবি, ওই ছাত্রদের ফাঁসানো হয়েছে।
প্রথম থেকেই অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। আদালতে তিনি দাবি করেন, ঘটনার সঙ্গে ধৃতরা জড়িত থাকলেও তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু যখন তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় তখন আসল ঘটনা প্রকাশ করছেন তাঁরা। এমনকি ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁরা তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
এনিয়ে যাদবপুরের ঘটনায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে যাঁদের গ্রেফতার করা হয় তাঁদের নাম শেখ নাসিম আখতার হিমাংশু কর্মকার, শতব্রত রাই। ১৩ জনের মধ্যে অনেকেই প্রাক্তন ছাত্র রয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করে যাওয়ার পরেও কেন তাঁরা হস্টেলে থাকতেন। এবং এখানেই হস্টেল কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকেই।
সবাই সবার মতই প্লট সাজাচ্ছেন, দোষ চাপাচ্ছেন অন্যের ঘাড়ে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুতে পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে মোট ৯ জন গ্রেফতার হয়। তাঁদের জেরা করে তাজ্জ্বব হয়ে যাচ্ছেন পুলিসের তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর সেজন্যই ধৃত ওই অভিযুক্তদের এবার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিস।
সূত্রের খবর, ধৃত ন’জনের বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। এক এক জন এক এক রকম কথা বলছেন বলে দাবি পুলিশের। কে সঠিক কথা বলছেন? সত্যের খোঁজে তাই এ বার ধৃত ন’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, এই ঘটনায় আরও কয়েক জন পড়ুয়া জড়িত থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বিষয়েও খোঁজ চালানো হচ্ছে।
যাদবপুরের ঘটনায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরীকে। রবিবার সকালে আরও দু’জনে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন দুই পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষ। তাঁদের জেরা করে বুধবার আরও ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার বাসিন্দা অসিত সর্দার, মন্দিরবাজারের সুমন নস্কর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা সপ্তক কামিল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। বাকিরা, জম্মুর বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা আসিফ আফজল আনসারি (চতুর্থ বর্ষ, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অঙ্কন সরকার (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) এখনও পড়াশোনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মা অসুস্থ। জেল (Jail) থেকে প্যারোল পেলেন সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত (Accused) দেবযানী মুখোপাধ্যায় (Debjani Mukhopadhyay)। ১০ বছর ২ মাস জেলে থাকার পর প্রথম মুক্তি। ৬ ঘণ্টা সময় পেয়েছেন তিনি। কড়া পুলিসি পাহারায় দুপুর ১২টা নাগাদ ঢাকুরিয়ায় নিজের বাড়িতে যান দেবযানী।
গতবছর সেপ্টেম্বরে দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা শর্বরী অভিযোগ করেন, সারদা কাণ্ডে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নাম জড়াতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি। সিবিআইকে চিঠিও লেখেন তিনি। শর্বরীর অভিযোগ, গত বছর, ২৩ অগাস্ট দমদম সেন্ট্রাল জেলে যান সিআইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছিলেন শুভেন্দু ও সুজন। এমন বলার জন্য দেবযানীকে চাপ দেন সিআইডি আধিকারিকরা।
শর্বরীর অভিযোগ ছিল, এই কথা না বললে, তাঁকে আরও অনেক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিবিআই-কে চিঠি লেখেন শর্বরী মুখোপাধ্য়ায়। সিআইডির পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
ভুয়ো (Fake) ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিচয়ে ক্রেডিট কার্ড ডিটেলস নিয়ে প্রতারণা (Fraud)। মঙ্গলবার রাতে গাইঘাটা পুলিস স্টেশনের অন্তর্গত ঠাকুরনগর (Thakurnagar) এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের (Accused) নাম মিলন পাণ্ডে। ধৃতের কাছ থেকে একটি ব্যাঙ্ক পাসবুক, চেকবুক, মোবাইল হ্যান্ডসেট উদ্ধার করেছে পুলিস। এই ব্যক্তি মূলত রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করত বলে পুলিস সূত্রে খবর।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে এক ব্যক্তি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানয় এসে অভিযোগ করেন যে তাঁকে একটি রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী ফোন করে জানায় তাঁর ক্রেডিট কার্ডের ডিটেইলস হ্যাক হয়েছে। তাই তাঁকে তাঁর ক্রেডিট কার্ডটি ব্লক করতে হবে। ব্লক করার জন্য একটি লিঙ্ক তিনি প্রোভাইড করেন এবং তিনি জানান এই লিঙ্কে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের সব ডিটেলস দিতে হবে। ব্যাঙ্কের কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করে অভিযোগকারী ব্যক্তি সেই লিঙ্কে ক্লিক করে ক্রেডিট কার্ডের সব তথ্য দিয়ে দেয়। এরপরই ক্রেডিট কার্ডের বিল জেনারেট হলে তিনি দেখতে পান তাঁর ক্রেডিট কার্ড থেকে ৭৭ হাজার ৩৩০ টাকা এবং তাঁর পেটিএম অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ হাজার ৬১৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলার পর পুলিস তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় বলে পুলিস সূত্রে খবর। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখছে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
ব্যারাকপুর (Barrackpore) যেন সিনেমার মির্জাপুর (Mirzapore)। ঠিক যেমন মির্জাপুর সিনেমাটিতে খুন কোনও বড় বিষয় নয়, কখনও রাস্তায়, কখনও বাড়ি ঢুকে খুন হচ্ছে, কখনও বা দোকানে ঢুকে খুন। ঠিক যেমনটা ব্যারাকপুরে। ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় ৪০ ঘণ্টা পার, শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ সানি নামক এক অভিযুক্তকে (Accused) হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডির টিম। ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে পুলিস স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের থেকে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, পুলিসকে ভাবাচ্ছে দুষ্কৃতীদের ডাকাতির ধরন। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক গোয়েন্দা আধিকারিকের মতে, দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য নীলাদ্রিকে খুন করাও হতে পারে। যদিও সেটা স্পষ্ট হবে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর।
বুধবার সন্ধ্যায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় দোকান মালিকের ছেলে নীলাদ্রির দুস্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর আহত আরও দুই ব্যক্তি। গোটা ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। অর্জুন সিংয়ের দাবি পুলিস তাঁর ভূমিকা সঠিক ভাবে পালন করছে না। পুলিসের উপরে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অর্জুন বলেন, '৪০ কেজি ভুরি নিয়ে হাঁটাচলা করতে পারে না, তাঁরা আবার ডাকাত ধরবে।' শুধু সাংসদ নয়, পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রাও ও মৃতের বাবা অর্থাৎ ওই সোনার দোকান মালিক।
সোনার দোকানে খুনের ঘটনাস্থল থেকে ব্যারাকপুর কমিশনারেট অফিসের দূরত্ব ১.৫ কিমি, টিটাগড় থানার দূরত্ব ৩.৩ কিমি, এছাড়া রহড়া থানার দূরত্ব ২.৮ কিমি। এছাড়া ব্যারাকপুর স্টেশনের দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার। এ অবস্থায় বিশেষ জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনা কিভাবে ঘটল? প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও।
কটকের হাসপাতালে মৃত্যু (Dead) এগরা বাজি কারখানা বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত (Accused) ভানু বাগের (Bhanu Bagh)। বৃহস্পতিবার ওড়িশার কটকের হাসপাতালে ভানুর খোঁজ পায় সিআইডি। সিআইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে ভানুর শরীরের ৮০ শতাংশই অগ্নিদগ্ধ হয়ে যায়। ওই অবস্থায় ছেলের বাইকে চেপে চম্পট দেয় ভানু। বৃহস্পতিবার তার ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ ও ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগকেও গ্রেফতার করে সিআইডি। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার কাঁথি মহকুমা আদালত ভানুর ভাইপো ইন্দ্রজিৎকে আট দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
ইতিমধ্যেই শুক্রবার সকালে মৃত্যু হল ৩০ বছরের বাজি ব্যবসায়ী অর্থাৎ বাজিগর ভানু বাগের। ফলে এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে যে নতুন মোড় নিল তা বলাইবাহুল্য। সিআইডি সূত্রে খবর, তার শরীরের ৮০ শতাংশই অগ্নিদগ্ধ থাকায় তাঁর থেকে কোনও বয়ানই নেওয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে রাজ্যেও আনা সম্ভব হয়নি। তাঁর শারীরিক অবস্থার একটু উন্নতি হলে তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে রাজ্যে আনা হবে বলে মনে করা হয়েছিল।
ফের গাঁজাসহ গ্রেফতার এক ব্যক্তি। গ্রেফতার (Arrest) করল ইসলামপুর থানার পুলিস (Islampur Police Station)। জানা গিয়েছে অভিযুক্তের (Accused) নাম দীনেশ চৌধুরী। বাড়ি জলঙ্গী থানার অন্তর্গত চুয়াপারা গ্রামে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইসলামপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বহরমপুর-জলঙ্গী গামী বেসরকারি একটি বাস থেকে দীনেশ চৌধুরী নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর কাছ থেকে ৮ কিলো গাঁজা উদ্ধার করে ইসলামপুর থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দীঘা থেকে জলঙ্গীর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে গাঁজা। তবে পাচারের আগেই হাতেনাতে ধরে ফেলে গাঁজাসহ অভিযুক্তকে।
একদিকে যখন রাজ্যে এসে পৌঁছল এনসিপিসিআরের (NCPCR) দল, অন্যদিকে তখন দোষীদের (Accused) শাস্তির দাবিতে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। শুক্রবারের পর শনিবারও লাগাতার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কালিয়াগঞ্জ। শনিবার বিকেলে নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য কোচবিহার বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌছয় এনসিপিসিআরের একটি দল। যেখানে উপস্থিত রয়েছেন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। পাশাপাশি অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিস সুপারের অফিসে ধরনায় বসেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
লাগাতার কিশোরী নিগ্রহের ঘটনায় শুক্রবারের পর শনিবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল কালিয়াগঞ্জ এলাকা। শনিবার বিকেলে অবরোধ-বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। তারপর তাদেরকে হটাতে বিশাল পুলিসবাহিনী এসে পৌঁছয়। কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা খুনের ঘটনায় যৌন নিগ্রহের যোগ আছে, এই জানার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। শুক্রবার উত্তপ্ত হওয়ার পর তাদেরকে লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে। এছাড়া স্থানীয়দের তরফ দোষীদের শাস্তির দাবিতে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় আশেপাশের দোকানপাট। শুরু হয় পথ অবরোধ। যার পরে শনিবারও রীতিমতো লাঠিচার্জ করে পুলিস বিক্ষোভ মিছিল হঠাতে শুরু করে।
আসামি (Accused) ধরতে এবার পুরস্কার (Prize) ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এনআইএ (Nia)। সূত্রের খবর, গত বছরে লক্ষ্মী পুজোর সময় কলকাতার ইকবালপুর এলাকায়, হিংসার ঘটনায় ৭ জন অভিযুক্ত পলাতক। তাদের গ্রেফতার করতে হিমশিম খাচ্ছে গোয়েন্দারা। এনআইএ সূত্রে খবর, গতবছরে একবালপুরে হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই সংক্রান্ত মামলায় এনআইএ ঘটনার তদন্তভার নেওয়ার পরই, ওই মামলায় ৭ জন অভিযুক্ত পলাতক বলে খবর।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাদের ধরতে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহ সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই অভিযুক্ত আসামিরা অন্য কোনও রাজ্য বা বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছে। সে কারণেই পলাতক এই সাত আসামির বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়েছে বলে দাবি এনআইএর।
কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে বুলডোজার দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হল অভিযুক্তর বাড়ি।শুক্রবার বুলডোজার নিয়ে অভিযুক্তের বাড়ির সামনে উপস্থিত হয় মধ্যপ্রদেশ পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম কৌশল কিশোর চৌবে। সরকারি জমি দখল করে বাড়ি বানিয়েছেন অভিযুক্ত। সেই কারণে একটা মামলা চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কয়েকদিন আগেই কৌশলের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যে কৌশলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস
#WATCH | Shahdol, Madhya Pradesh: District administration demolished houses of 2 rape accused in Chuniya village pic.twitter.com/5QzR6ymwqt
— ANI MP/CG/Rajasthan (@ANI_MP_CG_RJ) March 10, 2023
এদিকে তদন্তে নেমে জানা যায়, সরকারি জায়গা বাজেয়াপ্ত করে বাড়ি বানিয়েছেন কৌশল। তাঁর বিরুদ্ধে এবার আরও বেশি সক্রিয় হয় পুলিস প্রশাসন। এই ঘটনায় কয়েকজন পুলিসকর্মী বুলডোজার নিয়ে হাজির হয় কৌশলের বাড়িতে। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় তাঁর বাড়ি। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কয়েকজন মহিলা পুলিস বুলডোজার নিয়ে অভিযুক্তর বাড়ির সামনে এসে হাজির হয়েছেন। সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
কিন্তু প্রশাসনের একটি সূত্র বলছে, ধর্ষণের মামলার সঙ্গে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এই ধর্ষণের ঘটনায় অপর এক অভিযুক্তর বাড়িতেও বুলডোজার চলেছে বলে খবর।
ফের থানার পুলিস (police) লকআপে আত্মহত্যার (suicide) চেষ্টা করল চুরির দায়ে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। সম্প্রতি, গঙ্গাজলঘাটি থানায় পুলিস (police) হেফাজতে থাকা এক আসামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সেই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই সোমবার ফের বাঁকুড়ার (Bankura) মেজিয়া থানায় পুলিস লকআপে ঘটে গেল এমনই এক ঘটনা। প্যান্টের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করে এক আসামী। যদিও সিসিটিভি (CCTV) নজরদারিতে তা নজরে আসায় ওই আসামীকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানে সিসিইউতে তার চিকিৎসা চলছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার চুরির ঘটনায় মেজিয়া পুলিস গ্রেফতার করে জেমুয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রাজারাম প্রামাণিককে। এরপর পুলিস লকআপে থাকাকালীন সোমবার সন্ধ্যায় নিজের প্যান্টের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রাজারাম। সেই ঘটনা সিসিটিভিতে নজরে আসে কর্তব্যরত পুলিসের। নজরে আসতেই তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে সিসিইউ ইউনিটে চিকিৎসা চলছে রাজারামের। অবস্থা সংকটজনক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
পুলিস লকআপে নজরদারির মধ্যেও কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার হেডকোয়ার্টার।
হাওড়ার শালিমার জিআরপি (GRP) থানার লক-আপ (Lock Up) ভেঙে পালাল দুই আসামি (Accused)। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজু হরি ও সমীরুল মোল্লা নামে ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল শালিমার জিআরপি। এদের বিরুদ্ধে খুনের (Murder) অভিযোগ রয়েছে। চলন্ত ট্রেন থেকে এরা পরিচিত একজনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল আবাদা স্টেশনের কাছে। এবার দেখুন, কীভাবে তারা লক-আপ ভেঙেছে।
কিন্তু তারা কোথায় লুকিয়ে, সেটাই এখন পুলিসের তদন্তের বিষয়। অন্যদিকে, এই ঘটনার খবর পেয়েই পুলিসের পদস্থ কর্তারা পরিদর্শনে আসেন। দেখা যায়, গারদেরই একটা অংশে বড় জায়গা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু দুজন আসামি সেই জায়গা ভেঙে কীভাবে বেরিয়ে গেল এবং কেন তা কারও নজরে এল না, সেটাই আশ্চর্যের বলে পুলিসেরই একটা অংশ মনে করছে।
দিনের পর দিন ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগ মামার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করায় ভাগ্নিকে প্রাণনাশের হুমকি। অবশেষে নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তবুও অভিযোগ, নিষ্ক্রিয় পুলিস-প্রশাসন।
মা-বাবা মারা যাওয়ার পর আগ্রা থেকে তিন বছর বয়সে এক নাবালিকাকে নিমতার বাড়িতে নিয়ে এসে মানুষ করেন শংকর বিশ্বাস ও তাঁর পরিবারের লোকজন। সেই নাবালিকা মেয়েটি ছোট থেকে বড় হতে থাকে এবং সেই সময় থেকেই শুরু হয় তার উপর পাশবিক অত্যাচার। নাবালিকার সম্পর্কে মামা শংকর বিশ্বাস, সেই নাবালিকাকে দিনের পর দিন বাড়ির মধ্যে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরে সেই নাবালিকা প্রতিবাদ করায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় মামা। পেশায় রাজমিস্ত্রি মামা। মামার এই অপকর্মের কথা যদি বাইরে কাউকে জানায় তাহলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে, এমনটাই হুমকি দেয় মামা।
তারপর যতদিন বাড়তে থাকে নাবালিকার উপর অত্যাচার আরও চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি শেষমেশ ফের প্রতিবাদ করায় তাকে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় মামা। এরপর নির্যাতিতা থানার দ্বারস্থ হয়। নিমতা থানায় মামার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিস এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি অভিযুক্ত মামাকে।
বর্তমানে অত্যাচারিত সেই মেয়েটির একটাই আবেদন প্রশাসনের কাছে, এরকম পাশবিক অত্যাচারের পর মামার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়। আতঙ্কে ও ভয়ে নাবালিকা মেয়েটি নিজেকে এই মুহূর্তে আত্মগোপন করে রেখেছে। এই ঘটনা জানতে পারেন শংকরবাবু স্ত্রী। তারপর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তিনি চান যদি তাঁর স্বামী সত্যিই অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তাঁর যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়। শংকরবাবুর স্ত্রী ওই নাবালিকাকে ন্যায্য বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশায় পাশে আছেন বলেই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।
স্কুল পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় সম্প্রতি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। পলাতক অভিযুক্তদের সূচ খোঁজার মতো খুঁজেও কোনও রকম হদিশ পায়নি পুলিস। শেষমেশ উপায় না দেখে ফাঁদ পাতা হয়। আর সেই জালে পা দিল অভিযুক্তরা। সামনে আসতেই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিস।
কী সেই ফাঁদ? তল্লাশি করেও কোনওরকম খোঁজ না পেয়ে অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিস। বুলডোজার নিয়ে অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে হাজির হতেই পাঁচজন নিজেই ধরা দেয়। এরপর পুলিস তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গিয়েছে, গত ২৭ শে জুন ওই নির্যাতিতা স্কুল পড়ুয়া তার এক সহপাঠীর সঙ্গে জঙ্গলে গিয়েছিল। তখন কুসমহী গ্রামের চার যুবক লবকুশ পাসোয়ান, বকিল পাসোয়ান, ভোলু যাদব এবং সুরেন্দ্র পাসোয়ান নির্যাতিতা ও তার বন্ধুকে অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখে ফেলেন। এরপর স্কুলপরুয়ার বন্ধুকে মারধর করে সেখান থেকে বার করে দেন। এবং কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে চারজন মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতা কিশোরী কোনওমতে বাড়ি পৌঁছে পরিবারের লোককে গোটা বিষয়টি জানায়। এরপর কিশোরীর পরিবার তার বন্ধু সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। অভিযুক্তদের না পেয়ে পুলিস বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই আত্মসমর্পণ করে পাঁচ অভিযুক্ত।
বন্দি রয়েছে সংশোধনাগারে। নাম সুশান্ত কীর্তনিয়া। কিন্তু তার নাম করেই পূর্ব কলকাতার এক মহিলার কাছে আসছে হুমকি-ফোন। অভিযোগ, ওই মহিলাকে ফোন করে বলা হচ্ছে, তাঁর পরিবারের ক্ষতি করে দেওয়া হবে। তোলাও চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিস আদালতের কাছে আবেদন করে, যাতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি সুশান্ত কীর্তনিয়াকে নিজস্ব হেফাজতে নিয়ে শুরু করতে পারে তদন্ত। সেই মোতাবেক সুশান্তকে ব্যাঙ্কশাল আদালত সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এরপরই ধৃত সুশান্তকে জেরা শুরু করেছে পুলিস।
কিন্তু কিভাবে জেলবন্দি থাকাকালীন তাঁর কাছে ফোন এল? যেখানে দাঁড়িয়ে কোনও সংশোধনাগারেই এই ধরনের কোনও পরিষেবা মেলে না।
এখন প্রশ্ন, তাহলে কি জেলের অন্দরেই কয়েদিদের ওপর নজরবন্দির অভাব রয়েছে? জেলের মধ্যে থেকে যদি একজন খুনের আসামি এভাবে ফোন করে হুমকি দেয়, তাহলে তো জেলের ভিতর থেকে এর থেকেও বড় কিছু ঘটতে পারে। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
তার উত্তর খুঁজছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। যে পরিবারের কাছে এই ফোন গেছে, তাঁরা এই ফোনের জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত রয়েছেন।
সুশান্ত কীর্তনিয়া ২০২০ সালে একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। গত দুবছর তিনি জেলবন্দি। বাড়ি অজয়নগরে।