
একটা দুর্ঘটনা, তাতে রেলের ক্ষতি কত ? শুক্রবারের ঘটনার হিসাব-নিকেশ কষতে বসে রেল কর্তারা জানিয়েছেন, আপাতত ২৪ কোটি টাকার ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় রেল। ওড়িশায় বালেশ্বরে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় এটা প্রাথমিক রিপোর্ট বলেই দাবি করা হয়েছে। দিন যত বাড়বে, খরচ আরও বাড়তে পারে বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত আধুনিক কোচ সম্বলিত দুই সুপারফার্স্ট ট্রেন। তার সঙ্গে রয়েছে মালগাড়ি। দুটি ট্রেনের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। সঙ্গে আরও সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি ধাক্কা লেগেছে মালগাড়ির ক্ষেত্রে।
এদিকে, রবিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের আশা প্রকাশ করে দাবি করেছেন, আগামী বুধবার থেকে বালেশ্বরের উপর দিয়ে যেতে পারবে কলকাতায় থেকে দক্ষিণ ভারত ও পুরীগামী ট্রেন। শনিবারই এই ঘটনার জন্য সিগন্যালিং ব্যবস্থাকেই প্রাথমিক রিপোর্টে দায়ী করেছিল রেল। রবিবার কার্যত তাতেই সিলমোহর বসালেন রেলমন্ত্রী। দাবি করলেন করমণ্ডল দুর্ঘটনার মূল কারণ, এবং এর পিছনে কারা, তাদের চিহ্নিত করাা গিয়েছে। তবে, এর থেকে বেশি আর কিছুই বলতে চাননি তিনি। তবে জানিয়েছেন, রিপোর্ট খুব দ্রুতই পেশ করা হবে। এদিনও বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল।
রবিবার সকালেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেল দাবি করে খুব তাড়াতাড়ি হলেও মঙ্গলবারের আগে লাইন মেরামতির কাজ শেষ হবে না। তাও তারা চেষ্টা করছে দ্রুত এই কাজ শেষ করতে। বেলায় ফের ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী। গোটা এলাকা ঘুরে তিনি জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে বুধবার সকাল থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে পারে। কারণ, দিনরাত এক করে রেলের এক হাজারের বেশি শ্রমিক লাইন মেরামতির কাজ করেছেন।
ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে শনিবার পর্যন্ত বাংলার ৬২ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকার এই খবর জানিয়েছে। এছাড়াও আহতের সংখ্যা ৫৫০ জন। তাঁদের মধ্যে ২৫ জনকে ওড়িশার হাসপাতালে এবং ১১ জনকে এরাজ্যের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা।
নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় আহদের চিকিৎসার জন্য শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৭০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ৩৪ জন চিকিৎসক। এছাড়াও আহত যাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে ১০টি বাস পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। সঙ্গে ২০টি মিনি ট্রাকে করে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে শনিবার দুপুরেই গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে হাসপাতালে যান। আহতদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। রেলের আধিকারিকদের তৈরি করা ওই রিপোর্ট অনুযায়ী ভুল সিগন্যালের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বাস (Bus) ও দুধের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ (Accident)। আহত বাস চালক ও খালাশি। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর (Bangaon) কালপুর দক্ষিণ পাড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বনগাঁ থানার পুলিস। ঘটনায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় যশোর রোডে (Jessore Road)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বনগাঁ থেকে দক্ষিণেশ্বরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বাসটি। এরপর বাসটির কালপুর এলাকায় উল্টো দিক থেকে আসা একটি দুধের গাড়ি সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ফলে দুটো গাড়িই যশোর রোডের রাস্তার পাশের নয়নজুলিতে পড়ে যায়। সেই সময় বাসে ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী ছিল। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অল্পবিস্তর আঘাতও লেগেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বাসের চালক এবং খালাশি। তবে সুরক্ষিত বাস যাত্রীরা।
বালেশ্বরের (Balasore) ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের প্রাথমিক দাবি, সিগন্যালের (Signal) সমস্যার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় আহত যশবন্তপুরের চালকের (Driver) বয়ানে কিন্তু অন্য তথ্যই উঠে এসেছে। হাসপাতালে আহত যশবন্তপুরের চালক সিআর রথের দাবি, পাশাপাশি দুটি ট্র্যাক দিয়েই ছুটছিল দুটি ট্রেন। তাঁর ট্রেনের পিছনের চারটে বগি কীভাবে খুলে গেল, তা তিনি বুঝতে পারেননি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চালকের এই বয়ানের সঙ্গে অবশ্য মিলছে না রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট। তবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে, শুক্রবারের এই ঘটনায় সুস্থ আছেন তিনটি ট্রেনের চালক, সহকারি চালক এবং গার্ডেরা।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার কিছুক্ষণের মধ্যেই বালেশ্বরের দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এনেছিল রেল। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, সিগন্যাল বুঝতে না পেরে লুপ লাইনে ঢুকে গিয়েছিল আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। আর এখানেই প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা দাবি করেন, লুপ লাইনে যদি দ্রুত গতিতে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেস ঢুকে যায়, তাহলে মালগাড়ি অক্ষত রইল কী ভাবে। কী ভাবে পাশের ট্র্যাকে ছিটকে এল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুরের চারটি বগি? রেল জানায়, বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট পরে প্রকাশ করা হবে।
এদিকে রবিবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেল বাহানাগায় কাজ প্রায় শেষের পথে। লাইন থেকে সরানো হয়েছে দুমড়ে যাওয়া বগি। রেলের দাবি এই ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কমবেশি ২১টি বগি হয় লাইচ্যুত না হলে আটকে গিয়েছিল।
জ্ঞানেশ্বরীর ভয়াবহতাকেও হার মানাল করমণ্ডলের বীভৎসতা! যেদিকে দু-চোখ যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে শুধুই মৃতদেহের সারি। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা ২৭৫। আহত প্রায় হাজার জন। বিভিন্ন রাজ্যের সরকার সহ রেলমন্ত্রকের তরফেও ঘোষণা করা হয়েছে আর্থিক সাহায্য। কিন্তু প্রশ্ন? অসংরক্ষিত মৃত যাত্রীদের সহায়তা কোথায়? এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
পার্থ ভৌমিক বলেন, মর্মান্তিক। বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও যেন দুঃস্বপ্নের মধ্যে রয়েছি। বাংলা থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছেড়েছিলো। কাজেই জানা দরকার অবশ্যই কোন কোন যাত্রী আহত হলেন বা প্রয়াত হলেন। এখানে বাঙালি, অবাঙালির প্রশ্ন আসছেই না। কিন্তু যা আসছে সমস্ত যাত্রীই হাওড়া থেকেই ট্রেনে উঠেছিলেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই অকুস্থলে গিয়েছিলেন শনিবার। তিনি বরাবরই দায়িত্বশীল। তিনি গিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে উপদেশ দিয়ে এসেছেন। তাঁর এবং আমাদের সকলেরই দায়িত্ব যাঁরা নিহত হলেন বা আহত তাঁদের ঠিকানা বের করা। কিন্তু রেল সংস্থা এখনও পর্যন্ত আমাদের পরিষ্কার তথ্য দিতে পারে নি। একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, যাঁরা অসংরক্ষিত কামরায় ছিলেন এবং মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের নাম ঠিকানা বের করা তো প্রায় অসম্ভব বিষয়। এদের পরিবার সরকারি অর্থ সাহায্য পাবে কি করে আমার মাথায় আসছে না। প্রধানমন্ত্রী তো সমস্ত অর্থনৈতিক লেনদেনে এখন আঁধার কার্ড বা প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক করেছেন, তাহলে ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের টিকিট কাটার সময়ে তা ব্যবহার করা হচ্ছে না কেন? সেটি করলে তো সকলের নাম ঠিকানা বের হয়ে যেত। ভাববেন কি আগামী দিনে?
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলতে গিয়ে প্রথমেই বলেন, এখনও পর্যন্ত ভয়ঙ্কর ঘোর আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি নি। আমি রাজ্যের পরিবহন দায়িত্বে আছি। কাজেই গত দু'দিন ধরে অসংখ্য ফোন আসছে, দাদা কি হলো। প্রথমত, আমি মনে করি এটি সম্পূর্ণ রেলের গাফিলতি, তা সেটি সিগন্যালের ত্রুটি হোক কিংবা অন্য কিছু। মেনে নিতেই হবে ভারতবর্ষের সবচাইতে বড় বিপর্যয় ঘটলো এই করমণ্ডলের দুর্ঘটনায়। প্রধানমন্ত্রী যদিও বলেছেন, ত্রুটি যারা করেছে তারা শাস্তি পাবে। কিন্তু উচ্চ পর্যায়ের কতৃপক্ষ কি এর দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে? একদিকে রেল নিয়ে স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে, তখন লাইনের সমস্যা নাকি সিগনালের, মানুষ শুনবে কেন? আমাদের মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন দুর্ঘটনা হওয়ার পর। ঘুরে দেখেছেন। একটি এক্সপার্ট দলকে পাঠানো হয়েছে। বাকি তো দুর্ভাগ্যের।
একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। আজ কেন্দ্রীয় সরকার বা মোদী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে আঁধার কার্ড এবং প্যান কার্ডের লিঙ্ক চালু করেছে। আমার প্রশ্ন অসংরক্ষিত যাত্রীদের কি হবে? আজ যদি জেনারেল টিকিটেও ওই লিঙ্ক চালু থাকতো, তবে ওই অসহায় মানুষ, যাঁরা বেঁচে নেই, তাঁদের পরিবার কি এই অর্থ সাহায্য থেকে বঞ্চিত হতো না। বিভিন্ন রেল দফতরের মাধ্যমে জানতে পারলাম, আমার প্রস্তাবটি নাকি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু রেল বোর্ডকে জানাবে কে? মানে বেড়ালের গলায় ঘন্টি বাঁধার লোক নেই। সুপার এক্সপ্রেস ইত্যাদি চালু হবে শুনছি। রেলের এই হালত থাকলে লাভ কি?
শুক্রবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে গোটা দেশ। ওড়িশার কাছে বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromondel express accident), মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে লাইন থেকে ছিটকে যায়। প্রায় ২০টি কামরা দেশলাই বাক্সের মতো এদিক ওদিক উল্টে পড়ে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৮৮ জন। জখম হয়েছেন অন্তত ৯০০ জন। এই ঘটনায় মুখে খুললেন অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। তাঁর বক্তব্য সরকারের উদ্দেশেই।
তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সোনু বলছেন, 'ওড়িশাতে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, পুরো দেশ এই সময় শোকে। আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি, টুইট করছি কিন্তু কিছুদিন পরে নিজের জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়ব। কিন্তু তাঁদের পরিবারের কী হবে। অনেকে হয়তো রুটি অর্জন করতে বেরিয়েছিলেন, মজদুর- শ্রমিক, তাঁদের পরিবার তো শেষ হয়ে গেল। আমার মনে হয় না তাঁরা আর উঠে দাঁড়াতে পারবেন। তাঁরা যা ক্ষতিপূরণ পাবেন, হয়তো দু-চার মাসে শেষ হয়ে যাবে। আহতরা ক্ষতিপূরণ পাবেন কিন্তু তাও হয়তো শেষ হয়ে যাবে।'
Heartbroken by the news of the train tragedy in Odisha. Heartfelt deepest condolences 💔🙏
— sonu sood (@SonuSood) June 3, 2023
Time to show our support and solidarity for the unfortunates. 💔#OdishaTrainAccident 🇮🇳 pic.twitter.com/ZfuYYp8HK9
সোনু বলছেন, 'যার কাঁধ ভেঙে গিয়েছে, পা বাদ চলে গিয়েছে তাঁরা কী আর উঠে দাঁড়াতে পারবে? সরকার খুব ভালো কাজ করছে। কিন্তু আমার মনে হয় সরকারের একটি স্কিম আনা উচিৎ। যাতে এমন দুঘটনায় আহতদের প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট অর্থ একাউন্টে ঢোকে। যে পরিমাণ অর্থ সরকার দিক না কেন প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পেলে সেই মানুষদের সুবিধা হবে।'
মণি ভট্টাচার্য: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) এখনও অবধি মৃত ২৮৮। আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০০-এর বেশি। এ অবস্থায় একদিকে এখনও যেমন চলছে উদ্ধারকার্য, তেমনই চলছে বিভাগীয় তদন্ত। এ অবস্থায় আনরিজার্ভড বা জেনারেল কামরায় থাকা যাত্রীদের অধিকাংশ মৃতদেহ সনাক্ত করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কতৃপক্ষ। সূত্রের খবর, রিজার্ভড কামরার যাত্রীদের তথ্য ঘেঁটে তাঁদের মৃতদের পরিবারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে রেল। কিন্তু কিছু মৃতদেহ বা আহতের পরিচয়ের খোঁজ এখনও পায়নি রেল কর্তৃপক্ষ।
এই সমস্যার সমাধান করতে রেলের ওয়েবসাইটে বা বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁদের ছবি দিয়ে খোঁজ চালানো হবে, এমনটা আগেই সিএন-ডিজিটালকে জানিয়েছিল ওড়িশার মুখ্য সচিব। এবার দক্ষিণ পূর্ব রেলের ওয়েবসাইটে এই দুর্ঘটনায় আহত ও মৃতের ছবি সহ তথ্য আপলোড করেছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী বলেন, 'আপাতত যাদের স্পষ্ট ছবি পাওয়া গেছে তাদের ছবি আপলোড করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট তথ্য-প্রমাণ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে পরিবারকে মৃতদেহ বা আহত ব্যক্তিদের তুলে দেওয়া হবে।'
নিম্নলিখিত ওয়েবসাইট গুলির মাধ্যমেই খোঁজ চালানো হচ্ছে।
নিহতদের খোঁজের জন্য
আহতদের খোঁজের জন্য
ইতিমধ্যেই ট্রেন দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কতৃপক্ষ। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, সিগন্যালিং বিভ্রাটের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।' সাম্প্রতিক কালে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি রেলের। এর পিছনে আদতে কী কারণ রয়েছে তা নিয়ে উচ্চবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশি। তিনি জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার আসল কারণ তদন্তের রিপোর্টেই পাওয়া যাবে। যদিও এই ঘটনায় রেলের গাফিলতি বলেই দাবি সাধারণের। পাশাপাশি রেল আধিকারিকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ওড়িশার (Odisha) বালেশ্বরে তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষে ভয়াবহ (Train Accident) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনার পরই শনিবার দুর্ঘটনাস্থলে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। আর সেখানে পৌঁছতেই তিনি জানালেন, 'দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।' আজ, শনিবার সকাল থেকেই দুর্ঘটনাস্থলে একে একে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার সকালে নয়াদিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তারপরেই বালেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। শনিবার বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ বালেশ্বরে পৌঁছন মোদী। এরপর রেলমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রের আরও এক মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। খতিয়ে দেখেন উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে তিনি ওড়িশা মন্ত্রিসভার সচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন। আহতদের এবং তাঁদের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এরপর দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বালেশ্বর হাসপাতালেও যান প্রধানমন্ত্রী। আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। আহতদের চিকিৎসার জন্য সরকার কোনও চেষ্টাই বাকি রাখবে না। এটা একটা গুরুতর ঘটনা। প্রতিটি কোণ থেকে এর তদন্তের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।'
দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromondeal Express) গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার। এই তথ্য জানতে পেরেছেন রেলের আধিকারিকরা (Rail)। এবং মাত্র ২৩ সেকেন্ডের মধ্যে গতিবেগ ০-তে নেমে আসে। রেল আধিকারিকদের ধারণা, ওই ২৩ সেকেন্ডেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধের সময় ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের পিছনের কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এবং কামরা গুলি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনে এসে পড়ে। সেসময় ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার বেগে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন সজোড়ে ধাক্কা মারে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কামরাগুলিতে। এবং বড়সড় বিপদের মুখোমুখি হয় চেন্নাইগামী ট্রেনটি।
এই ঘটনার জেরে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী, গতবছর রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণব কবচ প্রযুক্তি চালুর বিষয়ে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল সে নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দুর্ঘটনাস্থলে গেছেন।
ওড়িশায় মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা (Rail Accident)। এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ২৮৮ জন। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধি দল। বালাসোরে (Balasore) যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরই মধ্যে শনিবার নবজোয়ার কর্মসূচি স্থগিত রাখলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বালাসোরে মৃত্যুমিছিল লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাই জনসংযোগ যাত্রা স্থগিত রাখলেন তৃণমূল সাংসদ।
গত কয়েকমাস ধরেই উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জনসংযোগ যাত্রা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার রাতে ওড়িশার মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার পর মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেন অভিষেক। শনিবার হাওড়ার বাগনানে পদযাত্রা করেন অভিষেক। সেখানে কালীবাড়িতে পুজোও দেন। এরপর দুপুরে ও রাতে অধিবেশন কর্মসূচি ছিল। তা বাতিল করা হয়। রবিবার ডোমজুড়েও কর্মসূচি আছে তাঁর। সেই সূচিতেও পরিবর্তন আনা হতে পারে।
ফের জাতীয় সড়কে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা (Bus accident)। দুটি সরকারি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক সূত্রে খবর। ফলে দুর্ঘটনায় জখম বেশ কয়েকজন। ঘটনাটি ঘটেছে দীঘা (Digha) নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে মারিশদা বাসস্ট্যান্ডের কাছে। ঘটনাস্থলে আসে মারিশদা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। যদিও এই দুর্ঘটনায় কোনও গুরুতর হতাহতের খবর নেই বলেই জানিয়েছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।
ঘটনায় আহতদের স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জাতীয় সড়ক দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মারিশদা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘাতক দুটি বাসকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তা থেকে। এরপর যানজট কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে।
দীপিকা দাস: প্রাথমিক তদন্তে (Preliminary Probe) উঠে এল, ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনের কারণ। সিগন্যাল (Signal) ত্রুটির জন্যই ওড়িশার বালেশ্বরে প্রাণ গেল ২৮৮ জনের, এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। শনিবার সিএন-ডিজিটালকে এমনটাই জানালেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের সিপিআরও আদিত্য কুমার চৌধুরী। তিনি জানান, একটি যৌথ পরিদর্শনের পর প্রাথমিকভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। রেল আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সিগন্যালের ত্রুটির কথাই জানিয়েছেন। লুপ লাইনে ঢোকার ফলেই নাকি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। তবে জানানো হয়েছে, এটি প্রাথমিক রিপোর্ট। এখনও তদন্ত বাকি রয়েছে ও বিস্তারিত তদন্তের পরই প্রকাশ্যে আসবে যে, ঠিক কী কারণে এমন ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আপাতত ভাবে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের পর জানা গিয়েছে, যে এই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা হার মানিয়েছে গাইসলের দুর্ঘটনার ভয়াবহতাকেও।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ওড়িশার বালেশ্বর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে। আবার আহত হয়েছেন ১০০০-এর বেশি। এরপরই সিএন ডিজিটালের তরফে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের সিপিআরও আদিত্য কুমার চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার পর রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, আপ মেন লাইনে সিগন্যাল দেওয়া ছিল কিন্তু পয়েন্ট ছিল লুপ লাইনে। ফলে সিগন্যালের ত্রুটির কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।' তিনি আরও জানিয়েছেন, 'এই তথ্য একেবারেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। ঠিক কী ঘটেছিল, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। পুরো ঘটনা চূড়ান্ত তদন্তের পরই প্রকাশ্যে জারি করা হবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি।'
এছাড়া এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ, তা জানতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁর ফোন ব্যস্ত থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আচমকা ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ওড়িশার (Odisha) বালেশ্বর যেন 'মৃত্যুপুরী'-তে পরিণত হয়েছে। ২ জুন সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া-চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। প্রাথমিক ভাবে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের লাইনচ্য়ুত দুটি কামরায় ধাক্কা মেরে উল্টে যায় যাত্রীবোঝাই হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি কামরা। এরপর কয়েকটি কামরা ছিটকে গিয়ে পড়ে পাশের মালগাড়ির ওপর। ফলে যত বেলা গড়াচ্ছে, মৃত ও আহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এবারে এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বলিউড-টলিউড তারকারা। বলিউডের পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী থেকে অভিনেতা সলমন খান, করিনা কাপুর, পরিণীতি চোপড়া সহ বহু তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৮, তবে এই সংখ্যা যে আরও বাড়তে চলেছে তারই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী টুইটারে লিখেছেন, 'দুঃখজনক এবং অত্যন্ত লজ্জাজনক। কীভাবে ৩টি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়? কে দায় নেবে? সকল পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি। ওম শান্তি।'
অভিনেতা সলমন খান শোকপ্রকাশ করে টুইটে লিখেছেন, 'দুর্ঘটনার কথা শুনে সত্যিই মর্মাহত, ঈশ্বর নিহতদের আত্মাকে শান্তি দিন, এই দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করুন এবং আহতদের পরিবারকে শক্তি দিন।'
পরিণীতি চোপড়া লেখেন, 'ওড়িশার ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সবার জন্য আমি প্রার্থনা করছি। পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনদের পাশে দাঁড়াতে তাঁরা শক্ত হোন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আরোগ্য কামনা করছি। ঈশ্বর সকলকে আশীর্বাদ করুন।'
চিরঞ্জবী শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, 'ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় হতবাক! আমার হৃদয় শোকাহত পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।'
জুনিয়র এনটিআরও টুইটারে এই দুর্ঘটনার জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Accident)। ট্রাক্টর এবং লরির মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে মৃত (Death) এক এবং গুরুতর আহত (Injured) ২৬ জন। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) কতুলপুর থানার অন্তর্গত মির্জাপুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতুলপুর থানার পুলিস (Police)। আহত সকল ব্যক্তিদের স্থানীয় কোতুলপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল ও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বাঁকুড়া রাজ্য বালেশ্বরের ওই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে বহমান। ঠিক সেই ঘটনা চলাকালীনই ভয়াবহ এক পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়ার কোতুলপুর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার অন্তর্গত ছাতিনা গ্রামের ২৭ জন ব্যক্তি একলোকি গ্রামে একটি ট্রাক্টারে করে বিয়ের দেখা শোনার জন্য গিয়েছিলেন। দেখাশোনা সেরে আসার পথেই বিপত্তি।
সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর থেকে জয়পুরমুখী একটি লরি সজরে ধাক্কা মারে সেই ট্র্যাক্টরটিকে। সেই ট্র্যাক্টরে থাকা ২৭ জন ব্যাক্তির মধ্য ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক ব্যক্তি, এবং গুরুতর আহত হয় বাকিরা। স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। মৃত ওই মহিলার নাম চম্পা মুর্মু (৬০)।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা (Accident)। বালি বোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু (Death) হল এক যুবকের। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা (Deganga) থানার অন্তর্গত বেড়াচাঁপা-হাড়োয়া রোডের গড়পাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। ইতিমধ্যেই ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে পুলিস। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক লরির চালক। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম স্বপন মণ্ডল (২৪)।
এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুক্রবার সকালে মোটরবাইক চেপে হাড়োয়া রোড ষ্টেশনে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। তখনই গড়পাড়া এলাকায় সামনে থেকে আসা একটি মোটরবাইকের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন সে। আর ঠিক সেই সময়ই পিছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির বালি বোঝাই ট্রাক পিষে দিয়ে চলে যায় ওই যুবককে। তাঁদের দাবি, ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে। তারপরেই স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বিশ্বনাথ পুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।