নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ দুটি মোটর বাইকের। ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তিন যুবকের। ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলার বল্লভপাড়া বড়োশাঁকো এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত একজনের বাড়ি কাটোয়ার চাউল পট্টি এলাকায়। তাঁর নাম শায়ন দত্ত (২৪)। অপর দিক থেকে আসা বাইকে যে দুজন ছিলেন, তাঁরা হলেন শুভজিৎ ঘোষ (১৯) এবং বাপন দাস (২১)। দুই যুবকের বাড়ি বল্লভপাড়া গ্রামে। তিন যুবকের মৃতদেহ গুলিকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্য়া সাড়ে ৯টা নাগাদ নদীয়ার বড়শাঁকো এলাকায় দ্রুত গতিতে দুদিক থেকে দুটি বাইক আসছিল। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এরফলে রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটি টোটো গাড়ির উপর ছিটকে গিয়ে পড়ে বাইকে থাকা একজন। ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন টোটো চালক এবং টোটোতে থাকা এক যাত্রী। আহত দু'জনকে ভর্তি করা হয় কাটোয়া হাসপাতালে। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে মৃতের দুই পরিবারে।
বেঙ্গল কেমিক্যাল গেটের সামনে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আহত দুই শিশুর মধ্যে এক শিশুর। গতকাল, শনিবার ওই শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়ার পাশাপাশি বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার কাঁকুড়গাছির দিক থেকে বাইপাসে দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে একটি গাড়ি। রাস্তার মধ্যে উল্টে গিয়ে পাল্টি খায় গাড়িটি। সেই সময়ই আচমকা গাড়িটির ধাক্কায় গুরুতরভাব জখম হয় শিশু দুটি। ধাক্কা মারার পরই পালিয়ে যায় ড্রাইভার। স্থানীয়রা গাড়ি সরিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর তারপরই নিরীহ বাচ্চা দুটির এই শোচনীয় পরিণতিতে এলাকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিস এলে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাঁরা।
কলকাতায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। দুই শিশু সহ তিনজনের উপর উঠে গেল চলন্ত গাড়ি। রক্তে ভাসলো চারিদিক। বেঙ্গল কেমিক্যাল গেটের সামনে ঘটে মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনা। গাড়িটি দ্রুতগতিতে এসে রাস্তার পাশে গার্ডরেল ভেঙে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাচ্চা সহ মোট তিনজনকে ধাক্কা মারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফুলবাগান থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, কাঁকুড়গাছির দিক থেকে বাইপাসে দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে একটি গাড়ি। রাস্তার মধ্যে উল্টে গিয়ে পাল্টি খায় গাড়িটি। সেই সময়ই আচমকা গাড়িটির ধাক্কায় গুরুতরভাব জখম হয় শিশু দুটি। ধাক্কা মারার পরই পালিয়ে যায় ড্রাইভার। স্থানীয়রা গাড়ি সরিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর তারপরই নিরীহ বাচ্চা দুটির এই শোচনীয় পরিণতিতে এলাকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিস এলে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা।
মধ্যরাতে শহর কলকাতার বুকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে বিপত্তি। ঝুপড়ির উপরে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান বহুতলটি। কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এখনও অবধি জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। তাদের মধ্যে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন। ২ জন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। অনেকেই বহুতলের ভিতরে আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা। রাত থেকেই চলছে উদ্ধারকাজ। ইতিমধ্যে ঘটনায় প্রমোটারদের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
হঠাৎ করে মধ্যরাতে কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে দুর্ঘটনা। গোটা শহর যখন ঘুমন্ত ঠিক তখনই হুড়মুড়িয়ে একটি নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির উপরে। ঝুপড়িতে সেসময় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন সকলে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন ২ জন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত হয়েছেন বহু।
ইতিমধ্যেই দমকল এবং পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ২ জনকে উদ্ধার করে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত ২ জনেই মহিলা বলে জানা গিয়েছে। মৃত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পুরোটাই বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেকারণে তাঁরা সেটা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। স্থানীয়রা চারতলার পরের কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাসিন্দাদের কথায় কর্ণপাত না করেই নির্মাণ কাজ চালাচ্ছিলেন প্রমোটার এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
এদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। এনডিআরএফও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। বহুতল লাগোয়া কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয়রা মেয়রকে সামনে পেয়ে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
সাত সকালে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক পথচারীর। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া রানীগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম বাদল নাথ (৬৫)।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বাদল নাথ। সেই সময় জাতীয় সড়কের তারাপুর মোড়ের কাছে পিছন দিক থেকে আসা একটি ডাম্পার তাঁকে ধাক্কা দেয়। ডাম্পারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে গুরুতরভাবে আহত হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে মেজিয়া ব্লক প্রথম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
তারপরই বিক্ষোভের আঁচ উপচে পড়তে থাকে জাতীয় সড়কে। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মানুষজন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দিনের পর দিন পথ দুর্ঘটনা বাড়লেও পথ দুর্ঘটনায় এড়াতে কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। তাই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকার মানুষ।
শহরের কর্মব্যস্ত সময়ে রাস্তার মাঝেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল যাত্রীবাহী বেসরকারি বাস। ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের ডিজি ব্লকে অ্যাকশন এরিয়া ১ বিশ্ববাংলা মোড়ের কাছে। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও আহত বা মৃতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউটাউন থেকে আলিপুর রুটের ২৬০ নম্বর বাসে আগুন লাগে। যাত্রী নিয়ে আলিপুর থেকে নিউটাউনের দিকে আসছিল বাসটি। প্যাসেঞ্জার নামানোর পর হঠাৎ ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাসে থাকা বাকি যাত্রীরাও বাস থেকে নেমে যান। পুরো বাসটি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়ায় পথচলতি মানুষ থেকে শুরু করে যাত্রীদের মধ্যে।
বেপরোয়া সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক ব্য়ক্তির। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলের পাহাড়পুর ৮১ নং জাতীয় সড়কে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম হাসিরুদ্দিন (৫৫)। বাড়ি মালদহের চাঁচল ২ নং ব্লকের সাহুরগাছি গ্রামে। ঘটনায় মৃতদেহ আটকে রেখে জাতীয় সড়কে পথ অবরুদ্ধ করে অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন মৃতের পরিবার সহ প্রতিবেশীরা। এর ফলে সমস্য়া পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে নিজের চাষের জমি দেখে বাড়ি ফিরছিলেন হাসিরুদ্দিন। ঠিক সেই সময় ৮১ নং জাতীয় সড়কের পাহাড়পুর বাইপাসে ভুল রুটে বেপরোয়া গতিতে একটি সরকারি বাস এসে সাইকেল সহ তাঁকে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্য়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
এরপর আজ, শনিবার ভোরে কলকাতা থেকে চাঁচলে ওই ব্য়ক্তির দেহ ফিরতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১১ টা পর্যন্ত প্রায় ৬ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়ার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে সরকারি বাসের চালকের ভূমিকা নিয়ে। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্কুটার ও অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হল উচ্চমাধ্যমিকের তিন পরীক্ষার্থী সহ পাঁচ জন। তিন পরীক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। বর্তমানে আহত ওই তিন পড়ুয়া ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এক অটোযাত্রীকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অটোযাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্থির বানেশ্বরপুরে।
জানা গিয়েছে, জখম পরীক্ষার্থীরা কেসিলি বরকতিয়া হাই মাদ্রাসার পড়ুয়া। তাঁদের পরীক্ষা সিট পড়েছিল বানেশ্বরপুরে। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা। এদিন পরীক্ষার শেষে তিন পরীক্ষার্থী স্কুটারে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসা অটোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ছাত্রী সহ তিন পরীক্ষার্থী ছিটকে পড়েন। তারপর দ্রুত তাঁদেরকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। দুই ছাত্রীর অপারেশন প্রয়োজন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
রবিবাসরীয় সকালে মা উড়ালপুলে চাঞ্চল্য। উড়ালপুলে চড়ে বসলেন এক যুবক। বিপজ্জনক ভাবে উড়ালপুলের রেলিংয়ে বসে কখনও আত্যহত্যার চেষ্টা তো কখনও আবার নমাজ পড়লেন যুবক। সাতসকালে অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবকের কাণ্ডকারখানায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর কলকাতায়। আমরা এর আগে একাধিকবার হাওড়া ব্রিজে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের উঠে পড়ার ঘটনা দেখেছি। সূত্র বলছে, ২০২২ সালের নভেম্বরে হাওড়া ব্রিজের উপর উঠে পড়েছিল মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক সাধি কুমার। ২০২২ সালের জুলাইয়েও হাওড়া ব্রিজে চড়ে বসে বছর ২২-এর মহম্মদ হাবিব। হাওড়া ব্রিজে মাঝেমধ্যেই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির উঠে পড়া নতুন কিছু নয় এই শহরে। আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ওই যুবকের দাবি, ১৫ লক্ষ টাকা না পাওয়ায় আত্মহত্যার করতে চেয়েছিল সে।
অবশেষে কলকাতা পুলিস, দমকল বাহিনী ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আধিকারিকদের সহায়তায় বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় উড়ালপুল থেকে উদ্ধার করা হয় যুবকটিকে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, যে উড়ালপুলে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন রয়েছে পুলিস কর্মী। প্রশাসনের সেই কড়া নিরাপত্তাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উড়ালপুলে কীভাবে উঠলেন ওই যুবক? গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুলিস তদন্ত।
প্রশ্নের মুখে শহর কলকাতার নিরাপত্তা। ব্রিজে চড়ে বসছে যুবক। রাজপথে ক্রমশ বাড়ছে দুর্ঘটনাও।তবুও নীরব প্রশাসনের মুখে কুলুপ। কবে হুঁশ ফিরবে সরকারের অপেক্ষা গোটা রাজ্য।
রবিবাসরীয় সকালে মা উড়ালপুলে চাঞ্চল্য। উড়ালপুলে চড়ে বসলেন এক যুবক। বিপজ্জনক ভাবে উড়ালপুলের রেলিংয়ে বসে কখনও আত্যহত্যার চেষ্টা তো কখনও আবার নমাজ পড়লেন যুবক। সাতসকালে অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবকের কাণ্ডকারখানায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর কলকাতায়। আমরা এর আগে একাধিকবার হাওড়া ব্রিজে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের উঠে পড়ার ঘটনা দেখেছি। সূত্র বলছে, ২০২২ সালের নভেম্বরে হাওড়া ব্রিজের উপর উঠে পড়েছিল মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক সাধি কুমার। ২০২২ সালের জুলাইয়েও হাওড়া ব্রিজে চড়ে বসে বছর ২২-এর মহম্মদ হাবিব। হাওড়া ব্রিজে মাঝেমধ্যেই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির উঠে পড়া নতুন কিছু নয় এই শহরে। আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ওই যুবকের দাবি, ১৫ লক্ষ টাকা না পাওয়ায় আত্মহত্যার করতে চেয়েছিল সে।
অবশেষে কলকাতা পুলিস, দমকল বাহিনী ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আধিকারিকদের সহায়তায় বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় উড়ালপুল থেকে উদ্ধার করা হয় যুবকটিকে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, যে উড়ালপুলে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন রয়েছে পুলিস কর্মী। প্রশাসনের সেই কড়া নিরাপত্তাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উড়ালপুলে কীভাবে উঠলেন ওই যুবক? গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুলিস তদন্ত।
প্রশ্নের মুখে শহর কলকাতার নিরাপত্তা। ব্রিজে চড়ে বসছে যুবক। রাজপথে ক্রমশ বাড়ছে দুর্ঘটনাও।তবুও নীরব প্রশাসনের মুখে কুলুপ। কবে হুঁশ ফিরবে সরকারের অপেক্ষা গোটা রাজ্য।
শহরের বুকে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক ছাত্রীর। পুলিস সূত্রে খবর, ঠাকুরপুকুর জোকার ডায়মন্ড হারবার রোডের পাশে অন্তরা অ্যাপার্টমেন্ট। এই অন্তরা অ্যাপার্টমেন্টের ১০ তলা থেকেই শনিবার সকালে পড়ে মৃত্যু ১৮ বছরের ওই কিশোরীর।
জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী একাদশ শ্রেণীতে পাঠরত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান সম্ভবত আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্রী। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। পারিবারিক তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস।
দিনদিন বাড়ছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা। সাইকেলে করে স্কুল থেকে নাতিকে নিয়ে ফিরছিলেন দাদু। মহেশতলা বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের রামপুর কালীমন্দিরের কাছে ১৬ চাকার লরি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে সাইকেলে থাকা দাদু এবং তাঁর নাতিকে। ওই বৃদ্ধ এবং শিশু দুজনেই সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে রাস্তায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মিলিত প্রচেষ্টাতেই দু'জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা বছর ৬২-এর পরিতোষ দেবনাথকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিশুটি আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনায় পুলিসের সক্রিয়তা চোখে পড়ল না মহেশতলায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা লরির চালককে আটক করে রাখে। পরে পুলিস সেখানে এসে চালককে ধরে নিয়ে গেলেন থানায়। অর্থাৎ পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিসমন্ত্রীর জমানায় এখন দুর্ঘটনা ঘটলে পুলিসের আগে স্থানীয় মানুষকে সক্রিয় হতে হচ্ছে। তারপর খবর পেলে ঘুম ভাঙছে পুলিসের। এদিকে নিমেষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, পুলিসি সক্রিয়তার অভাবে এমনভাবেই কোথাও নাতিরা হারিয়ে ফেলছে দাদুকে, কোথাও বাবা-মা, সন্তানকে। নিমেষে চলে যাচ্ছে এমন অনেক পরিতোষ দেবনাথের মত প্রাণ।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল এক পুলিস কর্মীর। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেসরকারি বাসের ধাক্কায় পুলিসের বাইকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রামপুরহাট কুঠি গ্রাম মোড়ের কাছে। জানা গিয়েছে, মৃত পুলিস কর্মীর নাম বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তিনি মুরারই থানায় কর্মরত। ঘটনাস্থলে রামপুরহাট থানার পুলিস গিয়ে ওই মৃত পুলিস কর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কের কাছেই রয়েছে পশু হাট। এদিন দুপুরে সেই হাট থেকে কতগুলি গরু আসছিলো। আর সেই সময় গরুগুলিকে বাঁচাতে রামপুরহাট থেকে নলহাটি মুখি একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই দিকে যাওয়া বাইক আরহী অর্থাৎ পুলিসের বাইকে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় ওই বাইক আরহী পুলিস কর্মীর। স্থানীয়দের অভিযোগ, গরুর হাটের জন্যই প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে।
সাতসকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ঘাতক গাড়িটি। অন্য়দিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া রঘুনাথপুর ঝাড়ুখামার মোড় সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রঘুনাথপুর থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয় এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত ঝাড়ুখামার মোড়ের কাছে একটি সাইকেল আরোহীকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি দ্রুতগামী গাড়ি। এরপর গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়ে ওই সাইকেল আরোহী। গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। আর তারপরেই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পুরুলিয়া বড়াকরগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির (সাইকেল আরোহী) নাম দুগাই মণ্ডল (৫৮)। বাড়ি রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত আগইবাড়ি গ্রামে। বাড়িতে তাঁর এক ছেলে, এক মেয়ে ও অসুস্থ স্ত্রী রয়েছেন। এখন তাঁর পরিবারের ভরণপোষণ কী ভাবে হবে সেই চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা।
টোটোর ধাক্কায় প্রাণ গেল খুদের। শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায় টোটো। গুরুতর চোট লাগে মাথায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে টোটো চালককে আটক করেছে পুলিস। বুধবার দুর্ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার জলকর মথুরাপুর ঘোষপাড়ায়। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল বছর ছয়ের রনি ঘোষ। প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া সে। কিন্তু কে জানত, খুদের জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু। রাস্তার পাশে বসে থাকাটাই যেন কাল হল তার। নদিয়ার জলকর মথুরাপুর ঘোষপাড়ায় দ্রুতগতির টোটোর ধাক্কায় অকালে প্রাণ যায় ওই খুদের। শিশুটির শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায় টোটোটি এবং উল্টে যায় ঘটনাস্থলে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রনি।
এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় রনিকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে গিয়ে টোটো চালককে আটক করে ভীমপুর থানার পুলিস। প্রসঙ্গত, গত বছরই বেহালা চৌরাস্তার পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় বড়িষা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকার। আর কত মৃত্যু হলে গতি কমবে? আর কত প্রাণ ঝরলে সচেতন হবে চালকেরা? উঠছে একাধিক প্রশ্ন