প্রসূন গুপ্তঃ কংগ্রেস এবং তৃণমূল কতটা কাছাকাছি এলো তাই নিয়ে চলেছে অনেক জল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কি এই রাজ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট হচ্ছে? উত্তর নিশ্চই আছে, তবে তা ১৯ ডিসেম্বরের 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠকের পরে। আপাতত এই জোট বৈঠকে ২৬ দল ছাড়াও আরও নতুন দল যোগ দিতে পারে বলে খবর। নতুন বলতে ওই তারাই যারা এবারের তিন রাজ্যের কংগ্রেসের পরাজয়ের অন্যতম হোতা। তবে পশ্চিমবঙ্গে জোটের বিষয় যে, এই বৈঠকে দীর্ঘ সময়ের আলোচনার নয় তা এক প্রকার নিশ্চিত। কিছুদিন আগেই নাকি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টেলিফোনে কথা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কংগ্রেসকে দুটি আসন হয়তো ছাড়বে তৃণমূল, হয়তো তিনটিও হতে পারে। এই আসন অবশ্যই উত্তরবাংলায় কারণ দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূল একাই লড়বে বলেই জানা গিয়েছে। আরও একটি বিষয় পরিষ্কার সিপিএমকে বা বামেদের কোনও আসন ছাড়বে না তৃণমূল। বামেরাও তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যেতে আগ্রহী নয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সিপিএম/ কংগ্রেসের জোটের কি হবে? এক দিল্লির কংগ্রেসি নেতা নাকি জানিয়েছেন যে এই রাজ্যে সিপিএমের এমন কোনও ভোট নেই যার উপর ভরসা করে তাদের সাথে জোট করতে হবে। আসলে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বামেদের উপর ভরসা হারিয়েছে।
এবারে মূল চমক কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি নাকি ফের এই রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন থাকতেই পারে যেখানে বিধায়কদের ভোট রাজ্যসভার সদস্য হওয়া যায় সে ক্ষেত্রে বিধায়কহীন পশ্চিমবঙ্গ থেকে কি করে কংগ্রেসের কেউ রাজ্যসভায় যাবেন? উত্তরে জানা যাচ্ছে, স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি উদ্যোগ নিয়ে তৃণমূলের ভোট দিয়ে মনু সিংভিকে রাজ্যসভায় পাঠাতে আগ্রহী। যদিও এই বিষয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় নি। শোনা গেলো এটি নাকি তৃণমূলের তরফ থেকে কংগ্রেসকে 'উপহার'।
মনু সিংভি এই রাজ্য থেকে সংসদে গেলেও রাজ্য কংগ্রেস নিয়ে তাঁর কোনও উৎসাহ নেই। তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিখ্যাত আইনজীবী। তিনি এ রাজ্যের নানান প্রশাসনিক আইনি বিষয়টিতে রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করেন কোর্টে, তার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেস তো আছেই। সুতরাং ....