বৃহস্পতিবার সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে নয়া দিল্লির এইমসে। হাসপাতালের টিচিং ব্লকে আগুন লাগে। সেখান থেকে আশেপাশের বেশ কিছু কামরায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিন ভোরে দিল্লির এইমসের টিচিং বিভাগের দ্বিতীয় তলে আগুন লাগে। নিমেষেই সেই আগুন ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের কর্মী প্রথমে কালো ধোঁয়া দেখতে পান। এরপরই দমকলে খবর দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, এই অগ্নিকাণ্ডে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। জিনিসপত্রের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সপ্তাহের ব্যস্ততম দিনেই অর্থাৎ আজ, সোমবার রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) ঘটে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দিল্লির এইমস (Delhi AIIMs) হাসপাতালে ঘটে গেল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Incident)। সূত্রের খবর, দিল্লি এইমসের এন্ডোস্কপি বিভাগে লেগে যায় বিধ্বংসী আগুন। চারিদিক ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থলে আগুন নেভাতে পৌঁছে গিয়েছে ৮ টি দমকল। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি বা আহতের সংখ্যা জানা যায়নি।
#WATCH | Delhi: A fire broke out in the endoscopy room of AIIMS. All people evacuated.
— ANI (@ANI) August 7, 2023
More than 6 fire tenders sent, say Delhi Fire Service
Further details are awaited. pic.twitter.com/u8iomkvEpX
সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ১১ টা ৫৪ মিনিট নাগাদ এইমস হাসপাতালের এন্ডোস্কপি বিভাগে প্রথমে আগুন লাগে। এরপর ধীরে ধীরে তা হাসপাতাল চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে। আচমকা এমন আগুন দেখে ভয়ে-আতঙ্কে সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয় হাসপাতালে। ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে দিল্লি এইমস-এর মত দেশের বড় হাসপাতালে কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে প্রশ্ন শুরু উঠতে শুরু হয়েছে। এইমস সূত্রে খবর, প্রথমে ছটি দমকল পাঠানোয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এরপর পরে দুটি আরও পাঠানো হয়। অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের ডিরেক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন।
বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদেহ (Dead Body) সংরক্ষণ করতে বিশেষ কন্টেনার আনছে অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স (AIIMS)। AIIMS সহ বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে সেগুলি রাখা থাকবে। এক থেকে দু' বছর পর্যন্ত মৃতদেহ সংরক্ষণ করা সম্ভব ওই কন্টেনারে।
ওড়িশা সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭৫। তারমধ্যে এখনও প্রায় ১০০ দেহ শনাক্ত করা যায়নি। ভুবনেশ্বরের AIIMS সহ একাধিক হাসপাতালের মর্গে দেহগুলি রাখা হয়েছে। এদিকে প্রায় ৩ দিন পেরিয়ে যাওয়ার ফলে দেহগুলিতে পচন ধরতে শুরু করেছে। সেকারণে মরদেহ সংরক্ষণ করতেই ওই বিশেষ কন্টেনারগুলি ব্যবহার করা হবে।
প্রাথমিকভাবে মোট ৫টি কন্টেনার আনার ভাবনাচিন্তা রয়েছে। পরে প্রয়োজন হলে আরও কন্টেনার পারাদ্বীপ থেকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। ওড়িশা সরকার জানিয়েছে নর্থ ওড়িশা চেম্বার অ্য়ান্ড ইন্ডাস্ট্রির হলঘরে যে অস্থায়ী মর্গ তৈরি করা হয়েছে সেখানে অন্তত ১২০টি মরদেহ রাখা ছিল। তারমধ্যে সোমবার ৪০টি দেহ শনাক্ত করে পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বুকের সংক্রমণের জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে (Air Ambulance) করে কাঠমান্ডু থেকে দিল্লির এইমসে (Aiims) নিয়ে যাওয়া হল নেপালের (Nepal) প্রেসিডেন্ট (President) রামচন্দ্র পদেলকে। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্টের বুকের সংক্রমণ আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। এক মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদেলকে দু’বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। বুকের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হয়নি। এই কারণে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনেই ‘এয়ারলিফ্ট’ করে তাঁকে তুলে আনা হল দিল্লিতে।
চলতি মাসের প্রথমদিন প্রেসিডেন্ট পদেল প্রথম বুকে ব্যথা অনুভব করেন। সেই কারণে তৈরি করা হয় একটি মেডিক্যাল টিম। সেই টিম খতিয়ে দেখে প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ প্রেসিডেন্টকে দেখতে আসেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল, উপপ্রধানমন্ত্রী পূর্ণবাহাদুর খাদকা এবং অন্যান্যরা। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও সমস্যা সমাধান হয়নি তাঁর।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নেপালের টিইউ টিচিং হাসপাতালে ফের ভর্তি করা হয় প্রেসিডেন্ট পদেলকে। কিন্তু সেখানে তাঁর বুকে জটিল সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপরেই আর দেরি না করে বুধবার, সকাল ১১টা নাগাদ দিল্লিতে পৌঁছয় নেপালের প্রেসিডেন্টের বিমান অ্যাম্বুল্যান্স। তারপর সেখান থেকে সোজা এমসে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ছেলে চিন্তুন এবং আরও কয়েক জন ঘনিষ্ঠ।
আচমকাই সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Union finance minister) নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। বেলা ১২টা নাগাদ নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে (AIIMS) ভর্তি করানো হয় তাঁকে। ৬৩ বছরের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হাসপাতালের একটি প্রাইভেট কেবিনে ভর্তি ছিলেন। তিন দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন অর্থমন্ত্রী।
তবে ঠিক কী কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নির্মলা, তা জানা যায়নি। পরে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকস্থলীতে সংক্রমণ রয়েছে তাঁর। তাই তাঁকে অবজারভেশনে রাখা হয়, বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল। ডাক্তারের পরামর্শে তিন দিন পর বাড়ি ফিরছেন।
যদিও সোমবার জানা গিয়েছিল, “অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এইমসের প্রাইভেট ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং ভালো আছেন। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩-র ১লা ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশের কথা নির্মলা সীতারমনের। তার কার্যত এক মাসে আগে এমস-এ নিয়ে আসা হয়েছিল অর্থমন্ত্রীকে। আগেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আসন্ন বাজেট জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে রেখেই হবে। মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি তিনি বাজেটে দেখবেন।
আচমকাই হাসপাতালে ভর্তি হলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Union finance minister) সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। সূত্রের খবর, সোমবার নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে (AIIMS) ভর্তি হন তিনি। ৬৩ বছরের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হাসপাতালের একটি প্রাইভেট কেবিনে ভর্তি রয়েছেন। এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, বলে জানা গিয়েছে।
এক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বুকে চাপ অনুভূত হওয়ায় ও ডিহাইড্রেশনের কারণে সীতারামনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
যদিও সোমবার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইনস্টিটিউটের প্রাইভেট ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং ভালো আছেন। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।”
উল্লেখ্য, সরকারিভাবে অথবা হাসপাতাল মারফত এখনও কোনও কিছুই জানানো হয়নি।প্রসঙ্গত, ২০২৩-এর ১লা ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করার কথা রয়েছে নির্মলা সীতারমনের। তার কার্যত এক মাসে আগে এইমস-এ নিয়ে আসা হল অর্থমন্ত্রীকে।
কল্যাণী এইমস-এ নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়াল বাঁকুড়ার বিজেপি(BJP) বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার (Niladri Sekhar Dana)। তবে এই ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট সামান্য আলাদা। এবার কল্যাণী এইমসে (AIIMS) নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের মঙ্গলবার তাঁকে ডেকে পাঠায় সিআইডি (CID)। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫৫মিনিট নাগাদ ভবানীভবনে আসেন এবং সিএইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন তিনি। বিধায়কের কন্যা মৈত্রেয়ী দানার এইমস নিয়োগ নিয়ে জেরায় একাধিক প্রশ্ন করা হয় বলে সূত্রের খবর। প্রায় ৭ ঘণ্টা ভবানী ভবনে ছিলেন তিনি।
ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে বিধায়ক বলেন, এ ব্যাপারে আইনগতভাবে তিনি এগোবেন যা বলার বলবেন দলের সভাপতি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন দীর্ঘদিন ধরে তাঁর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বাম আমল থেকে শুরু করে এই আমলেও সেই ধারা অব্যাহত। গোটা ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক যোগসাজসের অভিযোগও করেছেন তিনি।
উলেখ্য, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে, এই অভিযোগে এফআইআর (FIR) করা হয়েছিল চাকদহ থানায়। যেখানে নাম ছিল ৮ জনের। এরপরেই আদালতের নির্দেশে গোটা ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। এর আগে মৈত্রেয়ী দানাকে বাঁকুড়ায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। কিন্তু তাঁর চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম ভাবেই বাবা বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার প্রভাব নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন মৈত্রেয়ী। কিন্তু এরপর তদন্তে নেমে জানা যায় এইমসে মেয়েকে নিয়ে নিজে গিয়েছিলেন বিধায়ক।
শুধু তাই নয়, যে এজেন্সি মারফত মৈত্রেয়ীর চাকরি হয়েছে সেখানে স্বয়ং বিধায়কের সুপারিশপত্র গিয়েছিল বলেও দাবি সিআইডি আধিকারিকদের। আর সেই বিষয়ে বিশদে জিজ্ঞসাবাদ করার জন্যই এদিন আবার তলব করা হয়েছিল বাঁকুড়ার বিধায়ককে বলে খবর।
শিক্ষা সংক্রান্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত দুর্নীতির একের পর এক চিত্র উঠে আসছে রাজ্যের রাজনৈতিক ক্যানভাসে। প্রভাব খাটিয়ে ছেলে, মেয়ে, পরিবার, পরিজন বা বন্ধু স্থানীয়দের বাড়ির লোকের হাতে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা তুলে দিয়েছেন সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র! এসব ঘটনা সামনে আসতেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেলে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অযোগ্য হয়েও বাবার প্রভাবে চাকরি পাওয়ায় স্কুল চাকরি গিয়েছে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার। নাম জড়িয়েছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যারও, এবার শেষে একই অভিযোগ কি বিদ্ধ বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা?
তবে এই গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে পাল্টা অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। "যেহেতু সিবিআইয়ের (CBI) জালে তৃণমূলের নেতারা ছটফট করছেন, বড় বড় দুর্নীতি করে মুখ কালো করে বসে রয়েছেন, তাই তার প্রতিহিংসা হিসেবেই কোথাও কিছু নেই তাও আমাদের নেতাদের দিনের পর দিন ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে।" ঠিক এভাবেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।
ফের অ্যাসিড হামলা (Acid attack)। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) চাতরা জেলার (Chatra district) ১৭ বছরের একটি মেয়ে অ্যাসিড হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিল। বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS) নয়াদিল্লিতে (New Delhi) রেফার করা হয়। আকাশপথে ওই আক্রান্ত কিশোরীকে রাঁচি থেকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়।
নাবালিকার উপর ৫-ই অগাস্ট অ্যাসিড আক্রমণ হয়েছিল। এরপর রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (RIMS) চিকিৎসাধীন ছিল মেয়েটি। রাজ্য সরকার-চালিত ওই হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড মেয়েটির বিভিন্ন রিপোর্ট পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এইমস হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের মেয়ে ও তার পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা হিসাবে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তার একটি পোস্ট ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, মেয়েটিকে নয়াদিল্লির AIIMS ট্রমা সেন্টারের বার্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, "ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি যেন সুস্থ হয়ে দ্রুত ফিরে আসেন।"
হামলায় আহত মেয়েটির মা বলেন, তাঁদের গ্রাম ঢেবো থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে বসবাসকারী অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। গত দুই-তিন মাস ধরে সে তাঁর মেয়েকে উক্ত্যক্ত করছিল। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন চতরা জেলা প্রশাসক আবু ইমরান।
কোটি কোটি ভক্তের প্রার্থনা ও চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অবশেষে ১৫দিন পর সাড়া দিলেন জনপ্রিয় স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান (Comedian) তথা অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastava)। গত ১০ অগাস্ট জিমে ওয়ার্কআউট করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) শিকার হয়েছিলেন রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastava)। ট্রেডমিলে ওয়ার্কআউট করার সময় আচমকা বুকে ব্যথা শুরু হয়েছিল কৌতুকশিল্পীর। তারপরেই সেখানে অজ্ঞান হয়ে যান। জিমের প্রশিক্ষক তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। আপাতত বিপদমুক্ত না হলেও সামান্য উন্নতি হচ্ছে রাজুর শরীর বলে জানান ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়।
বর্তমানে তিনি দিল্লির এইমসে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এখনও চিকিৎসা চলছে তাঁর। এর আগেও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজু। আবার সেদিন তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্ল্যাস্টি হয়। বুকে দু’টি স্টেন্ট বসানো হয়। উল্লেখ্য, রাজু শ্রীবাস্তব উত্তরপ্রদেশের ফিল্ম বিকাশ পরিষদের চেয়ারম্যান। তাঁর পরিচিতি 'গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ' থেকে। তাঁকে দেখা গিয়েছিল হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে 'ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হু' ছবিতে। এছাড়াও বম্বে টু গোয়া, বাজিগর, আমদানি আঠানি খরচা রুপাইয়া ছবিতে। এছাড়াও বিগ বসের মত রিয়্যালিটি শো-এর তৃতীয় সিজনেও ছিলেন তিনি।
এছাড়াও কমেডি নাইটস উইথ কপিল', 'মজাক মজাক ম্যয়' একাধিক কমেডি শো করেছেন এই কমেডিয়ান।
কল্যাণী এইমস (AIIMS) নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্ত সিআইডি থেকে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে যাক। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। তবে এদিন এই নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে চলা সিআইডি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি রেখেছে আদালত। যতক্ষণ না পর্যন্ত নতুন নির্দেশ আসছে, ততক্ষণ সিআইডি তদন্ত করতে পারবে না। এমনটাই শুনানিতে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
অর্থাৎ আপাতত এইমস নিয়োগ মামলার তদন্ত করতে পারবেনা সিআইডি। এদিকে, এই মামলার মূল আবেদনকারী বুধবার শুনানিতে জানান, এইমস কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত হাসপাতাল। মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টিদের নিয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই হাসপাতালের বাকি সদস্যদেরও নিয়োগ পদ্ধতি এক। প্রত্যেকের বেতন ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রকে অধীনে। কিন্তু ওই মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টিরদের নিজেদের ক্ষমতা বিক্রি করে, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হচ্ছে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন।
এই দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, এইমস নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে, এই অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েছে। আমরা তদন্তভার নিয়েছি, দুর্নীতি হয়েছে সেই প্রমাণ হাতে এসেছে। পাশাপাশি সিবিআই আইনজীবী জানান, এই মামলার ধরন দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তদন্ত করছে সিআইডি, এই তদন্তে গতি নেই। আমাদের হাতে দায়িত্ব এলে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো, আমরা প্রস্তুত।
কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলা। মামলায় বিপাকে সিআইডি (CID)। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত (investigation) করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। দুর্নীতি দমন আইনে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে সিআইডির কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কল্যাণী এইমসে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে তদন্ত চালানো সিআইডিকে এই মর্মে সতর্ক করল হাইকোর্ট (Highcourt)। সোমবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।
উল্লেখ্য, গত শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। তাঁর যুক্তি ছিল, এইমসে বেআইনি কর্মী নিয়োগ মামলায় কয়েক জন কর্মীর নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি সিআইডিকে আদালত জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন আইনের ১৭ (এ), ১৯৮৮ মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ফলে কল্যাণী এইমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। কেন্দ্রের আইনজীবীর যুক্তিকে মান্যতা দিয়ে সোমবার সিআইডিকে সতর্ক করল আদালত। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিকে সূত্রের খবর, এই মামলায় এতদিন সিআইডির তরফে শুনানি করা সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কোনও সিনিয়র আইনজীবীকে এখানে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।
জিমে ওয়ার্কআউট করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) শিকার জনপ্রিয় স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান (Comedian) তথা অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastava)। জানা গিয়েছে, ট্রেডমিলে ওয়ার্ক আউট করার সময় আচমকা বুকে ব্যথা শুরু হয়েছিল কৌতুকশিল্পীর। তারপরেই সেখানে অজ্ঞান হয়ে যান। বর্তমানে তিনি দিল্লির এইমসে (AIIMS) চিকিৎসাধীন। তাঁকে দু'বার সিপিআর (CPR) দেওয়া হয়। আগের চেয়ে স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও জ্ঞান ফেরেনি শিল্পীর, এমনটা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি রয়েছেন ভেন্টিলেশনেই।
বুধবার জিমের প্রশিক্ষক তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। এর আগেও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজু। আবার এদিন তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্ল্যাস্টি হয়। বুকে দু’টি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে। এখনই জ্ঞান ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। উল্লেখ্য, রাজু যে শুধুই কৌতুক শিল্পী এবং অভিনেতা নয়।
পাশাপাশি, তিনি উত্তরপ্রদেশের ফিল্ম বিকাশ পরিষদের চেয়ারম্যান। রাজু তাঁর পরিচিত পান 'গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ' থেকে। তাঁকে দেখা গিয়েছিল হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে 'ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হু' ছবিতে। এছাড়াও বম্বে টু গোয়া, বাজিগর, আমদানি আঠানি খরচা রুপাইয়া ছবিতে। এছাড়াও বিগ বসের মত রিয়্যালিটি শো-এর তৃতীয় সিজনেও ছিলেন তিনি। এছাড়াও কমেডি নাইটস উইথ কপিল', 'মজাক মজাক ম্যয়' একাধিক কমেডি শো করেছেন এই কমেডিয়ান।
রাজুর শ্রীবাস্তবের আগে গত এক বছরে একাধিক পরিচিত মুখের জিম করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন পুনীথ রাজকুমার এবং সিদ্ধার্থ শুক্ল। তবে রাজু শ্রীবাস্তবের সুস্থতা কামনায় তাঁর অনুরাগীরা।