Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Domestic

Naihati: পণ বিবাদে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীয়ের পেটে লাথি, মৃত্যু তরুণীর! পলাতক অভিযুক্ত স্বামী

স্বামীর লাথিতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যু (death)। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা। অভিযোগ, ঘটনার পরই পলাতক স্বামী (husband)। তাঁর খোঁজে পুলিস (police)। নির্মম এই ঘটনা নৈহাটি (Naihati) কুলিয়াগড় দিঘীরপাড় এলাকার। পরিবার সূত্রে খবর, দু'বছর আগে দিঘীরপাড়ের বাসিন্দা বিধান হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় নৈহাটি দোগাছিয়া তালবাগানের বছর ২২-এর পূজার। পেশায় রাজমিস্ত্রীর কনট্রাকটর ছিলেন বিধান। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পূজার বাড়ি থেকে টাকা চাওয়া হত। টাকা না পেয়ে চরম অত্যাচার করতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ি।

এরপর পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পূজাকে পেটে লাথি মারেন তাঁরই স্বামী। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে ছেড়ে দেওয়া হয় পূজাকে। এই ঘটনার পর নিজের স্বামীর নামেই অভিযোগ দায়ের করেন পূজা। কিন্তু এরপর ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। দু'দিন আগে ফের পূজাকে ভর্তি করা হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে।

কিন্তু গত সোমবার সেখানে মৃত্যু হয় পূজার। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে পূজার মৃত্যু হয়েছে এমনই অভিযোগ তুলে শিবদাসপুর থানায় আবারও অভিযোগ দায়ের করে পূজার পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বিধান হালদার এখনও পর্যন্ত পলাতক। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিস। 

2 years ago
Murder: খানাকুলে বধূকে খুন করে দেহ পোড়ানোর চেষ্টা, অভিযোগ পেয়ে গ্রেফতার ৩

এক গৃহবধুকে খুন (murder) করে মৃতদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর (husband) বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় খানাকুলের (Khanakul) পাঁচুইখানা এলাকার। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর স্বামী আগে খুন করে, তারপর মৃতদেহ (deadbody) পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের চরমতম শাস্তির দাবিতে এলাকা ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে খানাকুল থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিস অভিযুক্ত স্বামী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস ওই গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম মানসী মণ্ডল(৪২), দম্পতির দুই সন্তান। তড়িঘড়ি গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় ক্ষুব্ধ মানুষজন দেহটি আটকে রাখে। পুলিস এলে অভিযুক্তদের পুলিসের হাতে তুলে দেন তাঁরা। অভিযুক্ত স্বামী হরেকৃষ্ণ জানা পেশায় সোনা ব্যবসায়ী। দোকান লাগোয়া তাঁদের বাড়ি। বেশ কিছু দিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। পারিবারিক বিবাদ লেগেই থাকত। পাশাপাশি হরেকৃষ্ণের ভাই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন।  পাঁচুইখানার বাড়িতে মৃতার ছোট জা থাকেন।

পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত হরেকৃষ্ণ জানার গ্রামের বাড়ি খানাকুলের নন্দনপুর এলাকায়। কর্মসূত্রে তাঁরা এখানেই থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে হরেকৃষ্ণ পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে যান। আর সেই ঘটনা জানতে পারায় স্ত্রী মানসীর সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে আগে খুন করেন স্বামী হরেকৃষ্ণ। পরে তাঁর দেহ বাথরুমে টেনে নিয়ে গিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন স্বামী। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি আসে খানাকুল থানার পুলিস।

2 years ago
Delhi: স্বামীর আচরণে একছাদের তলায় থাকা অসম্ভব হলে খোরপোশ চাইতে পারে স্ত্রী: হাইকোর্ট

স্বামীর আচরণে (Domestic Problem) যদি এক ছাদের তলায় থাকা অসম্ভব হয়, তাহলে খোরপোশ (Alimony) দাবি করতেই পারে স্ত্রী। তবে তথ্য প্রমাণের সাপেক্ষে স্ত্রীয়ের অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। আর সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে খোরপোশ দিতে অস্বীকার করতে পারবেন না স্বামী। এক মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। 

জানা গিয়েছে, নিম্ন আদালতের এক রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে যান এক মহিলা। সেই মামলার শুনানিতে সম্প্রতি এই মন্তব্য হাইকোর্টের। নিম্ন আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, দায়রা আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে তিনি খোরপোশ দাবি করার অধিকারী নয়। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণ ভুল বলে  জানিয়েছে।

দিল্লি হাইকোর্টের মন্তব্য, প্রত্যেকের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যাঁদের ভরণপোষণ প্রয়োজন, তাঁদের ক্ষেত্রেও বিচারকদের এ কথা মাথায় রাখতে হবে। খোরপোশ সংক্রান্ত প্রতিটি মামলা ভিন্ন। বিচারপতি শর্মা জানান, যদি আদালতগ্রাহ্য তথ্যপ্রমাণে দেখা যায় যে স্বামীর আচরণের কারণেই স্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকতে পারছেন না। তা হলে স্ত্রী ও নাবালক সন্তানদের খোরপোশ দিতে স্বামী কখনই অস্বীকার করতে পারেন না।

2 years ago


Maharashtra: একদিকে ভজন পাঠ, অন্যদিকে টিভির শব্দ! শাশুড়ি-বৌমার বচসায় রক্তারক্তি থানেতে

বৌমা জোরে আওয়াজ দিয়ে টিভি দেখছিলেন। আর শাশুড়ি (Mother-in-law) টিভি বন্ধ করে দেওয়ায় রেগে আগুন। যার জেরে এমন ঘটনা ঘটিয়ে বসবেন বৌমা, তা ভাবাও যায় না। বৌমার কীর্তি শুনে হতবাক সকলে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা রাগে বৃদ্ধা শাশুড়ির তিনটি আঙুল কামড়ে দেন। পুলিস সূত্রে এমনটাই খবর। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra)  থানে (Thane) জেলার অম্বরনাথে।

শিবাজি নগর থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ব্রুশালি কুলকার্নি বাড়িতে ভজন পাঠ করছিলেন। আর সেসময় পুত্রবধূ বিজয়া কুলকার্নি (৩২) টেলিভিশন দেখছিলেন। আওয়াজ জোরে হওয়ায় শাশুড়ির ভজন পাঠে অসুবিধে হয়। তখন তিনি কমাতে বলেন আওয়াজ। এরপর শুরু হয় ঝগড়া।

ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছয় রেগে শাশুড়ি টিভি বন্ধ করে দেন। তখন ঘটে যায় বিপত্তি। শাশুড়ির হাত ধরে তাঁর তিনটি আঙুল কামড়ে দেন। এমনকি বিজয়া তাঁর স্বামীকেও চড় মারেন, দুজনের ঝগড়ার মধ্যে ঢোকার জন্য।

আহত শিবাজিনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি অপরাধ নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে।

2 years ago
Jharkhand: খাবার নিয়ে পরিচারিকার সঙ্গে বচসা, দম্পতিকে কুপিয়ে খুনে রাঁচিতে চাঞ্চল্য

খাবার নিয়ে পুরুষ পরিচারিকার (domestic help) উপর চিৎকারের পরিণতি যে মৃত্যু (Death) হতে পারে, তা হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করেননি দম্পতি। ঘুমের মধ্যেই দম্পতিকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা (Murder) করেন অভিযুক্ত ওই ৪০ বছর বয়সী পরিচারিকা। এবং দম্পতির মেয়ের উপরেও হামলা চালান বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) গুমলা জেলায়।

গুমলার মাঝগাঁও জামতলী গ্রামে বসবাস করেন নিহত দম্পতি রিচার্ড মিঞ্জ এবং মেলানি মিঞ্জ। তাঁদের বাড়িতেই পরিচারিকার কাজ করতেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। সোমবার গভীর রাতে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে ফেলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিসের হাতে তুলে দেন তাঁকে। কুড়ুলের আঘাতে ঘরের মধ্যেই মারা যান রিচার্ড এবং মেলানি। তাঁদের মেয়ে তেরেসা গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে রাঁচির একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

একজন পুলিস অফিসার জানিয়েছেন, সত্যেন্দ্র লাকড়া নামে অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন, কিছু দিন আগে খাবার নিয়ে রিচার্ড মিঞ্জের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়েছিল। এবং তারপরই সে পরিকল্পনা করে ওই পরিবারকে আক্রমণ করেন। যদিও তিনি সেসময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলার সময় ব্যবহৃত কুড়ুল পুলিস উদ্ধার করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

2 years ago


Uttar Pradesh: কুমাতা কখনও নয়! দাম্পত্য কলহে তিন সন্তানকে বিষ খাইয়ে খুন মায়ের

নৃশংস ঘটনা। মায়ের এহেন রূপ কল্পনাতীত। স্বামীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকে। পারিবারিকে কলহের জেরে তিন সন্তানকে বিষ খাইয়ে (poisoned) মারলেন (Murder) মা। দুই ছেলেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিস। আর রাতে হাসপাতালেই মারা যায় মেয়ে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিপুরের (Ghazipur) এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য।

গাজিপুরের এসপি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত সুনিতা যাদব নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, বিবাদের জেরে স্বামীর উপর ক্রোধে ওই মহিলা তাঁর তিন সন্তানকে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড খাইয়েছিলেন। দুই ছেলের বয়স ১০ বছর এবং ৮ বছর। মেয়ের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল এবং বারাণসী বিএইচইউতে রেফার করা হয়েছিল। তবে ওই রাতেই মেয়ের মৃত্যু হয়।

সোমবার বিকেল ৩ টের দিকে গাজিপুর থানার পুলিস এই খবর পায়। ওই অভিযুক্ত মহিলার নামে মামলাও দায়ের করেছে পুলিস।

2 years ago
Karnataka: বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শুনানির ফাঁকেই স্ত্রীর গলায় ছুরির কোপ, ধৃত ঘাতক স্বামী

আদালতের মধ্যেই স্ত্রীকে গলা কেটে খুন (Murder)করলেন স্বামী! এমনই শিউরে ওঠার মতো কাণ্ডের সাক্ষী থাকল কর্ণাটকের (Karnataka) হাসানের এক পরিবার আদালত। ঘটনায় হতবাক বিচারপতি থেকে আইনজীবী সকলে। স্বামীর হামলায় গুরুতর আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারও (Arrested) করা হয়েছে তাঁকে।

কর্নাটক পুলিস সূত্রে খবর, এই হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে ৩২ বছর বয়সি শিবকুমার এবং ২৮ বছরের চিত্রার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন। নিয়ম অনুযায়ী, দু’পক্ষের আইনজীবী সওয়াল-জবাব চলছিল। সবটা শোনার পর মামলার পরবর্তী দিন জানান বিচারক। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

জানা গিয়েছে, এদিন শুনানিতে চিত্রা এবং শিবকুমার একসঙ্গে থাকতে রাজিও হয়েছিলেন। শিবকুমারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন চিত্রা। শুনানির শেষে আদালত ভবনের শৌচালয়ে যান চিত্রা। তখনই ছুড়ি নিয়ে পিছন থেকে চিত্রার গলায় কোপ বসান।  স্ত্রীর চিৎকার শুনে সকলে ছুটে আসেন। তখন শিবকুমার পালানোর চেষ্টা করলেও তা বৃথা হয়। আদালতে উপস্থিত জনতাই তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেন।

জানা গিয়েছে, চিত্রার গলার ধমনী কেটে গিয়েছিল। অতিরিক্তি রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

2 years ago
Death: নিত্য মারধর সঙ্গে সন্দেহবাতিক মন, অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীকে গলা টিপে শক দিয়ে খুন স্ত্রীয়ের

সম্পর্কে 'সন্দেহ' কতটা ভয়ানক হতে পারে তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই ঘটনা। স্বামী, স্ত্রীকে (Husband-Wife) সন্দেহ করতেন। তার জেরে স্ত্রীকে মারধরও করতেন। দিনের পর দিন স্বামীর অকথ্য অত্যাচার (Torture) সহ্য করতে করতে বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল রঞ্জনাবেনের। এরপরই নিয়েছেন দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত। ঘুমের মধ্যেই রবিবার স্বামীকে হত্যা (Murder) করলেন তিনি। খুনের অভিযোগে রঞ্জনাবেনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।

জানা গিয়েছে, স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এই কাজ করেছেন তিনি। পুলিসকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তিনি কেবল সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। রবিবার রাতে আসে সেই সুবর্ণ সুযোগ। ছেলেমেয়েকে নিয়ে যে ঘরে ঘুমোন, তার পাশের ঘরে অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন স্বামী নবীন। ছেলেমেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে স্বামীর ঘরে গিয়ে গলা টিপে ধরেন রঞ্জনবেন। তারপর স্বামী অচৈতন্য হয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ইলেক্ট্রিক শক দেন তিনি।

ছেলেমেয়েকে সকালে স্কুলে পাঠানোর পর রঞ্জনাবেন চিৎকার শুরু করেন। তা শুনে তাঁর শ্বশুর এলে, দেখতে পান, ছেলে নবীন বিছানায় পড়ে রয়েছে। গলায় ও পায়ের নিচে আঘাতের দাগ রয়েছে। যদিও রঞ্জনাবেন তখন বলেন বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়েছেন। তবুও সন্দেহ হয় অভিযুক্তর শ্বশুরের।

সঙ্গে সঙ্গে তিনি থানায় খবর দেন। পুলিস এসে তদন্ত শুরু করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। রঞ্জনাবেন নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন সত্যিটা। অবশেষে খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।

2 years ago