Share this link via
Or copy link
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে সরব এক মহিলা। মালদহ (Maldah) কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) ভাইরাল মহিলার বক্তব্য। আর এরই মধ্যে সালিশি সভার আয়োজন করে টাকার বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহারের অভিযোগও ওঠে। যদিও সালিশির মধ্যে ভুল কিছু দেখছেন না বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক (Trinamool MLA)। তবে এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। অন্যদিকে এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই রহস্যজনকভাবে উধাও অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্ত প্রধান।
বীরনগর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পল্টু মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং ধর্ষণের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াচক থানা ৪১৭ এবং ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কিন্তু এরই মধ্যে সালিশি সভা বসিয়ে পুরো বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেন বৈষ্ণব নগরের তৃণমূল বিধায়ক ও তাঁর স্বামী বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।
নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁর স্বামী ভিন রাজ্যে কাজ করেন। এই সুযোগে প্রধান পন্টু মণ্ডল তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করেন, এমনকি ধর্ষণ পর্যন্ত করেন। গত তিনমাস ধরে পল্টু মণ্ডল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি, ফলে তিনি বাধ্য হয়ে বিধায়কের কাছে যান। এরপরই বাড়িতে ডেকে টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয় এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার।
এই বিষয়ে বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক চন্দনা সরকার বলেন, "উভয় পক্ষই আমাদের কাছে এসেছিল। গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে দেড় লক্ষ টাকা প্রধানকে দিতে বলেছি সবকিছু মিটিয়ে নেওয়ার জন্য। গ্রামে এই ধরনের বিচার হয়ে থাকে।" এরই পাশাপাশি নির্যাতিতার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বৈষ্ণনগরের তৃণমূল বিধায়ক।
আর এই ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। উত্তর মালদহ বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের নারী মর্যাদা নিয়ে বড় বড় কথা বলেন তৃণমূল নেতারা। আরেকজন তৃণমূল বিধায়ক দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে সালিশি সভা করে মিটিয়ে দিচ্ছেন। এর থেকে লজ্জার কিছু আর হতে পারে না। এরপর তৃণমূল ঘোষণা করে দিক আইন আদালত কিছু থাকবে না এখানে তৃণমূলের শাসন চলবে।" যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ধর্ষণের সেই প্রধান পল্টু মণ্ডলকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।