২৩ মে, ২০২৪

Burdwan: সেভাবে বরাত নেই, পুজোর একমাস আগে মন খারাপ পূর্ব বর্ধমানের ডোকরা গ্রামের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-09-05 17:40:08   Share:   

রাজ্যজুড়ে ঘটা করে দুর্গাপুজোর (durga puja) প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেলেও মন খারাপ পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) আউশগ্রামের দ্বরিয়াপুরের ডোকরা শিল্পীদের। ভাবছেন কেন?

অন্যবছর পুজোর মন্ডপ, মন্ডপের সাজসজ্জা, দেবী প্রতিমা, রকমারী গহনা, ঘর সাজানোর সামগ্রী থেকে শুরু করে উপহার দেওয়ার জন্য বিশেষ রকমের স্মারকের বরাত থাকলেও এবছর সেই বরাত আর নেই। তাই বছরের এই সময়টাই যখন শিল্পীদের একপ্রকার নাওয়া খাওয়ার সময় থাকে না, তখন শিল্পীদের দিন কাটছে বরাতের আশায়। পুজোর আগেও কি সামান্যটুকু বরাত মিলবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে জিতেন কর্মকার, শুভ কর্মকার ও রাজেশ কর্মকারের মত একাধিক শিল্পীর মনে।

শিল্পীরা জানান, বছরের এই সময়টাই একাধিক বড় বড় দুর্গামন্ডপ, দেবী প্রতিমা, রকমারী গহনা-সহ অন্য ডোকরা সামগ্রির বরাত থাকে। কিন্তু এবছর সামান্যটুকুও বরাত নেই। অথচ বছরের এই সময়টায় কাজ করে যে উপার্জন হয়, তা দিয়েই সারা বছরের সংসার খরচ থেকে অন্য খরচ চলে। তাই এবছর বরাত না মেলায় কীভাবে সংসার চলবে, সেই চিন্তাই তাঁদের গ্রাস করেছে। করোনার জন্য শেষ কয়েক বছরে ডোকরা শিল্প আর্থিকভাবে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত। তার উপর পুজোর সময় বরাত না মেলায় শিল্প ও শিল্পীরা আজ বিপন্ন।

ইতিহাসবিদের মতে ডোকরার ইতিহাস বহু প্রাচীন। মহেঞ্জোদড়োতে প্রাপ্ত নৃত্যরত নারী মূর্তি ডোকরা শিল্পেরই নির্দশন বলে মনে করা হয়। এছাড়া বিশিষ্ট সমাজতত্ত্ববিদ বিনয় ঘোষের "বাংলার ডোকরা শিল্প ও শিল্পী জীবন" নামে একটি লেখা থেকে জানা যায়, প্রাক্ আর্য সময় থেকেই ডোকরা শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। অগ্নিপুরাণ, মৎস্যপুরাণ থেকে শুরু করে রায়গুনাকর ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গলেও হদিশ মেলে ডোকরা শিল্পীদের। ডোকরা শিল্পের কদর এখন সমগ্র বিশ্বে।


Follow us on :