Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্তঃ টানাপোড়েনের পরে এই মুহূর্তে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলাগুলির (Education Scam) প্রাথমিকের একটি মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিচারপতি (Judge) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly)। তাঁর হাত থেকে এই বিশেষ অংশটি নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওআই চন্দ্রচূড়। মামলা হয়েছিল এই প্রকার যে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর এজলাসে থাকা মামলার বিষয় মুখ খুলেছিলেন একটি বেসরকারি চ্যানেলে। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে এবং কৌঁসুলি ছিলেন অভিষেক মনু সিংভি।
সমস্ত তথ্য জানার পর বিচারপতি চন্দ্রচূড় আদেশ দিয়েছিলেন যে, শিক্ষা সংক্রান্ত প্রাথমিক একটি মামলার শুনানি আর করতে পারবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং বাকি দায়িত্ব ন্যস্ত করবেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই মোতাবেক গত ২৮ এপ্রিল রাতে কোর্ট থেকে বেরোনোর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিচারপতি। তিনি জানান, এই মামলা ৬ মাসে হবে নাকি ৬০ বছর লাগবে তা তাঁর জানা নেই। তিনি আরও বলেন, তাঁর লড়াই জারি থাকবে ইত্যাদি।
এবারে সম্পূর্ণ বিষয়ের বাকি অংশের কী হবে বা কার এজলাসে যাবে তা তো ঠিক করবেন বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। শনিবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন যে , যিনিই দায়িত্বে আসুন, তাঁরা চান দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হোক, দু তিন মাসের মধ্যে হোক। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে যে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিস্পত্তি হোক এবং অপরাধ করলে শাস্তি বিধান হোক।
অন্যদিকে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সরে যাওয়াতে কোথাও ব্যথিত হয়েছে বিরোধী নেতারা। অবশ্য এই বিচারালয়ের বিরুদ্ধে মুখ না খুললেও, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বক্তব্য রেখেছেন প্রায় সব দলই। এবারে দেখা বিষয় এই সংক্রান্ত মামলার দায়িত্ব কে পান।