Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: নরেন্দ্র মোদী লোকসভা চলাকালীন আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে দাঁড়ায় এই যে, এপ্রিলের আগে ভোট হবে না, কিন্তু ইতিমধ্যেই দেশের ৫৬টি রাজ্যসভার আসন খালি হচ্ছে, কাজেই তা ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণ করতে হবে। আগামী ২৭ মার্চ দেশের এই কটি আসনে ভোট যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৫টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে।
রাজ্যসভার ভোট দেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র বিধায়কদের আছে। এই মুহূর্তে বাংলার বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রবল শাক্তিশালী এবং তাদের দলে ২২৫ জন বিধায়ক রয়েছে (বিজেপি থেকে ভেঙে বেরিয়ে আসা ১২ জন তার মধ্যে আছে)। অন্যদিকে বিজেপির শক্তি ৬৬ জনের মোটামুটি। অতএব তৃণমূল ৪ জন এবং বিজেপি ১ জন সাংসদ বেছে নিতে পারবে। প্রশ্ন হচ্ছে কারা হতে পারেন আগামীর রাজ্যসভার সাংসদ।
গুঞ্জনে বহু নাম ঘোরাফেরা করছে। সম্প্রতি অমিত শাহ দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে বাংলার দায়িত্বে থাকা অন্য নেতাদের সঙ্গেও। সেখানে নাম উঠে এসেছে মূলত দুই ব্যক্তির, মিঠুন চক্রবর্তী এবং অনির্বান গাঙ্গুলির। অবিশ্যি দুটি নাম ঘোরাফেরা করছে মানেই তাদের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। তবু নাম তাদের রয়েছে।
অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী ঠিক করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজগৃহে অনেক্ষণ আলোচনা করেছেন মমতা। যাঁরা সাংসদ ছিলেন যথা শুভাশিস চক্রবর্তী, ড.শান্তনু সেন, নাদিমুল হক এবং আবির বিশ্বাস। এ ছাড়া তৃণমূলের একাংশের ভোটে জিতেছিলেন
কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র তথা আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভী। মমতার অত্যন্ত কাছের কংগ্রেস নেতাকে ফের ফিরিয়ে আনতে পারেন এমন গুঞ্জন বাজারে আছে সে ক্ষেত্রে তৃণমূল তিন জন প্রার্থী দিতে পারবে। অথবা মমতা ৪ জন তৃণমূলকেই পাঠাবেন রাজ্যসভায়। বাদের তালিকা রয়েছে বলে খবর। বাদের খাতায় শান্তনু সেন এবং নাদিমুল রয়েছেন। যদি এমনটি হয় তবে নতুন মুখ কে হতে পারবেন ? উত্তরে জানা যাচ্ছে, এমন কাউকে মমতা পার্লামেন্টে পাঠাতে চাইছেন যিনি দলের ও দেশের হয়ে কথা বলতে পারবেন। আর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চিত্র পরিষ্কার হবে।