০৯ মে, ২০২৪

Accident: 'অসংরক্ষিত মৃত যাত্রীদের কি হবে'? প্রশ্ন রাজ্যের দুই মন্ত্রীর
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-06-04 13:32:44   Share:   

জ্ঞানেশ্বরীর ভয়াবহতাকেও হার মানাল করমণ্ডলের বীভৎসতা! যেদিকে দু-চোখ যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে শুধুই মৃতদেহের সারি। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা ২৭৫। আহত প্রায় হাজার জন। বিভিন্ন রাজ্যের সরকার সহ রেলমন্ত্রকের তরফেও ঘোষণা করা হয়েছে আর্থিক সাহায্য। কিন্তু প্রশ্ন? অসংরক্ষিত মৃত যাত্রীদের সহায়তা কোথায়? এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী

পার্থ ভৌমিক বলেন, মর্মান্তিক। বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও যেন দুঃস্বপ্নের মধ্যে রয়েছি। বাংলা থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছেড়েছিলো। কাজেই জানা দরকার অবশ্যই কোন কোন যাত্রী আহত হলেন বা প্রয়াত হলেন। এখানে বাঙালি, অবাঙালির প্রশ্ন আসছেই না। কিন্তু যা আসছে সমস্ত যাত্রীই হাওড়া থেকেই ট্রেনে উঠেছিলেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই অকুস্থলে গিয়েছিলেন শনিবার। তিনি বরাবরই দায়িত্বশীল। তিনি গিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে উপদেশ দিয়ে এসেছেন। তাঁর এবং আমাদের সকলেরই দায়িত্ব যাঁরা নিহত হলেন বা আহত তাঁদের ঠিকানা বের করা। কিন্তু রেল সংস্থা এখনও পর্যন্ত আমাদের পরিষ্কার তথ্য দিতে পারে নি। একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, যাঁরা অসংরক্ষিত কামরায় ছিলেন এবং মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের নাম ঠিকানা বের করা তো প্রায় অসম্ভব বিষয়। এদের পরিবার সরকারি অর্থ সাহায্য পাবে কি করে আমার মাথায় আসছে না। প্রধানমন্ত্রী তো সমস্ত অর্থনৈতিক লেনদেনে এখন আঁধার কার্ড বা প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক করেছেন, তাহলে ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের টিকিট কাটার সময়ে তা ব্যবহার করা হচ্ছে না কেন? সেটি করলে তো সকলের নাম ঠিকানা বের হয়ে যেত। ভাববেন কি আগামী দিনে?

এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলতে গিয়ে প্রথমেই বলেন,  এখনও পর্যন্ত ভয়ঙ্কর ঘোর আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি নি। আমি রাজ্যের পরিবহন দায়িত্বে আছি। কাজেই গত দু'দিন ধরে অসংখ্য ফোন আসছে, দাদা কি হলো। প্রথমত, আমি মনে করি এটি সম্পূর্ণ রেলের গাফিলতি, তা সেটি সিগন্যালের ত্রুটি হোক কিংবা অন্য কিছু। মেনে নিতেই হবে ভারতবর্ষের সবচাইতে বড় বিপর্যয় ঘটলো এই করমণ্ডলের দুর্ঘটনায়। প্রধানমন্ত্রী যদিও বলেছেন, ত্রুটি যারা করেছে তারা শাস্তি পাবে। কিন্তু উচ্চ পর্যায়ের কতৃপক্ষ কি এর দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে? একদিকে রেল নিয়ে স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে, তখন লাইনের সমস্যা নাকি সিগনালের, মানুষ শুনবে কেন? আমাদের মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন দুর্ঘটনা হওয়ার পর। ঘুরে দেখেছেন। একটি এক্সপার্ট দলকে পাঠানো হয়েছে। বাকি তো দুর্ভাগ্যের।

একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। আজ কেন্দ্রীয় সরকার বা মোদী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে আঁধার কার্ড এবং প্যান কার্ডের লিঙ্ক চালু করেছে। আমার প্রশ্ন অসংরক্ষিত যাত্রীদের কি হবে? আজ যদি জেনারেল টিকিটেও ওই লিঙ্ক চালু থাকতো, তবে ওই অসহায় মানুষ, যাঁরা বেঁচে নেই, তাঁদের পরিবার কি এই অর্থ সাহায্য থেকে বঞ্চিত হতো না। বিভিন্ন রেল দফতরের মাধ্যমে জানতে পারলাম, আমার প্রস্তাবটি নাকি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু রেল বোর্ডকে জানাবে কে? মানে বেড়ালের গলায় ঘন্টি বাঁধার লোক নেই। সুপার এক্সপ্রেস ইত্যাদি চালু হবে শুনছি। রেলের এই হালত থাকলে লাভ কি?


Follow us on :