Share this link via
Or copy link
শিক্ষার নাগাল পেলেও জোটেনি একটা স্কুল বাস। চা বাগানের পড়ুয়ারা স্কুলে যায় মালবাহী কন্টেনার গাড়ি কিংবা ট্রাক্টরে চড়ে। গবাদি পশুর মতো ঠাসাঠাসি করেই পৌঁছতে হয় স্কুলে। উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই খুদেদের স্কুলে বাসের আবেদন পৌঁছবে মাননীয়ার কানে?
মালবাহী গাড়িতে চড়ে চা বাগানের পড়ুয়া যাচ্ছে স্কুলে। অনেক কষ্টে ইউনিফর্ম, স্কুল-বাড়ি, বই-খাতা জুটলেও একটা স্কুল বাস জোগাড় হয়নি হাজার আবেদনের পরেও। অগত্যা তাই খাঁচা গাড়িই ভরসা। ঝড়, জল, রোদ মাথায় নিয়ে খাঁচা গাড়িতে চেপে স্কুলের পথে পাড়ি দেয় শতাধিক পড়ুয়া। এককালে শিক্ষার আলো থেকেও বঞ্চিত ছিল এই খুদেদের অভিভাবকরা। পাইনের সারির ফাঁক দিয়ে এখন তবু শিলিগুড়ির চা বাগানগুলিতে শিক্ষার আলো ঢোকে। সাত সকালে রং চটা ইউনিফর্মটা গায়ে দিয়ে স্কুলের পথে রওনা। কিন্তু সবই কেমন যেন উচ্ছিষ্ট মনে হয়। বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের আতিশয্য দেখে চা বাগানের খুদেদেরও ইচ্ছে হয়, ইস! যদি একটা স্কুল বাস থাকত!
শুধু খুদেদের শখ মেটাতেই নয়, স্কুল বাস জরুরী দুর্ঘটনা এড়াতে। অভিযোগ, বেশিরভাগ দিনই মদ্যপ অবস্থায় থাকেন চালকরা।পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি দ্রুতগতিতে মোড় ঘুরতেই পড়ুয়াদের বুক কাঁপে। কখনও খুব পায়ে ব্যথা করে, কখনও আবার স্কুল ফিরতি ক্লান্ত পড়ুয়া একটু গা এলিয়ে দিতে চায় গদি দেওয়া নরম সিটে। কিন্তু এত সুখ তো আর তাদের জন্য নয়। এই কথাটাই বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয় শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়ার চা বাগানের পড়ুয়াদের। এইখানেও বোধহয় ফারাকটা স্পষ্ট। পাহাড়ের সঙ্গে নাকি রক্তের সম্পর্ক রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পাহাড়ি বাচ্চাদের একটা ছোট্ট শখ কি মেটাবেন তিনি? রইল আবেদন।