Share this link via
Or copy link
আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। এবার তৃণমূল জেলা সভানেত্রীর ওপর হামলার অভিযোগ এলাকারই কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ (Raiganj) পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডের। জেলা সভানেত্রী তথা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর চৈতালি ঘোষ সাহাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযোগ, জেলা সভানেত্রী চৈতালি ঘোষ সাহার বাড়ির সামনে ইচ্ছাকৃতভাবে গন্ডগোল করার চেষ্টা করেন কয়েকজন যুবক। থামাতে গেলে জেলা সভানেত্রীর উপর চড়াও হন তৃণমূল কর্মী প্রসেনজিৎ সাহা ও তাঁর দলবল। গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। মারধরের পাশাপাশি জেলা সভানেত্রীর বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন ওই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। প্রসেনজিৎ সাহা বলেন, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য চৈতালি দেবী মিথ্যে গল্প বানাচ্ছেন।
ঘটনা সামনে আসতেই বিড়ম্বনায় শাসকশিবির। নিন্দার ভাষা নেই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে দলের অন্দরেই সমালোচনায় ঝড় ওঠে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, সর্বোচ্চ ক্ষমতায় কে বসবে তারই লড়াই চলছে তৃণমূলের অন্দরের মধ্যে। পঞ্চায়েতের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। ক্রমশই দলের মধ্যে বাড়ছে দ্বন্দ্ব, মতবিরোধ। তার ফলেই কী এই আক্রোশ? কীভাবে সামাল দেবে শীর্ষ নেতৃত্ব? উঠছে প্রশ্ন।