১৪ মে, ২০২৪

Anubrata: কোলের কেষ্টকে কি ছেঁটে ফেলল তৃণমূল! বীরভূমের জেলা সভাপতি পদ নিয়ে জল্পনা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-11-13 19:31:13   Share:   

মণি ভট্টাচার্য: ১১ অগাস্ট, ২০২২, গরু পাচার মামলায় বীরভূমে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মন্ডল। সময় যত এগিয়েছে ততই বিপাকে পড়েছেন কেষ্ট। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছে একমাত্র মেয়ে, বাজেয়াপ্ত হয়েছে সিংহভাগ সম্পত্তি। তবুও কোথাও যেন অনুব্রতর পাশে ছিল তাঁর দল তৃণমূল। যে দলের জন্য প্রাণ নিয়োজিত ছিল কেষ্টর। অনুব্রতহীন বীরভূমে অনেক ঝড় ঝাপ্টা সামলেছে তৃণমূল। তবুও জেলে থেকেও তিনিই ছিলেন জেলা সভাপতি। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী পার্থ, তৃণমূল নেতা শান্তনু, কুন্তল। একের পর এক ডানা ছেঁটে ফেলা হয়েছে সবারই। তবুও গ্রেফতারির পরেও কখনও জেলা সভাপতি পদ থেকে নাম বাদ যায়নি অনুব্রতর। কিন্তু ব্যাঘাত ঘটল আজ অর্থাৎ সোমবার। সোমবার তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদের রদবদল ঘটেছে। আর সেখানেই বীরভূমের জেলা সভাপতির জায়গায় নাম নেই অনুব্রতর। বরং ওই জেলা সভাপতি পদ শুন্য রেখে সেখানে লেখা হয়েছে, 'কোর কমিটি টু কমিটি।' অর্থাৎ মমতার গড়ে দেওয়া কোর কমিটিই দেখভাল করবে বীরভূমের। এখানেই জল্পনার শুরু।

সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেষ্টহীন অশান্ত বীরভূমে শান্তি ফেরাতে সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলানোর জন্য কোর কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইঙ্গিতপূর্ণ ঘটনা হল ওই ৭ জনের কোর কমিটিকে সম্পসারণ করে ৯ জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে স্থান দেওয়া হয় কেষ্ট বিরোধী ২ জনকে। যেমন পূর্বে কোর কমিটিতে ছিলেন, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ এবং রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা ওই কোর কমিটিতে সাংসদ শতাব্দী রায়, কাজল শেখ এবং বোলপুর লোকসভার সাংসদ অসিত মালকে জায়গা দেওয়া হয়। এবার বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে অনুব্রতর নাম জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে ওই কোর কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি যে নামটা বারবার ফুটে উঠছে সেটা হল কাজল শেখ। যাকে বরাবর অনুব্রত বিরোধী নামেই চিনেছে বীরভূম। বর্তমানে যিনি অনুব্রতহীন বীরভূমের জেলা সভাধিপতি হিসেবে নয়া দায়িত্ব পেয়েছেন। যদিও পালা বদলের পরে এই দায়িত্বে ছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিকাশরায় চৌধুরী।

এ অবস্থায় বীরভূমের জেলা সভাপতি পদ অর্থাৎ অনুব্রতর পদে এখনই কাউকে না বসিয়ে কি প্রমান করতে চাইল তৃণমূল। কোথাও কি অনুব্রতকে বোঝাতে চাইল যে দল এখনও পাশে আছে? নাকি তৃণমূল প্রমান করতে চাইল লোকসভা ভোটের আগে দুর্নীতি মুক্ত দল গড়তে চায় তৃণমূল। 


Follow us on :