Share this link via
Or copy link
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে একদিকে যখন সরকারি বেসরকারিভাবে বৃক্ষ রোপন (tree planting), সংরক্ষণ-সহ নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে, তখন উল্টোদিকে ব্যতিক্রমী এক চিত্র রায়গঞ্জে (Raiganj)। তাও আবার খোদ জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে।
রায়গঞ্জের কর্নজোড়ায় অবস্থিত জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে সর্বশিক্ষা মিশনের কার্যালয়ের একেবারে সামনে। বনবিভাগের অনুমতি ছাড়াই সেখানে বিশালাকার প্রাচীন একটি অশ্বত্থ গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গাছটির বেশিরভাগ অংশই কেটে ফেলা হয়। সাধারনত সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও বড় আকারের গাছ কাটার হলে অবশ্যই বনবিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলেই অভিযোগ। গাছ কাটার খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। গাছ কাটার কাজে যুক্ত সিদ্দিক সরকার নামের এক শ্রমিক বলেন, "অনুপম স্যার অর্থাৎ সর্বশিক্ষা মিশনের আধিকারিক অনুপম দাসের নির্দেশেই গাছের ডাল ছাটাই করা হচ্ছে।"
কিন্তু যে চিত্র উঠে এসেছে তাতে শুধু ডাল ছাটাই নয়। গাছটির ছোট বড় সমস্ত সবুজ ডালপালা শাখা প্রশাখা কেটে একেবারে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাইলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে রায়গঞ্জ বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ কুমার চৌধুরী বলেন, 'বিষয়টি তিনি জানতেন না। সংবাদমাধ্যমের কাছে জানার পর এখন ব্যবস্থা নেবেন।'
তবে যাই হোক, একটি জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বর, যেখানে জেলার একাধিক শীর্ষকর্তার কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এমন একটি ঘটনা কী করে সকলের নজর এড়িয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।