১০ মে, ২০২৪

Wood: বনভক্ষক থেকে বনরক্ষক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার কাঠ মাফিয়াদের, তাজ্জব আলিপুরবাসী
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-05-13 09:12:00   Share:   

বন দফতরের (Forest Division) সচেতনতায় সাড়া দিয়ে এবার বন রক্ষায় (Forest Protection) এগিয়ে এল কাঠ মাফিয়ারা (Wood Smuggler)। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম ব্লক ও সংলগ্ন কোচবিহার জেলার ঘটনা। এ যেন অনেকটা রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হয়ে ওঠার গল্প। বন দফতরের সচেতনতার ডাকে সাড়া দিয়ে, এক সময়ের দুর্ধর্ষ কাঠ মাফিয়ারাও কাঠ পাচার ছেড়ে বন রক্ষার কাজে সামিল হলেন। বন দফতরের রেঞ্জ অফিসে এসে তা রীতিমতো অঙ্গীকার করে গেলেন কাঠ মাফিয়ারা। তাঁদের মুখে এখন শুধু একটাই কথা, 'আগে যা করেছি ভুল করেছি,  আর কোনও দিন বন ধংস করবো না।' উল্টে তাঁরা প্রতিজ্ঞাও করেছেন, 'বন রক্ষাই এখন থেকে হবে তাঁদের প্রধান কাজ।'

বন দফতর সূত্রে খবর, এই কাঠ মাফিয়াদের মধ্যে অনেকেই এক সময় কাঠ পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরাও পরেছেন বন দফতরের কাছে। এমনকি তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে এখনও মামলা চলছে, অনেকে আবার জামিনে মুক্ত। আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লক সংলগ্ন কোচবিহার জেলার বেশ কয়েকজন কাঠ পাচারকারীকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভল্কা রেঞ্জে ডেকে পাঠান সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার প্রভাত কুমার বর্মন। 

  রেঞ্জ অফিসার প্রভাত কুমার বর্মনের দফতরে দীর্ঘক্ষণ চলে এই বন্য সচেতনতার পাঠ। সেখান থেকেই বাইরে বেরিয়ে বনভক্ষক থেকে বনরক্ষক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, জঙ্গলের কাঠ অবৈধভাবে পাচার করা বাদ দিয়ে সৎ পথেই চলবেন তাঁরা। পাশাপাশি বনাঞ্চল রক্ষায় বন দফতরকে সহয়োগিতার হাতও বাড়িয়ে দেবেন প্রতিনিয়ত। এমনকি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কাঠ পাচার সম্পর্কিত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পেয়েছে বন দফতর, এমনটাই জানিয়েছেন ভলকা রেঞ্জ অফিসার প্রভাত বর্মন।


Follow us on :