Share this link via
Or copy link
স্বামী জীবিত অথচ মিলেছে বিধবা ভাতা (Widow Allowance)। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বৈদ্যপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা। জানা গিয়েছে, বৈদ্যপুর গ্রামের বাসিন্দা মানিক পাল জীবিত থাকা সত্ত্বেও, তাঁর স্ত্রী মিলনরানী পাল বিধবা ভাতা প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
বিধবা ভাতা পাওয়া নিয়ে মিলনরানী পাল জানান, 'আমরা পঞ্চায়েতে বার্ধক্য ভাতার জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কী করে সেটা বিধবা ভাতা হয়ে গেল, বলতে পারব না।' তিনি আরও বলেন, 'আমার স্বামী রয়েছেন। এর আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতাম। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।'
এই প্রসঙ্গে বৈদ্যপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান কৃষ্ণ রায় জানান, দুয়ারে সরকার প্রকল্পে অনেকেই বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। তাই সেখানে ভুলবশত বার্ধক্য ভাতার পরিবর্তে বিধবা ভাতা হয়ে গিয়েছে। এখানে পঞ্চায়েত বা আবেদনকারীর কোনও ভুল নেই।
রানাঘাট দু’নম্বর ব্লকের বিডিও খোকন বর্মন বলেন, 'আমার কাছে এখনো লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম বিষয়টি ঘটেছে। মিলনরানী পালকে আমরা শীঘ্রই নোটিস পাঠিয়েছি। সাত দিনের মধ্যে তাঁকে তলব করা হচ্ছে। যদি এই কাজটি তিন করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি ওই মহিলার একাউন্টে যে টাকা ঢুকেছে, সেটা নিয়মমাফিক ফেরত নিয়ে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'