Share this link via
Or copy link
সম্পত্তি দখলের কারণে বাড়ির মালিককে খুন (Death) করার অভিযোগ উঠলো ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর (Baruipur) থানা এলাকার সুকান্তপল্লী এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিস (POlice)। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে ভাড়াটিয়া প্রকাশ ঘোষ ও তার ছেলে সুদীপ ঘোষকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস৷ শুক্রবার ৫ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতদের বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। এমনকি ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০৬, ৫০৬ ও ১২০বি ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম সোমনাথ চক্রবর্তী। তিনি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা। সোমনাথ চক্রবর্তী ও তাঁর বোন মীনাক্ষী চক্রবর্তী একই বাড়িতে থাকতেন। দু'জনেই অবিবাহিত। অভিযোগ, তাঁরা দুজনে মিলে তাঁদের বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন প্রকাশ ঘোষ নামের এক ব্যক্তিকে৷ প্রকাশ ঘোষ তার স্ত্রী, পুত্র ও পুত্রবধূকে নিয়ে ওই বাড়িতেই ভাড়ায় থাকতেন। তবে ওই ব্যক্তি বাড়িটা দখল করার জন্য তাঁদের উপর অত্যাচার করত, এমনটাই অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বোন মীনাক্ষী চক্রবর্তী দুপুরের দিকে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন৷ তবে তাঁর কিছু কাজ থাকার ফলে বাড়ি ফিরতে রাত হয়৷ তবে রাতে বাড়ি ফিরে তিনি তাঁর দাদা সোমনাথ চক্রবর্তীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান৷ তিনি চিৎকার করে উঠতে প্রতিবেশীরা তাঁর বাড়িতে জড়ো হন৷ স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার পর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বোন মীনাক্ষী দেবীও৷ পরে স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে৷ তারপরেই খবর দেওয়া হয় থানায়। আর এই ঘটনার পরেই থানায় ভাড়াটিয়াদের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বোন মীনাক্ষী চক্রবর্তী।
যদিও এই বিষয়ে ধৃত প্রকাশ ঘোষের স্ত্রী রুবি ঘোষ জানান, এই ঘটনার সাথে তাদের কোনও সংযোগ নেই৷ তাদের ফাঁসানো হচ্ছে৷ তিনি পাল্টা দাবি করেন, বিভিন্ন কারণে ভাই-বোনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত৷ এছাড়া তিনি দাবি করেন, যে জায়গায় তাঁরা এখন থাকছেন তা তাঁরা কিনে নিয়েছেন, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।