০৯ মে, ২০২৪

Arambagh: ছেলেকে চোর সন্দেহ, মাকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক ‘মার’, ক্ষিপ্ত খানাকুল
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2024-02-24 13:24:14   Share:   

সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য়। তার মাঝেই এবার চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আরামবাগের একটি ঘটনায়। সন্দেশখালির মহিলাদের উপর নির্যাতনের মধ্য়েই পুলিসি নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আরামবাগের খানাকুলে। অভিযোগ, মিথ্যা চোর অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অমানবিক অত্যাচারের অভিযোগ স্থানীয় পুলিস ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে। ফলে শনিবার সকাল থেকেই উত্তাল হয়ে রয়েছে আরামবাগের খানাকুলের মালঞ্চ এলাকা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুলের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চ এলাকায় খানাকুল থানার পুলিস ফাঁড়ির পাশেই আছে একটি প্রাইমারি স্কুল। সেখানেই পড়াশোনা করে অত্যাচারিত ওই গৃহবধূর নাবালক ছেলে। অভিযোগ, কয়েকদিন আগে ফাঁড়ির বড়বাবু তুষার মণ্ডলের একটি সোনার ব্রেসলেট হঠাৎ হারিয়ে যায়। আর সেই ঘটনায় ওই পুলিস আধিকারিক নির্যাতিতা গৃহবধূর শিশু শ্রেণিতে পড়া ছেলেকে সন্দেহ করেন। 

এরপর সেই ব্রেসলেট ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ওই গৃহবধূকে জোর করা শুরু করেন ফাঁড়ির বড়বাবু তুষার মণ্ডল। ওই গৃহবধূ কোনও গহনা নেয়নি বলে বারংবার জানালেও কোনও কথা শোনেননি ওই পুলিস অফিসার বলে অভিযোগ। তারপর ব্রেসলেট ফেরত পেতে ওই গৃহবধূকে টেনে হিঁচড়ে বুধবার তিনটে নাগাদ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ২ টো নাগাদ অর্ধমৃত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে বাড়িতে দিয়ে যায় অভিযুক্ত তুষার মণ্ডল নামের ওই আধিকারিক বলে অভিযোগ। এমনকি ওই নির্যাতিতার চোখে লঙ্কার গুঁড়ো দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এত নিষ্ঠুরভাবে অত্য়াচার করা হয়েছে যে চিকিৎসা করানোর জন্য ওই নির্যাতিতাকে ১ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। 

নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ওই পুলিস আধিকারিক অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছেন। অকথ্য় ভাষায় কথা বলা থেকে মারধর করা। নির্যাতিতা আরও জানান, 'কিছুই জানি না যে কে ওনার ব্রেসলেট কুড়িয়ে পেয়েছে। বারংবার বলা সত্ত্বেও তিনি আমাকে নিস্তার দেননি। প্রচুর মারধর করেছেন। এরপর আর কিছু জানি না, আমার কোনও জ্ঞান ছিল না। জ্ঞান ফিরেই দেখি আমি নার্সিংহোমে।' 

ইতিমধ্যেই অত্যাচারিত ওই গৃহবধূর মা খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ওই পুলিস অফিসারকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। পরিবার পরিজনের অভিযোগ, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে একজন পুরুষ পুলিস কর্মী কীভাবে একজন মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করতে পারে? তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। তবে পুলিসের এই নির্মম অত্যাচারে আতঙ্কিত এবং ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা গ্রাম। 


Follow us on :