Share this link via
Or copy link
সন্দেশখালির কুখ্যাত বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগসূত্র ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইডি হামলার পর থেকে শাহজাহানের নামে উঠে এসেছে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ। আর্থিক তছরুপ থেকে দাদাগিরি। গান পয়েন্টে রেখে গ্রামের মহিলাদের সম্মানহানি থেকে মাছের ভেড়িও দখল গান পয়েন্টে রেখে। এবার শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসা, যা শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য!
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী অবশ্য এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকেই একহাত নিলেন। জানালেন পশ্চিমবঙ্গ অবৈধ কারবারের জায়গা। শুনে কী হবে আমাদের? কুছ করকে দিখাও ইডি ভাই!
ইডি সূত্রে খবর আফগানিস্তান থেকে, পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচি হয়ে তারপর মধ্য প্রাচ্য দুবাই হয়ে মাদক এসে পৌঁছত ভারতের পশ্চিম প্রান্ত গুজরাটে। সেখান থেকে সেই মাদক এসে পৌঁছত কলকাতা বন্দরে। এখানেই শেষ নয়, ২০২২ সালে আটক হয় প্রায় ৪০কেজি হেরোইন। নাম জড়ায় শাহজাহানের ডান হাত যিনি তাঁর মাদক ডিভিশনের দায়িত্বে ছিলেন সেই শরিফুল মোল্লার। শাহজাহান ও শিবু হাজরার ভেড়ির যৌথ দায়িত্বও পালন করতেন এই শরিফুল মোল্লাই। ঘটনায় গ্রেফতার হয় শরিফুলের ভাইও। এই অভিযোগকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, মাদক ধরা পড়ার পর থেকে শরিফুলের আজও কোনও হদিশ নেই।
বিরোধীদের অভিযোগ, মাদক ধরা পড়ার পর, শেখ শাহজাহানকে দেখা যায় রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর বাড়িতে। এক নয়, একাধিকবার আর তাই এবার শাহজাহান, শরিফুল ছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্তাহ ইডির নজরে ওই প্রভাবশালী মন্ত্রীও। আর সন্দেশখালির বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা শাহজাহানের এই মাদক ব্যবসা থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর নাম জড়ানো, সব মিলিয়ে সরগরম বঙ্গের রাজনৈতিক মহল।