Share this link via
Or copy link
পাঁচ বছরের প্রেমের পরিণতি মৃত্যু! বাড়ি থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার (Recovery) ঘিরে চাঞ্চল্য। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হরিণঘাটা (Nadia) থানার অন্তর্গত মোল্লা বেলিয়া গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে হরিণঘাটা থানার পুলিস (Haringhata Police) ঘটনাস্থলে পৌছঁয়। দেহটি উদ্ধার করে পুলিস হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে পাঠানো হল কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম রূপালি দাস (২৩)।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই রূপালির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই যুবকের নাম বাপি দাস, হরিণঘাটা এলাকারই বাসিন্দা। সম্প্রতি ওই যুবকের অন্য এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। আর সেই খবর রূপালি জানতে পেরেই বাপিকে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠান। ওই যুবক দেখা করতেও আসেন। কিন্তু দু'জনের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। এমনকি রূপালির থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেন ওই যুবক বলে অভিযোগ।
মৃতের পরিবারের দাবি, ওই মোবাইলে ফোনেই বাপি ও রূপালির সম্পর্কের অনেক প্রমাণ ছিল। আর সেই প্রমাণ লোপাট করার উদ্দেশ্যেই বাপি রূপালির ফোনটি কেড়ে নেন। আর এই কারণেই রূপালি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে রূপালির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে রূপালির মা ও বাবা জরুরী কাজে হরিণঘাটা মোল্লাবালিয়া পঞ্চায়েতে যান। সেই ফাঁকেই রূপালি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। কাজ সেরে এদিন সন্ধ্যের সময় রূপালির বাবা-মা বাড়ি ফিরে এসে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তারপরেই খবর দেওয়া হয় হরিণঘাটা থানায়। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত ওই যুবকেক কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি দেওয়া হোক প্রশাসনের তরফে।