২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Buddhadeb Murmu: সাংবাদিক দেখেই দৌড়ে ট্রেনে উঠে পড়লেন বোলপুর হাসপাতালের সেই সুপার
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-08-22 13:59:21   Share:   

অনুব্রতর চিকিত্সা বিতর্কের পর সোমবার এই প্রথম বোলপুর স্টেশনে (Bolpur station) সাংবাদিকদের নজরে বুদ্ধদেব মুর্মু (Buddhadeb Murmu)। ঘটনার পর বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপার (super) বুদ্ধদেব মুর্মু ধরা পড়লেন ক্যামেরায়। তবে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্ন একপ্রকার এড়িয়ে গেলেন তিনি। কোনওক্রমে পালিয়ে ট্রেনে উঠলেন বুদ্ধদেব মুর্মু।

হাওড়া-আজিমগঞ্জ গণদেবতা এক্সপ্রেস থেকে বোলপুর স্টেশনে নামেন তিনি। কিন্তু নামা মাত্র অনুব্রতর বাড়িতে সরকারি চিকিত্সক পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। কার্যত উল্টোদিকে দৌড়ে ফের ট্রেনে উঠে পড়েন বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একটা কথাই বলেন, এখানে দাঁড়িয়ে কিছু বলা যাবে না। এখানে কোনও কমেন্ট করা যায় নাকি?

প্রসঙ্গত, অনুব্রতর চিকিৎসা বিতর্কে নাম জড়িয়েছে তাঁর, কেন সরকারি চিকিত্সককে নেতার বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ? কেনই বা সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন? এ নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। তবে এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নবাণ এড়িয়ে কার্যত ফের চলন্ত ট্রেনে তিনি উঠে পড়েন। 

উল্লেখ্য, গ্রেফতারির ঠিক একদিন আগেই এসএসকেএম হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড অনুব্রতকে ভর্তি রাখার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেয়। এরকপর বোলপুরের বাড়িতে ফিরে যান অনুব্রত। পরের দিন মঙ্গলবার হঠাৎই বোলপুরের বাড়িতে বোলপুর হাসপাতালের একটি মেডিক্যাল টিম গিয়ে পৌঁছয়। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী তাঁকে দেখে জানান, পাইলসের সমস্যা বেড়েছে অনুব্রতর। কিন্তু হাসপাতালের চিকিত্সক বাড়িতে কেন, এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। চন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, তাঁকে হাসপাতাল সুপার অর্থাৎ বুদ্ধদেব মুর্মু যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, সেসময় সুপার নিজেই ছুটিতে ছিলেন। ডেপুটি সুপার তাই জানিয়েছিলেন। তাহলে ছুটিতে থাকাকালীন কীভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন? তা নিয়ে শুরু হয় নতুন বিতর্ক।

এরপরই এদিন ফের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেন বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু।

 


Follow us on :