Share this link via
Or copy link
দত্তপুকুরে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে সাসপেন্ড করা হল নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিমাদ্রি ডোগরাকে। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ সোমবার বিকেলে দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে সাসপেন্ড করে রাজ্য পুলিস প্রশাসন। রবিবার বিস্ফোরণ কাণ্ডে স্বাভাবিক ভাবেই পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ওই অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়।
ওদিকে ঘটনার রাতেই নীলগঞ্জের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূলচক্রীর সহকারী সফিকুল আলীকে। পাশাপাশি দত্তপুকুর কাণ্ডের রাতেই কলকাতার সিপিও ও রাজ্য পুলিসের ডিজিকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ঘটনাস্থলে তদন্ত চালায় সিআইডি দল। ওদিকে এ ঘটনার পর নমুনা সংগ্রহে ঘটনাস্থলে যান এনআইএর একটি দল।
রবিবার এ ঘটনার পরেই দত্তপুকুর আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, 'এটি বড় ঘটনা, পুলিস এর ব্যাবস্থা নেবে।' পাশাপাশি সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে আসেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। এদিন ঘটনাস্থলে এসে তিনি বলেন, 'বাজি কারখানা থেকেই এই দুর্ঘটনা। বোমার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।' কিন্তু এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে পুলিসের বিরুদ্ধে। রবিবার স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দত্তপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সবটাই জানেন। এমনকি পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তাঁরা, যে পুলিস পয়সার বিনিময়ে এই কারখানা চালানোর অনুমতি দিত। এখন প্রশ্ন উঠছে কোনও আউটপোস্ট অর্থাৎ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাসপেন্ড হলে দত্তপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কি নির্দোষ?