Share this link via
Or copy link
তৃণমূল নেতাকে আটক করায় থানায় গিয়ে 'দাদাগিরি'র অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত মগরাহাট (পশ্চিম)-এর বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে থানার বাইরে বসিয়ে ক্ষমা চাওয়ালেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে। এসডিপিও-র সঙ্গে গিয়াসউদ্দিন মোল্লার তীব্র বকাবিতণ্ডার এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যে ভিডিও ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা। ভাইরাল এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল। এই ঘটনায় শোরগোল পড়তেই এক সংবাদ মাধ্যমকে সেই তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, 'তিনি এ বিষয়ে যা বলার দলীয় নেতৃত্বকে বলবেন।'
ঠিক কোন ঘটনা ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। জানা গিয়েছে, রবিবার উস্থি থানার ভোলেরহাটে এক বৃদ্ধাকে খুন করে তাঁর ছেলে। আর এই খুনের ঘটনায় জয়ন্ত চৌধুরী নামে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যর অভিযোগ ওঠে। পুলিস তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এই খবর চাউর হতেই দলবল নিয়ে থানায় সটান হাজির হন মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। থানায় গিয়ে পুলিসকর্মীদেরকে হুমকি ও শাসাতে থাকেন বিধায়ক বলে অভিযোগ। এমনকি থানার বাইরে বসে এসডিপিও-র সঙ্গেও বচসায় জড়ান বিধায়ক। যদিও থানায় এসে পুলিসের উদ্দেশে কটূক্তি, ধমক এবং 'দু পয়সার চাকর' বলে বিধায়কের কটাক্ষকে তীব্র সমালোচনার সুরে বিঁধেছেন এসডিপিও।
অভিযোগ, বিধায়ক নাকি থানা ভাঙচুরের হুমকি দিয়েছেন। থানার সিঁড়িতে বসে থাকা তৃণমূল বিধায়ককে মোটেই রেয়াত করেনি এসডিপিও। তৃণমূল বিধায়ক থানায় এসে পুলিশকর্মীদের শাসানোর ঘটনায় তাঁকে ক্ষমাও চাওয়ান এসডিপিও।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল যুব সভাপতি ইমরান হাসান জানান,'আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার বলেছেন পুলিস-প্রশাসন ও সরকারি আধিকারিকের উপরে দলের কোনও কর্মী কোনও কর্তৃত্ব ফলাবে না। দলের পক্ষ থেকে পুলিস মহলের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। একটি নিন্দনীয় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন বিধায়ক। আমাদের দল এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না।'
বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদ্যুত বৈদ্য জানান,'তৃণমূল নেতার এই আচরণ নতুন কিছু নয়। কারণ সারা পশ্চিমবঙ্গ দেখেছে, পুলিস তৃণমূল বিধায়কদের দলদাস হয়ে গিয়েছিল। এখন পুলিস সক্রিয় হয়েছে, এটাই ওদের মাথাব্যাথার কারণ। পুলিসের এই উদ্যোগের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান,'তৃণমূলের ওই বিধায়ক ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও-সহ পুলিসকর্মীদের হুমকি ও গালিগালাজ করেছেন। মার্ডার কেসের আসামী তাকে গ্রেফতার করেছে সেই কারণে তৃণমূলের বিধায়ক ক্ষুব্ধ হয়েছেন। পুলিসকে দু-টাকার চাকরবাকর বলেছেন। ঠিকই করেছেন তো, এটাই তো পুলিসের প্রাপ্য।'