Share this link via
Or copy link
শুক্রবার রাতে তুমুল উত্তেজনা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) আনন্দচন্দ্র কমার্স কলেজে। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় রাতের অন্ধকারে কলেজে ঢুকেছিলেন অধ্যক্ষ (principal)। এই অভিযোগ তুলেই তাঁকে কলেজের ভিতর আটকে রাখেন কলেজের শিক্ষাকর্মী থেকে অধ্যাপকদের একটা অংশ ও কলেজের বর্তমান ছাত্র এবং প্রাক্তনীরা। তাঁদের অভিযোগ, কোনও অসৎ উদ্দেশ্যই মদ্যপ (drunk) অবস্থায় রাতের অন্ধকারে কলেজে ঢুকেছিলেন। অভিযুক্ত অধ্যক্ষের নাম ডাঃ সিদ্ধার্থ সরকার।
জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। সেই সময় কলেজের হেডক্লার্ক রাজীব চৌধুরী দেখতে পান অধ্যক্ষ কলেজের ভিতর রয়েছেন। খবর পেয়ে কলেজের কয়েকজন অধ্যাপক এবং শিক্ষাকর্মীরা ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় কলেজের বর্তমান ছাত্র এবং প্রাক্তনীরাও। রাতের অন্ধকারে কেন অধ্যক্ষ কলেজে এসেছেন? সেই প্রশ্ন তুলে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন। কলেজের গেটে তালা মেরে ভিতরেই আটকে রাখা হয় সিদ্ধার্থ সরকারকে।
প্রসঙ্গত, এই কলেজে বেশ কিছুদিন ধরেই একটা অরাজকতা চলছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কলেজের অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীদের একটা বড় অংশে টানাপোড়েন চলছে। অধ্যেক্ষের অপসারণের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন থেকে শুরু করে লিখিত আবেদন গিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতরেও। অনেক বর্তমান ছাত্র এবং প্রাক্তনীরাও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অন্যদিকে, অধ্যক্ষও পালটা অভিযোগ তুলেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কলেজ চত্বরে একটি স্থানীয় ক্লাবের কালীপূজো করা নিয়েও সমস্যা দেখা দেয়। পরপর এসব ঘটনার জেরে ঐতিহ্যবাহী এই কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল। যা নিয়ে একটা চাপা উত্তেজনা চলছিলই শহরজুড়ে। তারই মধ্যেই শুক্রবার রাতে অধ্যক্ষের কলেজে আসার ঘটনা সেই চাপা উত্তেজনাকে উসকে দিয়েছে।
কলেজের একাংশ শিক্ষাকর্মী, অধ্যাপক, ছাত্র এবং প্রাক্তনীরা অভিযোগ তোলেন, বহিরাগতদের নিয়ে এসে কলেজে মদের আসর বসিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। আরও অভিযোগ, কোন অসৎ উদ্দেশ্যই এত রাতে কলেজে এসেছিলেন তিনি। যদিও অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, কলেজের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতেই তিনি এসেছিলেন। পাশাপাশি, মদ্যপ থাকা বা কলেজে মদের আসর বসানোর অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ।
এদিকে, উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ঘটনাস্থলে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিস। অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরাও থানায় যান। কলেজের অধ্যাপক এবং শিক্ষাকর্মীরা গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে থানায়।