১০ মে, ২০২৪

Fire Crackers: লক্ষ্য কুটির শিল্প, 'বাজি হাব' তৈরির উদ্যোগ চৌবেড়িয়ায়, বাধা গ্রামবাসীদের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-09-18 14:28:46   Share:   

লক্ষ্য কুটির শিল্প বৃদ্ধি। অভুক্ত, দরিদ্র মানুষগুলোর মুখে একমুঠো অন্ন জোগানো। সেই কুটির শিল্প কি? 'বাজি হাব'। এর আগে এগরা, দত্তপুকুরের মতো বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। তবে এটা বেআইনি নয়, উত্তর ২৪ পরগনার (North24Parganas) বনগাঁ মহকুমা চৌবেড়িয়া (Chowberia) এলাকায় একটি বাজি হাব তৈরির পরিকল্পনা করেছে খোদ প্রশাসন। চৌবেড়িয়া এলাকায় জেলা পরিষদের অধীনে থাকা ৮ একর জমিতে তৈরি হবে বাজি (Fire Crackers) হাব। সুরক্ষিতভাবে তৈরি হবে পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি। মানুষের আগ্রহের কথা মাথায় রেখেই নাকি এই সিদ্ধান্ত। তবে এলাকার মানুষ ঠিক কী বলছেন, কী চাইছেন.. ঘুরে দেখল সিএন।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাজি কারখানা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই হয়নি প্রশাসনের। পঞ্চায়েত অফিসে বসেই তৈরি হয়েছে বাজি হাব তৈরির ম্যাপ। এমনকি প্রশাসনিক কর্তারা এসেও জমি দেখে গিয়েছে। রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন চৌবেড়িয়া গ্রামের মানুষ। তাঁরা কোনওমতেই চাইছেন না আরেক দত্তপকুর, এগরাকাণ্ড ঘটুক চৌবেড়িয়ার মাটিতে।

যমুনা-পার্বতী নদীর সংযোগস্থল এলাকাতেই বাজি হাব হওয়ার কথা। এলাকার মানুষদের প্রশ্ন, তাহলে বর্জ্য পদার্থ যাবে কোথায়? মৎস্যজীবীদের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। একইসঙ্গে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, প্রয়োজনে জনমত তৈরি করে রোখা হবে বাজি হাব নির্মাণ। যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে গ্রামে সচেতনামূলক অভিযান প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।

প্রায় কয়েক মাসের ব্যবধানে রাজ্যের একাধিক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। রক্তাক্ত হয়েছে  দত্তপুকুর, এগরা, চম্পাহাটি। এই অবস্থায় চৌবেড়িয়ায় সরকারি উদ্যোগে বাজি হাব করা কতটা যথাযথ, প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরাও।


Follow us on :