Share this link via
Or copy link
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য। তারই মাঝে এবারে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে তিন জন বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগ উঠল। ফলে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবিতে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে ২০১৯ সালে খুন হন তিন জন বিজেপি কর্মী। কলকাতা হাইকোর্টে শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সমস্ত শুনানি শোনার পর বিস্মিত বিচারপতির মুখে শোনা যায়, 'এ ভয়ঙ্কর অভিযোগ।'
বুধবার বিচারপতির নির্দেশ, সন্দেশখালি তিনটি খুনের মামলায় নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত। আপাতত পুলিস তদন্ত করতে পারলেও এই মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিচার স্থগিত থাকবে। ২১ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি। সেদিন সব মামলার কেস ডাইরি পেশ করতে হবে। সব পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, পদ্মা মণ্ডল অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালে শ দুয়েক লোক বেশ কিছু বাড়িতে হামলা চালায়। প্রদীপ মণ্ডলকে গুলি করে, চপার নিয়ে আক্রমণ করে। পরে সুকান্ত মণ্ডলকে এক দোকান ঘর থেকে বের করে গুলি করে। অন্য একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নদীর চর থেকে তার দেহাংশ পাওয়া যায়। খুন করা হয় একইভাবে। ন্যাজাট থানা দু'মাস তদন্ত করেও কিছু না করায় পরিবার মামলা করে হাইকোর্টে। দুটি ঘটনাতেই মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয় চার্জশিট থেকে। FIR এ নাম না থাকা অন্য ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিস।
সবকিছু শোনার পর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মন্তব্য করেন, 'খুব গুরুতর অভিযোগ। এই অভিযোগ নিয়ে এখনই নিম্ন আদালতের বিচার স্থগিত করে দিচ্ছি। তদন্ত ঠিক না হলে প্রয়োজনে নতুন করে তদন্ত হবে। এই মামলা এখনও পর্যন্ত যা শুনলাম অন্য যে কোনও এজেন্সির হাতে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ভয়ঙ্কর অভিযোগ।' এখন দেখার সমস্ত দিক বিচার করে অন্য কোনও এজেন্সির হাতে এই তিনটি খুনের মামলার তদন্ত ভার দেন কিনা বিচারপতি।