Share this link via
Or copy link
দশমীর রাতে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মালবাজারের মাল নদীতে (Mal River) হড়পা বানে (Flash Flood) ভেসে যায় বহু মানুষ। এখনও পর্যন্ত ১ শিশু সহ ৮ জনের মৃত্যুর (Death) খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু। রাতভর চলেছে উদ্ধারকার্য। বৃহস্পতিবারও উদ্ধারকাজ চালিয়েছে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এখনও অবধি ৬০ জনেরও বেশী মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে খবর জেলা প্রশাসন সূত্রে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আহত এবং নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে আরও। কারণ এখনও অনেকেই নিখোঁজ বক্তব্য স্থানীয়দের। এদিকে, চলতি বছরে এ নিয়ে তৃতীয় বার হরপা বান এলো মাল নদীতে। কেন আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করল না প্রশাসন উঠছে প্রশ্ন।
মাল নদীর হড়কাবানের ঘটনায় প্রশাসনিক বা পুলিশি ব্যবস্থায় কোনো খামতি ছিল না। সমস্ত ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল বলে সাংবাদিক সন্মেলনে দাবি করলেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। রাজ্য বা কেন্দ্রের তরফে এখনো কোনো ক্ষতিপূরণ ঘোষণা হয়নি। তবে পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়মে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়,তা দেওয়া হবে। অন্যদিকে, স্থানীয়দের দাবির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাল নদীতে শুরু হয় উদ্ধার কাজ৷ যদিও নতুন করে খোঁজ মেলেনি দেহের। প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও প্রস্তুত ছিল না, এমনটাই দাবি সাব ডিভিশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অফিসার পল্লব বিকাশ মজুমদারের।
প্রশাসনের তরফে যে মৃতের তালিকা প্রকাশ করেছেন, তাঁরা হলেন, ৭২ বছরের তপন অধিকারী। ১৩ বছরের উর্মি সাহা। রুমুর সাহা, বয়স ৪২। আংশ পণ্ডিত, বয়স ৮। বছর ২৮-এর বিভা দেবী। শুভাশিস রাহা (৬৩)।স্বর্ণদ্বীপ অধিকারী(২০) এবং সুস্মিত পোদ্দার, বয়স ২২।
এদিকে, সামগ্রিক ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশাসনিক উদাসীনতায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিএন-এর মুখোমুখি হয়ে এক যুবক স্পষ্ট দাবি করেছেন, উদ্ধার কাজে যখন স্থানীয়রা ঝাঁপিয়েছিলেন তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় পুলিসের তরফে। অন্যদিকে, মৃত্যু মুখ থেকে বেঁচে ফেরা এক যুবক হাসপাতালের বেডে শুয়ে ভয়াবহ মূহুর্তের কথা বলতে গিয়ে শিউড়ে ওঠেন। তাঁর কথায়, সে বা অন্যান্যরা ভেসে যাচ্ছিলেন জলের তোড়ে। তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে প্রশাসনের কেউ এগিয়ে আসেনি। তাঁর বন্ধুরাই তাঁকে বাঁচান।