Share this link via
Or copy link
মাথায় ভেঙে পড়ল সিলিং ফ্যান (Ceiling fan)। মুখে দগদগে ক্ষত। গোটা রাত যন্ত্রণায় কাতরেছে আহত ছাত্রী। যতবার মুখের ক্ষতটা চোখে পড়ছে তত যেন আতঙ্ক আরও বাড়ছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছিল কোচবিহার (Cooch Behar) মেখলিগঞ্জের (Mekliganj) উচলপুকুরী কৃষক উদ্যোগ উচ্চ বিদ্যালয় এখন আতঙ্কের অপর নাম। জানা গিয়েছে, বুধবার ক্লাস চলাকালীনই আচমকা সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীর মাথায় (Injured Students)। আহত দুই ছাত্রীর নাম কৃত্তিকা বর্মন ও বর্ণালি রায়।
আহত ছাত্রী বর্ণালি রায় বলে, বিদ্যালয়ের ভঙ্গুর পরিকাঠামো। ক্লাসরুমে দীর্ঘদিন ধরে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ফ্যান গুলো। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। এই দুর্ঘটনা আবারও ঘটতে পারে, যদি পরিচর্যা সঠিকভাবে না হয়। বর্ণালির প্রশ্ন, তার মুখের ক্ষতের দায় নেবে কে?
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ার মতো স্কুল কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। আগে তো লিখিত অভিযোগ পাননি। এখন খারাপ ফ্যানগুলি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় সাফাই দিতেই ব্যস্ত স্কুল ইনচার্জ সুশান্ত কুমার দে।
উল্লেখ্য, ঘটনার পর আহত দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে জামলদাহা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে বর্ণালিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে বাড়িতে রয়েছে বর্ণালি। তবে কৃত্তিকা বর্মন গুরুতর আহত হওয়ায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
কার গাফিলতির মাসুল গুনছে পড়ুয়ারা? একের পর এক দুর্ঘটনা, একের পর এক ক্ষত! আর কবে হুঁশ ফিরবে স্কুল কর্তৃপক্ষের?