০২ মে, ২০২৪

Jalpaiguri: কালাহান্ডির স্মৃতি! অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ৩ হাজার, মৃত মাকে কাঁধে তুলে ৫০ কিমি হাঁটা ছেলের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-01-05 16:58:42   Share:   

ওড়িশার কালাহান্ডির মর্মান্তিক ছবি এবার জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। হাসপাতাল থেকে মায়ের দেহ (body Carry) নিয়ে ৫০ কিমি দূরে বাড়ির পথে হাঁটা লাগান ছেলে। নেপথ্যে অর্থাভাব, ৩ হাজার টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে পারেননি ছেলে। তাই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে সৎকারের জন্য মায়ের দেহ কাঁধে তুলে হাঁটা লাগান ছেলে, সঙ্গী বৃদ্ধ বাবা। যদিও পরে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) দেওয়ান পরিবারকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।

জলপাইগুড়ির ক্রান্তিহাটের নগরডাঙা এলাকার এই ঘটনায় কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতালের দালাল চক্র।  এমনকি, হাসপাতালের বিরুদ্ধেও উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে সাধ্যের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স বা শববাহী গাড়ি পরিষেবা না পেয়ে মায়ের দেহ কাঁধে তুলেই হাটা লাগান ছেলে এবং বাবা। 


মর্মান্তিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে দেওয়ান পরিবার জানায়, ওরা ক্রান্তি পর্যন্ত আসতে ৩ হাজার টাকা চাইছিল। আমরা বলেছিলাম ৯০০ টাকায় নিয়ে এসেছি তোমরা আর ২০০-৩০০ টাকা বেশি নিয়ে পৌঁছে দাও। ওরা রাজি হয়নি। তাই এই ব্যবস্থা, ঘাড়ে করে বাড়ি নিয়ে যাব। আমাদের পয়সা নেই ফ্রি-তে কে নিয়ে যাবে? হাসপাতালেও বলা হয়েছিল, ওদের কোনও ব্যবস্থা নেই। 

এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের এমএসভিপি জানান, 'আমার সঙ্গে দেওয়ান পরিবারের কথা হয়েছে। আমাদের ২৪X৭ বিনামূল্যে রোগী সহায়তার প্রকল্প আছে। মৃতদেহের ক্ষেত্রেও এই প্রকল্প কার্যকর। তিন হাজার চাওয়া হয়েছে যাওয়ার সময়, ওরা ৯০০ টাকায় হাসপাতালে এসেছিল। এটা অমানবিক। আমরা হাসপাতালের সব ধরনের স্টাফকে সতর্ক করেছি। এই ধরনের ঘটনা কানে এলে বা চোখে পড়লেই যাতে হাসপাতাল প্রশাসনকে তাঁরা সতর্ক করে।'

এদিকে অ্যাম্বুলেন্স সংগঠনের এক সদস্য বলেন, 'এই ঘটনা খুবই জঘন্য। এই ঘটনা আমার ৩০ বছরের কর্মজীবনে দেখিনি। অ্যাম্বুলেন্স সংগঠনকে বদনাম করার জন্য এই কাজ করানো হয়েছে।' তাঁর কাঠগড়ায় আবার সেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে মায়ের দেহ বাড়িতে নিয়ে যায় দেওয়ান পরিবার। ওই সদস্য জানান, 'রোগীর পরিবারকে ভুল পথে চালানো হয়েছে। উনি ৩ হাজার টাকার বদলে ১২০০ টাকা বললে আমাদের ছেলেরা রাজি হয়ে যায়। ওদের বলে ঠিক আছে দেহ নিয়ে আসুন, হয়ে যাবে। পরে ওই পরিবার আর যোগাযোগ করেনি।'


Follow us on :