Share this link via
Or copy link
ফের উত্তেজনা শহর দুর্গাপুরে (Durgapur)। বুধবার গভীর রাতে পরিবহণ অফিসে (Transport Office) চলে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। ঘটনার পর পুলিসের (police) বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। দুর্গাপুরের ওয়ারিয়া (Waria) স্টেশনের কাছে বিজয়নগর এলাকায় একটি পরিবহণ অফিসের ভাঙচুরের ঘটনায় টানটান উত্তেজনা। কেন এই ভাঙচুর, তাণ্ডব এই অফিসে, সেই নিয়ে শুরু পুলিসি তদন্ত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে চারজনকে পুলিস আটক করেছে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা শহর দুর্গাপুরে। অভিযোগের তীর তৃণমূল যুব নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেতৃত্বর। এদিকে, ঘটনায় সঠিক বিচার না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি বিজেপির।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় পরিবহণ অফিসে। ভেঙে দেওয়া হয় সিসিটিভি, বাথরুম, অফিসের ভিতরে চলে ব্যাপক তাণ্ডব। অভিযোগ, জনা কয়েক দুষ্কৃতী এই অপকর্ম করে। যার নেতৃত্বে ছিল ইমরান নামে এক ব্যক্তি। স্থানীয়দের মতে, এই ইমরান তৃণমূলের যুব কর্মী বলে পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বেই মূলত এই হামলা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিসবাহিনী।
মায়া বাজারের সামনে দুটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। ওই পরিবহন অফিস পদারক নামে এক ব্যক্তি তাঁর শ্যালককে ভাড়া দিয়েছেন। কিন্তু কেন এই ভাঙচুর চালানো হল, সেটা নিয়েও পরিবহন অফিসের মালিক ও তাঁর পরিবার কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না। এই ইমরান খান ও তাঁর দলবল পার্টির প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে ঘটনার পর পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে পরিবহণ সংস্থার মালিক ববিতা দেবী।
যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি এলাকার যুব তৃণমূল নেতা ইমরান খানের। পাল্টা বেআইনি কাজ কারবারের সঙ্গে পদারক ও তাঁর লোকজন জড়িত। ওয়ারিয়া ফাড়ির বিজয়নগর এলাকাতে ওই পরিবহণ অফিসকে সামনে রেখে এই কারবার চলে বলে অভিযোগ তাঁর। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছে। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, সামনেই দুর্গাপুরের পুরভোট। তৃণমূল বেআইনি বালি, লোহা কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাস শুরু করেছে। এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই তৈরি করবে বিজেপি। যদিও বিজেপির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। ঘটনাস্থলে নতুন করে যাতে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে না পড়ে, তারজন্য পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।