Share this link via
Or copy link
আদালতের নির্দেশে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। বুধবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল অযোগ্যদের চিহ্নিত করে চাকরি বাতিল করতে হবে। সেই শূন্যপদে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত (Calcutta high Court)। এক সপ্তাহের মধ্যে তিন পক্ষ বৈঠক করে রিপোর্ট জমা করবে আদালতে। সেই নির্দেশের পরই এদিন ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, এসএসসি (SSC) ও মামলাকারীদের আইনজীবীদের বৈঠক।
এদিকে, ২০১৬ SLST-র মাধ্যমে নবম-দশমে কতজন ভুয়ো নিয়োগ হয়েছেন? স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং সিবিআইয়ের থেকে বুধবার জানতে চাইলো হাইকোর্ট। অবিলম্বে সেই ভুয়ো নিয়োগ খুঁজে বের করে অযোগ্যদের চাকরি থেকে থেকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পৃথক ভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি এবং সিবিআই আদালতে রিপোর্ট জমা করবে। ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। বুধবার হাইকোর্ট জানিয়েছে। বেআইনি নিয়োগের বিষয়ে এসএসসি আলাদা ভাবে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে। যারা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছে তাঁদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হবে। মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের সেই চাকরি দেওয়া হবে।
খুব দ্রুত এই বিষয়ে নিষ্পত্তি চেয়ে এসএসসি এবং সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে শুধু এসএসএসি নয় কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে বেআইনি নিয়োগ নিয়ে পৃথক রিপোর্ট দেবে সিবিআইও। যদিও এসএসসি-র আইনজীবীর সওয়াল, 'এটা সংখ্যা স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষে খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন। সার্ভিস কমিশন কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না। কাদের নিয়োগ আইনি আর কাদের নিয়োগ বেআইনি? জিজ্ঞাসাবাদ না করলে বোঝাও সম্ভব নয়। কিন্তু সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বের করতে পারবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন কীভাবে সেটা করবে?'