Share this link via
Or copy link
খড়দহ, টিটাগড় ও সোদপুরে একের পর এক ঘটে যাওয়া দুঃসাহসিক চুরির কিনারা করল পুলিস। গ্রেফতার করা হল তিন দুস্কৃতীকে। পুলিসের জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরে খড়দহ রহড়া থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা, টিটাগর ও সোদপুর ঘোলা এলাকায় বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে অথবা বাড়িতে ঢুকে ওষুধ জাতীয় কিছু স্প্রে করে মানুষকে অচৈতন্য করে চুরির ঘটনা ঘটছিল। আর সেই চুরির ঘটনার তদন্তে নামে রহড়া থানার পুলিস ও ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকেরা। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আশরাফুল নামে এক অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিস।
অভিযুক্ত আশরাফুলকে জেরা করে পুলিস জানতে পারে, পার্ক সার্কাসের রিয়ান ও রিজা নাম দুই দুষ্কৃতী আশরাফুলকে বাইকে করে খড়দহ রহড়া থানার অন্তর্গত এলাকায় ছেড়ে দিয়ে যেত। এরপর রাতের অন্ধকারে আশরাফুল বিভিন্ন বাড়ির ছাদে উঠে কোথায় কী আছে তা দেখে আসত। তার ঠিক পরের পরের দিন চুরির অপারেশন চালাত। চুরির শেষে স্থানীয় একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকত আশরাফুল। সেই জায়গা থেকে রিয়ান ও রিজা বাইক নিয়ে এসে আশরাফুলকে নিয়ে চলে যেত পার্ক সার্কাসে।
সূত্রের খবর, চুরি যাওয়া সোনার গহনা রিয়ান ও রিজা নামে ওই দুই দুষ্কৃতী রুবি আনন্দপুর এলাকায় মোহিত কুমার নামে এক সোনার দোকানের ব্যবসায়ীকে বিক্রি করত। তারপর সোনার দোকানের মালিককে জেরা করে ও দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রিয়ান ও রিজা নামের দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে পুলিস। চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত একটি স্কুটিও উদ্ধার করে পুলিস।