Share this link via
Or copy link
ধাপে ধাপে অশান্তির পর এখনও থমথমে হুগলির রিষড়া (Rishra), ছন্দে ফিরছে হাওড়ার (Howrah) শিবপুর এলাকা। রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলে অশান্তি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতিকে বিশেষ নজর দিতে আবেদন জানায় বিজেপি। ২ দিনের মধ্যে অশান্তির রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত। সেই মতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠা এলাকাগুলি যেমন শিবপুর, রিষড়া, উত্তর দিনাজপুরের অশান্তি নিয়ে বুধবার রিপোর্ট জমা করল রাজ্য। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারপতি, বুধবার রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলকে বলেন, 'পুলিস পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে, অন্য বাহিনী ব্যবহার করা যেতে পারে। মানুষের সুরক্ষা আগে জরুরি।' পাশাপাশি হনুমান জয়ন্তী নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে পুলিস-রাজ্য প্রশাসন। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, 'হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে অনলাইনে অনুমতি নিতে হবে, সেই আবেদন পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।'
হনুমান জয়ন্তী নিয়ে আগাম সতর্কতা হাইকোর্টের। রামনবমীর থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকেও। এ বিষয়ে বুধবারের শুনানির পর আদালত নির্দেশ দেয়, হনুমান জয়ন্তীতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে রাজ্য। এছাড়া হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুরের ঘটনাগুলিতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে রাজ্য। বিচারপতি আরও পরামর্শ দেন, রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে।
রাম নবমীর মিছিলকে ঘিরে হাওড়ার শিবপুর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তারপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির রিষড়া। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, দোকানপাটে ভাঙচুর চলে। বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর চালানো হয় রিষড়া ৪ নম্বর রেল গেট ও স্টেশন সংলগ্ন এলাকা। একই মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরও। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করতে, নেট সংযোগ বন্ধ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিস। যদিও প্রত্যেক জায়গা থেকেই বিজেপির অভিযোগ পুলিস নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। পাল্টা মমতা বন্দোপাধ্যায় বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন। প্রসঙ্গত রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, শিবপুরের ঘটনায়, যাকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দেখা গিয়েছিল তাঁকে, বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রিষড়ার ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে কলকাতায় ফিরে আসেন রাজ্যপাল। এয়ারপোর্ট থেকে আসেন রিষড়ায়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। এবং কড়া বার্তা দেন, 'হিংসা বরদাস্ত করা হবে না।' ঘটনার দুদিন কেটে গেলেও এখনও রিষড়ায় কিছু দোকান খোলেনি এবং রেল পুলিস সূত্রে খবর, রেল লাইনের পাথর ছোড়া নিয়ে এবার আরও কঠোর হবে রেল। রিষড়ায় ৪ নম্বর গেটে দুদিকেই আরপিএফ পিকেট বসানো হয়েছে বলে খবর।