১০ মে, ২০২৪

Election: সাত খুন মাফ! হিংসা সংক্রান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টকে 'বদমাইসি' আখ্যা বিরোধীদের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-06-19 21:22:45   Share:   

মণি ভট্টাচার্য: সাত খুন মাফ! রাস্কিন বন্ডের ছোট গল্পের অনুসরণে তৈরি 'সাত খুন মাফ' হিন্দি সিনেমাটি বেশ খ্যাত। যদিও ওই সিনেমাটির সঙ্গে বাস্তবে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) কোনও মিল নেই। কেবল মিল রয়েছে সিনেমাটির নামের সঙ্গে। সাত খুন মাফ। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে হিংসার ঘটনায় এখনও অবধি ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও প্রাথমিকভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দেওয়া রিপোর্টে কোনও মৃত্যুর উল্লেখ নেই। বরং কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজ্যের বিভিন্ন ঘটনায় এখনও অবধি ১০৪ জন আহত হয়েছেন। বেআইনি অস্ত্র ও বোমার সংখ্যা ওই রিপোর্টে থাকলেও নেই কোনও মৃত্যুর সংখ্যা। অন্যদিকে, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে হিংসায় মৃত্যুর কথা। এখন প্রশ্ন উঠছে পঞ্চায়েতের প্রেক্ষাপটে রাজ্যের হিংসা ও মৃত্যুর ঘটনায় কার অবস্থান সঠিক? নির্বাচন কমিশন, মুখ্যমন্ত্রী নাকি রাজ্য পুলিস?

পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর ৯ই জুন মুর্শিদাবাদে শুটআউটে মৃত্যু হয় কংগ্রেসকর্মী ফুলচাঁদ শেখের। এরপর ১৫ই জুন ভাঙড়ে ১ জন আইএসএফ কর্মী মঈনুদ্দিন মোল্লা ও ২ তৃণমূল কর্মী রাজু নস্কর ও রশিদ মোল্লার মৃত্যু হয়। ওই দিনই মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে মোজাম্মেল শেখ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ওদিকে ১৭ই জুন মালদহের সুজাপুরে তৃণমূলের প্রার্থী মোস্তফা শেখকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি ১৮ই জুন বিজেপি প্রার্থীর দেওর শম্ভু দাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। যদিও এসমস্ত ঘটনার কোনও উল্লেখই নেই কমিশনের দেওয়া রিপোর্টে। কিন্তু কেন? এ বিষয়ে অবশ্য নির্বাচন কমিশনের সাফাই রাজ্য পুলিসের রিপোর্টে এই ঘটনাগুলির কথা উল্লেখই নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন সান্ডিল্যকে সিএন ডিজিটালের তরফে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান নি।

রাজ্য পুলিস ও নির্বাচন কমিশনের এমন ঘটনাকে পারস্পরিক কানামাছি খেলা হিসাবেই উল্লেখ করেছেন বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। সোমবার সিএন-ডিজিটালকে তিনি বলেন, 'পুলিসের রিপোর্ট না পেলেও নির্বাচন কমিশন কাগজ পড়ে, নিশ্চয়ই সংবাদ মাধ্যমে নজর রাখে। তবে নির্বাচন কমিশন কেন স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে খোঁজ করল না, আসলে তাঁরা কানামাছি খেলছে।' পাশাপাশি এ বিষয়ে বিজেপি নেতা সন্ময় বন্দোপাধ্যায়  রাজ্য সরকার ও কমিশনকেই দুষেছেন। 'তথ্য গোপন করা এই সরকারের জন্ডিস রোগ। এতগুলো মৃত্যুর পরও যদি পুলিস আর কমিশন মৃত্যু চোখে দেখতে না পায়, তবে বলতে হবে তারা চোখের অপারেশন করাক। পশ্চিমবঙ্গে বেহায়া, নির্লজ্জ, বদমাস, শয়তান সরকার ভারতবর্ষে কোনও রাজ্যে নেই।'

এ ঘটনাকে অবশ্য ছোট হিসেবেই দেখছেন কংগ্রেস নেতা অরুনাভ ঘোষ। তিনি বলেন পঞ্চায়েতে প্রায় সাড়ে চার কোটি ভোটার, তাঁদের মধ্যে মাত্র ৭ জন মারা গিয়েছেন। এসব সরকারের কাছে কিছুই না।' তিনি আরও বলেন যে, 'পশ্চিমবঙ্গের ট্রেন্ড এটা, ক্ষমতার সঙ্গে অফিসাররা থাকে, ক্ষমতার বিরুদ্ধে কোন অফিসার থাকবে!' পাশাপাশি এ বিষয়ে আইএসএফ নেতা ও বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, 'কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, কমিশন অসত্য কথা বলছে, সে সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশকেও মানছে না কমিশন।'


Follow us on :