২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Nadia: একদিন তাদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন, আজ সেই পাখিরাই তাঁর অন্নদাতা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-08-16 18:11:00   Share:   

পাখিদের (birds) প্রতি ভালোবাসা সেই ছোট থেকেই। নিজের খাবার (food) বাঁচিয়ে রেখে দিতেন পাখিদের জন্য। আর এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্যই আজ গোটা পরিবারের মুখে অন্ন জোগাচ্ছে পাখিরাই। এমনই ঘটনার স্বাক্ষী রইলেন নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর শহরের লক্ষীতলা গুলবাজ মোড়ের বাসিন্দারা।

জানা যায়, গুলবাজ মোড়ের বাসিন্দা কৌশিক প্রামাণিক ছোট থেকেই পাখি ভালোবাসতেন। প্রতিদিন নিজের খাবারের কিছুটা অংশ ছাদে গিয়ে দিয়ে আসতেন পাখিদের। দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতেন, কোনওদিন যদি পাখিরা তাঁর কথা শোনে এবং বুঝতে পারে তাহলেই এ জীবন সার্থক হবে তাঁর। তবে তিনি তখনও জানতেন না একদিন সেই পাখিরাই তাঁর গোটা পরিবারের মুখে ভাত জোগাবে। ভাবছেন, এটা কীভাবে সম্ভব?

তাঁর বাবা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক। তিনি মারা যাবার পর ভাই এবং মায়ের সংসারের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব পড়ে কৌশিকবাবুর কাঁধে। স্নাতক হবার পর মাস্টার্স, অবশেষে ডিএলএড করেও মেলেনি চাকরি। তবে বর্তমান রাজ্যের পরিস্থিতির কথা হয়ত আগাম বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। তখনই টিউশনি এবং কম দামের নানান পাখি পুষে বিক্রি করা শুরু করেন। আজ কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ বেশ কয়েকজন কর্মচারী ও ঝাঁ চকচকে দোকান জেলার মধ্যে অন্যতম হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিচিতির দিক থেকে।

কৌশিকবাবু জানান, লাভ বার্ড, ককাটেল, ফ্রিঞ্চ, জেব্রাফিঞ্চ, জাভা, ইয়োলো সাইডেড কুনুর, পাইনাপেল কুনুর, হেলিপ্যাড বদ্রি, কোবাল্ট সিরিজ কুনুর, সান কনুর-- এ ধরনের নানান পাখি এখন তাঁর পরিবারভুক্ত। তবে সম্প্রতি যোগ হয়েছে অ্যাকোয়ারিয়ামের বেশ কিছু মূল্যবান মাছ, টেক্ট্ররা উইডো, গোল্ড ফিশ, ইমপোর্টেড মলি, সুহাঙ্গী, রেড ক্যাপ, স্প্যারট, ডিসকাস, হর্ন, ক্রোকোডাইল আরও কত কী! তাঁদের বাসস্থান, ওষুধ, খাবার পরিচর্চার যাবতীয় দ্রব্যাদি, পাখি এবং মাছের যাবতীয় পরিষেবা দিয়েই চলছে তাঁর পরিবার।


Follow us on :