Share this link via
Or copy link
রাস্তার চারিদিকে এখন শুধু খাবারের (Food) দোকান। আর যেদিকেই তাকানো যায় শুধুই দেখা যায় লম্বা লাইন। কখনও কখনও তো আবার এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার কিনতে হয়। তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই এই স্ট্রিট ফুডের দোকান গুলির বিরুদ্ধে নষ্ট খাবার বিক্রি করার অভিযোগ উঠছে। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার খাদ্য সুরক্ষা (Food Inspector) অধিকারিকরা অভিযান চালিয়েছে দোকানগুলিতে। সারাদিন রীতিমতো খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়ে চোখ যেন কপালে উঠল খাদ্য সুরক্ষা অধিকারিকদের।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Purbo Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভা এলাকায়। শুক্রবার দিনভর চন্দ্রকোনা শহরের একাধিক রেস্টুরেন্ট, হোটেল, চপ মুড়ির দোকান, মিষ্টির দোকানে অভিযান চালান খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার। দোকানগুলিতে তৈরি খাবারের গুনমান দেখে এবং নিজে সেই খাবার খেয়ে যেন একপ্রকার রণমূর্তি ধারন করলেন তিনি। ঝা-চকচকে দোকানের আড়ালেই খাদ্য রসিক মানুষদের দীর্ঘদিন ধরে খাওয়ানো হচ্ছিল বাসি পচা খাবার। তাই বিভিন্ন খাবারের দোকানে হানা দিয়ে বাসি-পচা খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেছেন তিনি। এমনকি রীতিমতো নিজে হাতে একাধিক দোকানদারকে নোটিশ দিয়ে কড়া আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিলেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার।
এবিষয়ে চন্দ্রকোনার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার জানান, সমস্ত দোকানদারকে ডেকে ট্রেনিং সমেত একাধিক নিয়মাবলি সম্পর্কে আগে সচেতন করা হলেও অনেকেই খাদ্য সুরক্ষার বিষয়ে নজর দিচ্ছিল না। তাই অভিযান চালিয়ে বাসি খাবার থেকে পচা মাংস ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনেক দোকানদারই এখনও বিনা লাইসেন্সে দোকান চালাচ্ছেন তাঁদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বিনা লাইসেন্সে চন্দ্রকোনা শহরে দিনদিন বেড়ে চলেছে খাবারের দোকান, খাবারের গুনগত মান নিয়েও উঠছিল একাধিক অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগই রাস্তায় নামলো খাদ্য সুরক্ষা দফতর, খাবারের গুনগত মান বজায় রাখতে আগামী দিনেও এই অভিযান বজায় থাকবে বলে খাদ্য সুরক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। তবে খাদ্য সুরক্ষা দফতরের এহেন অভিযানে খুশি ক্রেতা থেকে চন্দ্রকোনাবাসী।