১২ মে, ২০২৪

Ghatal: নবজাতককে 'মৃত' ঘোষণা হাসপাতালের, কবর দিতে গিয়ে 'জীবিত' উদ্ধার!
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-04-09 14:21:51   Share:   

সদ্যজাত শিশুর (New Born baby) দেহ কবরস্থ করতে গিয়ে চমকে উঠলেন পরিবারের সদস্যরা। শিশুটির শরীরে তখনও প্রাণ রয়েছে! জীবিত নবজাতককে 'মৃত' ঘোষণা করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লিখে দেওয়া হয়েছে ডেথ সার্টিফিকেটও (Death Certificate)! ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Ghatal Hospital) এই কীর্তিতে তাজ্জব পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। জানা গিয়েছে, সদ্যোজাত শিশুকে মৃত ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট লিখে পরিবারের হাতে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু সেই শিশুর শেষকৃত্য করতে গিয়ে দেখা যায় সে জীবিত, তখনও শ্বাস চলছে। তড়িঘড়ি সেই শিশুকে আবার নিয়ে এসে ভর্তি করা হয় ঘাটাল হাসপাতালে। সেই শিশুকে পুনরায় ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসক। যদিও পরিবারের দাবি আবারও হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গিয়েছে। এমন নজিরবিহীন ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে সরব শিশুর পরিবার।

জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হন মনলিশা খাতুন নামে এক গৃহবধূ। দুপুর দুটো নাগাদ তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। যদিও সেই শিশুটি সময়ের অনেক আগেই (প্রি ম্যাচিওর) হয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিকেল পাঁচটা নাগাদ শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই নবজাতক মারা গিয়েছে।

মাথায় মৃত স্ট্যাম্প দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে প্যাকিং করে রাত নটা নাগাদ শিশুকে পরিবারের হাতে তুলে দেন চিকিৎসক। পরে বাড়ি ফিরে শিশুকে কবরস্থ করতে গিয়ে সকলেই দেখেন শিশুটি জীবিত, শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। তড়িঘড়ি ফের নিয়ে আসা হয় হাসপাতলে। ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া শিশুকে ফের আইসিইউ-তে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। জানা গিয়েছে, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। এমনটাই দাবি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক এবং শিশুর পরিবারের। এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার বলেন, 'অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। জেলাস্তরে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটি হাসপাতালে এসে তদন্ত করে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখবে। গাফিলতি প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এই প্রসঙ্গে পরিবারের অভিযোগ, 'একটা শিশুর মৃত্যু দু'বার হয় কীভাবে? সেই উত্তর আমরা স্বাস্থ্য দফতর থেকে চাই। সুপার গোটা ঘটনার দায়ভার নিক। এই ঘটনার তদন্ত ভালো করে হোক। আমাদের হাতে মৃত বলে তুলে দেওয়ার পর আমরা যখন কবরস্থ করতে যাই সে বেঁচে আসে। আবার হাসপাতালে ভর্তি করি। এখন আমাদের বলছে সে মারা গিয়েছে।'


Follow us on :