Share this link via
Or copy link
৫২ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর পড়শির বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার শিশুর (Child Body) নলিকাটা দেহ। আর এই ঘটনা ঘিরে শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) মোলডাঙা গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা। অভিযুক্তর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন (Arson) ধরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজনা এতটাই যে সংবাদ মাধ্যমকে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, পুরনো বিবাদ থেকেই প্রথমে এই অপহরণ এবং পরে নৃশংস খুন। তাঁরা পুলিসি (Birbhum police) নিষ্ক্রিয়তার দিকেও আঙুল তুলেছে। ৫২ ঘণ্টা শিশু নিখোঁজ থাকলেও কেন উদ্ধার করতে পারেনি? এই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
অভিযুক্তর বাড়ি থেকে এক মহিলা সদস্যকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি পড়শির বাড়ির ছাদ থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। দমকলের একটি ইঞ্জিনের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রোধে গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিস। রীতিমতো ঢাল, লাঠি এবং কাঁদানে গ্যাস নিয়ে এলাকায় চলছে টহলদারি।
ঘটনাস্থল থেকে বীরভূমের পুলিস সুপার জানান, ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। আমরা শিশুকে জীবন্ত উদ্ধার করতে পারিনি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। মূল অভিযুক্ত যে মহিলা, তাঁকে জেরা করে সত্যি জানান চেষ্টা করব। সোমবার গোটা দিন দফায় দফায় আমরা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু সে সময় ছাদে দেহ উদ্ধার পাওয়া যায়নি। কোনওভাবে বাইরে খুন করে পরে ছাদে দেহ রাখা হয়েছে কিনা জানার চেষ্টা করছি।' তিনি জানান, নিখোঁজ অভিযোগ পাওয়ার পরেই শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। ওরা কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা কিংবা কেউ সন্দেহভাজন রয়েছে কিনা। সঠিক বলতে পারেনি।
স্থানীয়দের দাবি, 'শিশুর বাবার যে ব্যবসা, সেই ব্যবসায় একজন হেল্পারের সঙ্গে অভিযুক্ত পরিবারের একজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই বিবাদ থেকেই এই নৃশংস ঘটনা।' সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয়দের শান্ত করতে প্রতিশ্রুতি জেলা পুলিসের।