Share this link via
Or copy link
অবশেষে কাটল জট। উঠে গেল কুড়মিদের রেল রোকো আন্দোলন। শনিবার পঞ্চমদিনে পড়েছিল তাঁদের এই আন্দোলন। তবে এবার ১০০ ঘণ্টা পর আন্দোলন প্রত্যাহার কুড়মিদের। ৩ জেলার ডিএমের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। কুড়মিদের (kurmi) রেল রোকো আন্দোলনের আজ ছিল পঞ্চম দিন। পুরুলিয়া (Purulia) কুস্তাউর রেল স্টেশনে (railway station) রেল ট্র্যাকে বসে আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার রাজ্য সরকার সিআরআই (CRI) রিপোর্ট কুড়মিদের হাতে তুলে দিলেও তাতে ভুল রয়েছে বলে দাবি কুড়মিদের। তাই এই অবরোধ চলছিল। যার প্রভাবে একের পর দাঁড়িয়ে ছিল দূরপাল্লার ট্রেন। রেল লাইনের বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়েছিল জাতীয় সড়কে। ওড়িশা ঢোকা এবং বেরনোর সড়কে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পণ্যবাহী ট্রাক।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার অবশেষে সিআরআই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠায় রাজ্য সরকার। তবে সেই রিপোর্ট এ কী আছে, তা দেখে আলোচনা করে রেল অবরোধ প্রত্যাহর করবে কুড়মি সমাজ, এমনটাই জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। ইতিমধ্যে তার একটি প্রতিলিপি আদিবাসী কুড়মি সমাজের সদস্যদের হাতে তুলে দেয় পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। শুক্রবারের পর শনিবার সকাল থেকে আন্দোলনে মধ্য দিয়ে রেললাইনে বসে চলেছে খাওয়া দাওয়া। রেলট্র্যাকেই ঘুমোচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। এক কথায় পাঁচদিনের এই রেল অবরোধের জেরে পুরুলিয়া জনজীবন বিপর্যস্ত। যদিও রেল আধিকারিক থেকে জেলা প্রশাসন ধাপে ধাপে কুড়মি সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেও তাতে কাজ হয়নি। রেল অবরোধের জট কাটাতে ব্যর্থ প্রশাসন। তবে দাবি না মানা হলে আগামি দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে আদিবাসি কুড়মি সমাজ। মূলত এসটি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং ভাষাকে ষষ্ঠ তফসিলির অন্তরভুক্ত করার দাবিতেই এই রেল অবরোধ।