Share this link via
Or copy link
শহর কলকাতায় অপহরণের ঘটনার ৩ দিনের মধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। অভিযোগ ডাক্তার দেখাতে এসে বেড়াতে গিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া। সেখান থেকেই গলায় ব্লেড ঠেকিয়ে অপহরণ করা হয় এক যুবককে। এরপর পয়সার বিনিময়ের তাঁকে মুক্তি দিলে পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন ওই পরিবার। এরপরই তদন্তে নেমে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
সূত্রের খবর, ধানবাদ থেকে এসেছিলেন ডাক্তার দেখাতে। তারপর কাকা দুই ভাইপোকে নিয়ে গিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া দেখাতে। সেখানেই মোবাইল সারানোর জন্য ৬ হাজার টাকা চান এক ব্যক্তি। টাকা না দেওয়ায় গলায় ব্লেড ঠেকিয়ে এক যুবককে বাসে তোলার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়েরের তিন দিনের মধ্যে সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হেস্টিংস থানার পুলিস। অপহরণের অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৯ তারিখ ধানবাদ থেকে শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসেন তিন জন। কাকা ও তার দুই ভাইপো ১৩ তারিখ চিকিৎসা করানোর ফাঁকেই ভিক্টোরিয়া ঘুরতে যান। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, কাকা ভিক্টোরিয়া নর্থ গেটের বাইরে ছিল ও দুই ভাইপো ভিক্টোরিয়া ঘুরে সাউথ গেট দিয়ে বাইরে এসে কাকাকে না দেখতে পেয়ে খুঁজতে থাকে। এক ভাইপো বাথরুম করার সময় অন্যজন মোহরকুঞ্জে রাস্তা ধরে এগোতে থাকে।
অভিযোগকারীর বক্তব্য, এক ব্যাক্তি সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লাগে। ওই ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে একটি ভাঙা মোবাইল দেখিয়ে বলেন ‘সারাই করতে হবে, টাকা দাও’। সে তখন বিষয়টিতে ভয় পেয়ে যাওয়ায় তাঁর গলায় ব্লেড লাগিয়ে একটি বাসে তুলে নেন। তার মধ্যে অন্যজন দেখে বাসে উঠে যাচ্ছে আরও এক ভাই। তার মধ্যে ৬ হাজার টাকা চাওয়া হয় ফোন করে কাকার থেকে। কাকা ৫৫০০ টাকা দেন, তখন ফের তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কাকা তাঁর ভাইপোকে পেয়ে হেস্টিংস থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে অপহরণের। বৃহস্পতিবার রাতে দু’জন গ্রেফতার হয়।