Share this link via
Or copy link
দোকানে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অপহৃত অষ্টম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী (Student)। অপহরণের পর উদ্ধার হলেও নাবালিকাকে ফেরত আনতে যেতে টাকা চাইছে পুলিস। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের। তাহলে রক্ষকই ভক্ষক? উঠেছে এমনই প্রশ্ন। গাজিয়াবাদে নাবালিকাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা চাইছে স্থানীয় চাঁচল থানার (Chanchal Police Station) অন্তর্গত খরবা ফাঁড়ির পুলিস। সমগ্র ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের (Malda) চাঁচল থানার মল্লিক পাড়া এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, গত সাত দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের মল্লিকপাড়া এলাকার এক নাবালিকা। ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ তুলেছিল তার পরিবার। অভিযোগের তীর এক প্রতিবেশী বান্ধবীর বিরুদ্ধে। তারপর বৃহস্পতিবার দিল্লির গাজিয়াবাদ থানা থেকে খবর আসে ওই থানায় রয়েছে নাবালিকা। অপহরণ করে তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পাচারের উদ্দেশে। রাস্তায় কোনও এক সহৃদয় ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে থানায় দিয়ে আসে।
এই মুহূর্তে ওই থানা থেকে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করে বলা হয়েছে, স্থানীয় থানা উপযুক্ত প্রমাণ সহ গেলে তবেই নাবালিকাকে ছাড়বে পুলিস। ওই নাবালিকার পরিবার খরবা ফাঁড়ির দ্বারস্থ হন। কিন্তু নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, পুলিসের নাম করে ওই ফাঁড়ির এক সিভিক নাবালিকার পরিবারের কাছ থেকে গাজিয়াবাদ যাওয়ার জন্য চল্লিশ হাজার টাকা দাবি করেছেন। টাকা না পেলে তারা কোনোভাবে নাবালিকাকে দিল্লি থেকে চাঁচলে আনতে পারবেনানা বলেও জানান। নাবালিকার পরিবারের এই অভিযোগ সামনে আসতে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
মহানন্দা নদীর তীরে সরকারি খাস জায়গায় বসবাস ওই নাবালিকার পরিবার। হতদরিদ্র, দিনমজুর পরিবারের সামর্থ্য নেই সেই টাকা যোগানের। মেয়েকে ফেরানোর চিন্তায় ব্যাকুল মা। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।