Share this link via
Or copy link
ডিআই যে কাজ করেছেন তা আদালত ভালো চোখে দেখছে না। আর তাই অবিলম্বে মুর্শিদাবাদের ডিআই নৃপেন কুমার সিনহাকে অপসারণ করার জন্য শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে কড়া নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ডিআইকে অপসারণ করতে হবে। তিনি অন্য দফতরে চাকরি করতে পারেন। তবে ডিআই পদে চাকরি করার যোগ্য তিনি নন।
নদিয়াতে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলির আবেদন জানিয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন এক শিক্ষিকা বনানী ঘোষ। তাঁর আইনজীবী উজ্জ্বল রায়ের আবেদন ছিল, শিক্ষিকার সন্তান জটিল রোগে আক্রান্ত এবং স্বামী ৬০ শতাংশ বিশেষভাবে সক্ষম। এই ইস্যুতে ওই স্কুলে কতজন শিক্ষিকা আছেন তা জানতে চেয়ে ডিআই-এর রিপোর্ট তলব করে আদালত। এই রিপোর্টেই শিক্ষকদের সঙ্গে প্যারা টিচারের সংখ্যা যোগ করে তথ্য দেন ডিআই। এখানেই বিরক্ত হয় আদালত, কারণ আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল যে, এই দুই সংখ্যা এক করা যাবে না। আর সেই কারণেই মঙ্গলবার ডিআই'কে পদ থেকে অপসারণ করার নির্দেশ দিলেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তার নির্দেশ, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীকে বাড়ির কাছের কোনও স্কুলে বদলি করতে হবে। আর এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ ডিসেম্বর। সেদিন রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিয়ে নির্দেশ কার্যকরের বিষয়ে জানাতে হবে।
এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের পরই রীতিমত চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের ডিআই অফিসে। সেই দফতরে এদিন উপস্থিত হয়েছিলাম আমরা। তবে এদিন দফতরে দেখা মেলেনি অভিযুক্ত ডিআই নৃপেন কুমার সিনহার। শিক্ষা দফতরের একের পর এক দুর্নীতি এবং গাফিলতি সামনে আসায় এর আগেও কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। ফের আরও একবার তার নির্দেশের মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, কোনও রকম গাফিলতিকে একচুলও রেয়াত করবেন না তিনি।