১৫ মে, ২০২৪

Kamduni: রাজ্যের ব্যর্থতা ঢাকতেই কি ঢাল সিআইডি, কামদুনিকাণ্ডে প্রশ্ন অনেক উত্তর নেই
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-10-07 18:40:50   Share:   

দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের মতই কামদুনি গণধর্ষণের ঘটনায় শিউরে উঠেছিল রাজ্যবাসী। প্রায় ১০ বছর ধরে বিচারের আশায় বসেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার সহ গোটা কামদুনি। পাশে ছিল গোটা রাজ্য। আন্দোলন, প্রতিবাদে সরব হতে দেখা যায় মৌসুমী কয়াল, টুম্পা কয়াল, শিক্ষক প্রদীপ মূখোপাধ্যায় সহ বহু মানুষকে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় সরব হতেও দেখা যায় তাঁদের। এই পরিস্থিতি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে চাকরি সহ ঢালাও প্রতিশ্রুতির ডালি সাজিয়ে কামদুনি পৌঁছন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। কামদুনি থেকেই দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে বহু জল। প্রকৃতির নিয়মে সময় গড়িয়েছে। কিন্তু সুবিচার মেলেনি কামদুনির। বদলে উঠেছে পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। কিন্তু হঠাৎ এমনকি হল যে রাতারাতি তৎপর হয়ে উঠল প্রশাসন। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট কামদুনি মামলার রায় দিয়েছে।

ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। নিম্ন আদালতে আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলি বেকুসুরন খালাস পেয়েছেন।  নিম্ন আদালতে আমৃত্যু জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করও ১০ বছর জেল খাটার কারণ জামিন পেয়েছেন হাইকোর্ট থেকে। এই নির্দেশের পরেই ক্ষোভের আঁচ বাড়তে থাকে কামদুনিবাসীর মনে। কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রতিবাদী মৌসুমী-টুম্পারা। ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এই আবহেই রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পড়ল। শুক্রবার রাতেই কামদুনিতে মৌসুমী কয়ালের বাড়িতে যান সিআরডি ডিআইজির নেতৃত্বে সিআইডির একটি প্রতিনিধি দল। এই মুহূর্তের প্রশাসনের এই তৎপরতা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। তাহলে কি সিআইডিকে দিয়েই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা রাজ্য প্রশাসনের? এতো দিন কেন এই তৎপরতা চোখে পড়ল না? এই মুহূর্তে সিআইডির আসার প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও প্রশ্ন  ওয়াকিবহাল মহলের। প্রশ্ন ১, নির্যাতিতার দেহ ময়নাতদন্ত করেছিল প্রশাসন, পরিবারের কোনও সদস্য নয়। ফলে নতুন করে দেহের তদন্তের প্রশ্ন উঠছে না। তা সম্ভব নয়। প্রশ্ন ২, দশ বছর পর নতুন আরও কী তথ্য জোগাড় করবে সিআইডি? প্রশ্ন ৩, সাক্ষীদের স্মৃতি খুঁড়ে আর কী জানবে রাজ্যের গেয়েন্দা দল?

এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কার্যত সবগুলোই অপ্রাসঙ্গিক। তাহলে কি কামদুনির ক্ষোভ বৃহত্তরভাবে ছড়িয়ে পড়ার আগেই কৌশলী পদক্ষেপ রাজ্যের? না নিজেদের ব্যর্থতা ডাকতেই কি ঢাল করা হল সিআইডিকে? 


Follow us on :